পাবনার চাটমোহরে দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় চারটি মোটরসাইকেল ও দুটি দোকান ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২৩ জুন) সকালে এবং দুপুরে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামে সংঘর্ষে জড়ায় পক্ষ দুইটি। চাটমোহর থানার ওসি মনজুরুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আহতরা হলেন- রতনপুর গ্রামের মৃত আজিজল বিশ্বাসের ছেলে আনিছুর রহমান, নুর ইসলামের ছেলে রনজু প্রামাণিক, তার ভাই মোসলেম প্রামাণিক, শহিদ হোসেনের ছেলে পলক হোসেন, বাবলু হোসেনের ছেলে মারুফ হোসেন, মৃত আমজাদ বিশ্বাসের ছেলে ফরিদ বিশ্বাস, তালেব বিশ্বাসের ছেলে আফসার বিশ্বাস, আফসার বিশ্বাসের ছেলে সুমন হোসেন, সাত্তার হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম, শাহজাহান আলীর ছেলে জনি হোসেন ও মৃত নিজাম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিমসহ অন্তত ১৫ জন।

আরো পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ পক্ষের সংঘর্ষ, কব্জি বিচ্ছিন্নসহ আহত ৬

যশোরে সংঘর্ষে আহত যুবদল কর্মীর মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৩ 

এলাকাবাসী জানান, রতনপুর গ্রামের গরু ব্যবসায়ী জনি হোসেনের সঙ্গে একই গ্রামের ব্যবসায়ী আইনুল বিশ্বাসের পিকআপ ট্রাকের শেয়ারে ব্যবসা ছিল। আজ সকালে ট্রাকের শেয়ার নিয়ে আইনুল ও জনির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জেরে আইনুলের লোকজন মথুরাপুর গ্রামে গরুর খামার এলাকায় গিয়ে জনিকে মারধর করে। জনিকে মারধরের খবর তার সমর্থকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে তারা রতনপুর গ্রামে আইনুলের বাড়িতে যান।

সেখানে তারা আইনুলের আত্মীয় ও গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। সংঘর্ষ চলকালে ওই গ্রামের সাবেক মেম্বার মোজাম্মেল হোসেনের দুইটি দোকান এবং চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

চাটমোহর থানার ওসি মনজুরুল আলম বলেন, ‍“পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে সেখানকার পরিবেশ শান্ত আছে। থানায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ আইন ল ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচিতে ফেনীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫

ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচি পালনকালে সংঘর্ষে  জড়িয়েছে বিএনপির দুই পক্ষ। এসময় উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ নেতাকর্মী আহত হন।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পৌর শহরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেনের নেতৃত্বে একটি বিজয় র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি পৌর শহরের চৌমুহনী রোড হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকায় পৌঁছায়। এসময় সেখানে অবস্থানরত পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন এবং জেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি কাজী জামশেদুর রহমান ফটিকের অনুসারীদের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। তারা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করেন।

আরো পড়ুন:

গোবিপ্রবিতে ২ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, প্রক্টর-প্রাধ্যক্ষসহ আহত ১৫

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

আহতদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইমুন হক রাজীব, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম মানিক, ইঞ্জিনিয়ার সোহেল, সরোয়ার জাহান, বেলাল, সিফাত, মিলন, সঞ্জিত দাস, জাহাঙ্গীর ও জাহানারা বেগমসহ অন্তত ১৫ জন।

দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকবর হোসেন বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ র‍্যালিতে অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়েছে। বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা ফটিক ও কর্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে আসা আবুল হাসেম বাহাদুরের নেতৃত্বে হামলা হয়।”

পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপনের দাবি, “আমরা জিরো পয়েন্টে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি আয়োজন করি। আকবর গ্রুপের লোকজন সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে উসকানিমূলক স্লোগান দিলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আমাদের সাতজন কর্মী আহত হয়েছেন।”

দাগনভূঞা থানার ওসি মো. ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে, পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে।”

ঢাকা/সাহাব/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিদ্ধিরগঞ্জে সেনাবাহিনী প্রজেক্টের মালামাল চুরিতে বাঁধা দেয়ায় যুবককে ছুরিকাঘাত
  • সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির বিজয় র‍্যালিতে শাহ আলম মানিকের শোডাউন
  • জেলা বিএনপির বিজয় র‍্যালিতে শাহ আলম মানিকের শোডাউন
  • গণঅভ্যুত্থান দিবসের কর্মসূচিতে ফেনীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
  • কিশোরগঞ্জে আনন্দ মিছিলে বিএনপি নেতার মৃত্যু, অসুস্থ ৩
  • বন্দরে ৭২ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি আটক