মর্গ্যান স্কুলের ৬ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা, প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
Published: 22nd, June 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ শহরে দেওভোগে অবিস্থত ঐতিহ্যবাহি মগ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
রোববার বিকেলে স্কুলের গেইটের সামনে স্কুলের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুৃচীতে অংশ নেয়। পরে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সামনে এসে পুনরায় মানববন্ধন করে।
এসময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের ছয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্য মামলা প্রত্যাহার করে এবং ছয়শিক্ষককে যে সাময়িক বহিস্কার করা হয়েছে তা প্রত্যাহার করে স্কুলের ক্লাস নেয়ার সুযোগ দেয়ার দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ গত ২৯ মে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট রাশেদ খান স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতা দ্বরা প্রভাবিত হয়ে একটি কথিত দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করত এসে স্কুলের সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে দুব্যবহার করেন এবং শিক্ষকদের নানা ভাবে হুমকি দমকি দেন। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্দ হয়ে ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘিরে ধরলে নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুলিশের সহয়তায় স্কুল থেকে বের হয়ে যান।
পরে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত সহকারি প্রধান শিক্ষক বিনোদ কুমার দেবনাথ, ইংরেজির সিনিয়র সহকারি শিক্ষক আব্দুল বাতেন, গণিত ও রসায়নের বিভাগের শিক্ষক মো: রাশেদুল ইসলাম, বাংলার শিক্ষক কামরুজ্জামান, ইংরেজির শিক্ষক খন্দকার হায়াৎ মাহমুদ,ইসলাম ধর্মের শিক্ষক আতিকুর রহমানসহ ছয়শিক্ষকের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরর কারনে ভয়ে আতংকে স্কুলের শিক্ষকরা গতকাল স্কুল খোলার পরও আমাদের ক্লাস নিতে আসেনি।
সামনে আমাদের পরিক্ষা কিন্তু শিক্ষকরা যদি আমাদের ক্লাস নিতে না পারে তবে আমার কিভাবে পড়াশোনা করবো। তাই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা ও সাময়িক বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি করেন তারা।
স্কুলের শিক্ষার্থী সাবিহা আহমেদ জানান, মগ্যান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়য়ের সাবেক সহকারি প্রধান শিক্ষিকা স্বৈারাচারী শেখহাসিনার দোসড় লায়লা আক্তারকে পাচঁ আগষ্টের পর স্কুলের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তিনি পদত্যাগ করেন । তিনি মুলত প্রশাসন ও স্থাণীয় প্রভাশালীদের ম্যানেজ করে পুুনরায় স্কুলে ঢোকার চেষ্টা করছেন। মুলত শিক্ষক শিক্ষাথীদের মামলা দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে লায়লা আক্তারকে পুনবাসনের চেষ্টা করছে।
অভিভাবক সোহেল রহমান বলেন, র্দীঘদিন বন্ধ থাকার পর স্কুল খুলেছে। কিন্তু মামলা ও বরখাস্ত করার কারনে স্কুলের প্রধান প্রধান সাবজেক্টের শিক্ষকরা ক্লাস নিতে পারছেনা। এমন অবস্থায় স্কুলে বাচ্চা পাঠানো নিয়ে শঙ্কার মধ্যে আছেন বলে জানান।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ দ য় র কর
এছাড়াও পড়ুন:
হাসপাতালে শয্যাসংকট, মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা
নারায়ণগঞ্জে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বেড়েছে। প্রতিদিন নতুন নতুন রোগী ভর্তি হওয়ায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে শয্যাসংকট দেখা দিয়েছে। শহরের খানপুরে অবস্থিত ৩০০ শয্যা হাসপাতাল ও শহরের মণ্ডলপাড়ায় নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তৃতীয় তলায় মেডিসিন ও ডেঙ্গু ওয়ার্ডের শয্যার দ্বিগুণ রোগী ভর্তি আছেন। শয্যা না পাওয়ায় অনেকে করিডর ও মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শহরের নলুয়াপাড়া এলাকার মুদিদোকানি ইয়াকুব হাওলাদার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত সোমবার থেকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন। শয্যা না পেয়ে হাসপাতালে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইয়াকুবের স্ত্রী আছিয়া বেগম প্রথম আলোকে জানান, শয্যা না থাকায় মেঝেতে কষ্ট করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
সদর উপজেলার ফতুল্লার গেদ্দার বাজার এলাকার ডেঙ্গু রোগী সেলিম মিয়াও শয্যা না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি জানান, চার দিন ধরে তাঁর জ্বর, মাথাব্যথা ও বমি হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। গরমের কারণে মেঝেতে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসে আগস্ট মাসের তুলনায় দ্বিগুণ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন বলে জানান নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ নার্স শিবলী আক্তার। তাঁর ভাষ্য, জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ডেঙ্গু রোগীরা আসছেন, তবে শহরের রোগীর সংখ্যাই বেশি।
এ বিষয়ে জেলা সিভিল সার্জন মুশিউর রহমান প্রথম আলোকে জানান, ডেঙ্গু পরিস্থিতি অন্য সময়ের তুলনায় খারাপ। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হাসপাতালে ওয়ার্ডগুলোতে ডেঙ্গু রোগীদের ভিড়