ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ ঘটনায় চার শিশুসহ ছয়জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে দ্য কিয়েভ ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার রাত ১টার দিকে একাধিক বিস্ফোরণ ও কামিকাজ ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। এর এক ঘণ্টা পর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রুশ বাহিনী। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে এ হামলা চলে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

রাশিয়ার হামলায় শহরের শেভচেনকিভস্কি জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে একটি পাঁচতলা ভবন আংশিক ধসে পড়েছে। এ ঘটনায় ছয়জন মারা গেছে। এ ছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও অনেকে আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কিয়েভ ওব্লাস্ট সামরিক প্রশাসন জানিয়েছে, বৃহত্তর কিয়েভ ওব্লাস্ট, বিলা তেরকভাতে একজন নারী নিহত এবং আটজন আহত হয়েছে। কিয়েভ ওব্লাস্টের রাজধানীর আশপাশ এলাকায়ও হতাহতের খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত বুচা শহর রয়েছে।

এদিকে পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইউক্রেনও। সেনারা এক দিনেই ৪০টির বেশি রুশ আক্রমণ প্রতিহত করেছে বলে দাবি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, কিয়েভ এবার রুশ ভূখণ্ডের গভীরে সামরিক ঘাঁটি ও অস্ত্রভাণ্ডারে পাল্টা হামলা জোরদার করবে। খবর আলজাজিরার।


 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্লোটিলা বহরে ভেসে চলা একমাত্র জাহাজ ম্যারিনেট কোথায়

ফিলিস্তিনের গাজা অভিমুখে যাত্রা করা ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’-এর একটি মাত্র নৌযান এখনো আটক করতে পারেনি ইসরায়েলি বাহিনী। এই নৌযানটি হলো দ্য ম্যারিনেট।

পোল্যান্ডের পতাকাবাহী এই নৌযানে ছয়জন আরোহী রয়েছেন ।

ফ্লোটিলার লাইভ ট্র্যাকার অনুযায়ী, ম্যারিনেট আন্তর্জাতিক জলসীমায় ভেসে চলেছে। এর গতি ঘণ্টায় প্রায় ২.১৬ নট (ঘণ্টায় প্রায় ৪ কিলোমিটার) , গাজার আঞ্চলিক জলসীমা থেকে ম্যারিনেটের দূরত্ব  প্রায় ১০০ কিলোমিটার।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে জাহাজটির ক্যাপ্টেন বলেন, ম্যারিনেটের ইঞ্জিনে সমস্যা হচ্ছিল। এটি  এখন সারানো  হয়েছে।

ফ্লোটিলা আয়োজকেরা বলছেন, ম্যারিনেট নৌযান এখনো স্টারলিঙ্কের মাধ্যমে সংযুক্ত। এটি যোগাযোগের আওতার মধ্যেই রয়েছে। লাইভস্ট্রিমও সক্রিয় আছে।  

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, অন্য জাহাজগুলো আটক করলেও ম্যারিনেট এখনো ভেসে চলছে।

ম্যারিনেট ফিরে যাবে না বলেও ওই পোস্টে জানানো হয়েছে।  পোস্টে বলা হয়েছে, ‘ম্যারিনেট শুধু একটি জাহাজ নয়। ম্যারিনেট হলো ভয়, অবরোধ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়তা।’

ফ্লোটিলা আয়োজকরা আরও লিখেছেন, ‘গাজা একা নয়।’ ‘ফিলিস্তিনকে কেউ ভুলে যায়নি। আমরা কোথাও যাচ্ছি না।’

ফ্লোটিলা বহরের প্রায় সব নৌযানে থাকা অধিকারকর্মীদের আটক করেছে ইসরায়েল। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ অধিকারকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ। ইসরায়েলের এমন পদক্ষেপকে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে অনেক দেশ। বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভও হয়েছে।

আরও পড়ুনগাজা অভিমুখী নৌবহরে ইসরায়েলি সেনাদের আক্রমণ, ধরে নেওয়া হলো অধিকারকর্মীদের৬ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ