চাটমোহরে ২ পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫, মোটরসাইকেল ভাঙচুর
Published: 23rd, June 2025 GMT
পাবনার চাটমোহরে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় চারটি মোটরসাইকেল ও দুটি দোকান ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৩ জুন) সকালে এবং দুপুরে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে সংঘর্ষে জড়ায় পক্ষ দুইটি। চাটমোহর থানার ওসি মনজুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন- রতনপুর গ্রামের মৃত আজিজল বিশ্বাসের ছেলে আনিছুর রহমান, নুর ইসলামের ছেলে রনজু প্রামাণিক, তার ভাই মোসলেম প্রামাণিক, শহিদ হোসেনের ছেলে পলক হোসেন, বাবলু হোসেনের ছেলে মারুফ হোসেন, মৃত আমজাদ বিশ্বাসের ছেলে ফরিদ বিশ্বাস, তালেব বিশ্বাসের ছেলে আফসার বিশ্বাস, আফসার বিশ্বাসের ছেলে সুমন হোসেন, সাত্তার হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম, শাহজাহান আলীর ছেলে জনি হোসেন ও মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিমসহ অন্তত ১৫ জন।
আরো পড়ুন:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, কব্জি বিচ্ছিন্নসহ আহত ৬
যশোরে সংঘর্ষে আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৩
এলাকাবাসী জানান, রতনপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী জনি হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের ব্যবসায়ী আইনুল বিশ্বাসের পিকআপ ট্রাকের শেয়ারে ব্যবসা ছিল। আজ সকালে ট্রাকের শেয়ার নিয়ে আইনুল ও জনির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে আইনুলের লোকজন মথুরাপুর গ্রামে গরুর খামার এলাকায় গিয়ে জনিকে মারধর করে। জনিকে মারধরের খবর তার সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা রতনপুর গ্রামে আইনুলের বাড়িতে যান।
সেখানে তারা আইনুলের আত্মীয় ও গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলকালে ওই গ্রামের সাবেক মেম্বার মোজাম্মেল হোসেনের দুইটি দোকান এবং চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
চাটমোহর থানার ওসি মনজুরুল আলম বলেন, “পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে সেখানকার পরিবেশ শান্ত আছে। থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ আইন ল ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে দুই গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে পৃথক দুটি পরিবহনে আগুন দিয়ে নাশকতার ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪০ জন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মী ও দুষ্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হামলাকারীরা দলীয় স্লোগান ও রাষ্ট্রবিরোধী স্লোগান দিয়ে পরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এবং পুলিশ জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছে।
জানাগেছে, গত শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভোরে নাফ পরিবহন নামের একটি মিনিবাস (ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-০৩৩৮) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অফিসের মেইন গেটের সামনে পার্কিং করা অবস্থায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
এরআগে , গত ১২ নভেম্বর রাতে তিনি দুই যাত্রী নিয়ে জালকুড়ি এলাকায় পৌঁছালে ২০/২৫ জন ব্যক্তি রাস্তা অবরোধ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এসময় তারা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকে। পরবর্তীতে তারা তাঁর সিএনজিতে (ঢাকা-থ-১১-৯৯২১) পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
দুটি নাশকতার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং জড়িতদের শনাক্তে আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা ও প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলছে বলে জানা গেছে।
মিনিবাসে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শনিবার ভোরে মিনিবাস চালক সোহাগ মিয়া (৩৮) স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারেন যে নাফ পরিবহন নামের একটি মিনিবাস (ঢাকা-মেট্রো-জ-১১-০৩৩৮) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে সড়ক ও জনপথ অফিসের মেইন গেটের সামনে পার্কিং করা অবস্থায় দুষ্কৃতিকারীরা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখেন, বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ভুক্তভোগী চালক দাবি করেন, এতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুড়ে যাওয়া মিনিবাসটি জব্দ করে হেফাজতে নেয়।
অন্যদিকে সিএনজি চালক মো. বাবুল মিয়া (৫৪) অভিযোগ করেন, গত ১২ নভেম্বর রাতে তিনি দুই যাত্রী নিয়ে জালকুড়ি এলাকায় পৌঁছালে ২০/২৫ জন ব্যক্তি রাস্তা অবরোধ করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এসময় তারা জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক স্লোগান দিতে থাকে।
পরবর্তীতে তারা তাঁর সিএনজিতে (ঢাকা-থ-১১-৯৯২১) পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি জানান। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ সিএনজিটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আমরা প্রতিটি নাশকতার ঘটনা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ইতোমধ্যে পৃথক দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে এবং তদন্ত দ্রুত গতিতে চলছে। জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে যারা এই ধরনের জঘন্য কাজ করছে, তারা যেই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।