Risingbd:
2025-10-03@05:39:06 GMT

বাবা হারালেন পিয়া জান্নাতুল

Published: 24th, June 2025 GMT

বাবা হারালেন পিয়া জান্নাতুল

মডেল, অভিনেত্রী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়ার বাবা মারা গেছেন। সোমবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মাহমুদ হাসান চৌধুরী (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

পিয়া জান্নাতুলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে বাবার মৃত্যুর খবরটি জানানো হয়। বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়েই তিনি খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। জানা গেছে, সেখানেই তার বাবার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে।

পরিবারের পক্ষ থেকে মাহমুদ হাসান চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করে সবার কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত

আজোয়ার ফাগুনের ফটোশুটে তারা

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। রবিবার (২২ জুন) খুলনার একটি হাসপাতালে তার গলব্লাডারের অপারেশন হয়। পরের দিন সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ খেতাব জয় করে আলোচনায় আসেন পিয়া জান্নাতুল। ২০০৮ সালে র‌্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর টিভি বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রে কাজ করে দেশের অন্যতম পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।

২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ সিনেমার মাধ্যমে রূপালি পর্দায় অভিষেক হয় পিয়ার। অভিনয়ের পাশাপাশি আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করছেন এই অভিনেত্রী।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইকে বাঁচাতে বান্ধবীকে ফাঁসানোর অভিযোগ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় বান্ধবীর ছবি তুলেছিলেন ভাই। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালে ভাইকে বাঁচাতে উল্টো বান্ধবীর নামে মিথ্যা চুরির মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তানিয়া হক নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। 

এছাড়াও চুরির ঘটনার কোনো তদন্ত ছাড়াই মামলা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা জজকোর্টের সামনে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল। 

পাবনা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আখতারুজ্জামানের আদালত ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা সানিমুনকে জামিন দিয়েছেন।

অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল বলেন, “আমার মক্কেল ইফফাত মোকাররমা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতায় পেশায় নিয়োজিত। তিনি একজন সম্মানিত লোক। মামলার বাদীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিন বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের কারণে তার বান্ধবীর বাসায় গিয়েছিলেন এবং একসঙ্গে ঘোরাঘুরির পর যখন রাত্রীযাপন করছিলেন সেই সময়ে বাদীর ভাই ইফফাত মোকাররমার ছবি তুলেছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান এবং ছবিগুলো দেখানোর জন্য অনুরোধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরেরদিন সকালে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে ইফফাত মোকাররমা ঢাকায় চলে যান এবং সেখানে জিডি করেন। কিন্তু এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো ইফফাত মোকাররমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির মামলা দায়ের করেন তার বান্ধবী।”

তিনি আরো বলেন, “বাদী তানিয়া হক উল্লেখ করেছেন ২৬ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে যা তিনি তার শরীরে পড়ে তার বান্ধবীর সঙ্গে ঘুড়ে বেড়িয়েছিলেন। কিন্তু ওইদিনের ঘোরাঘুরির ছবিতে তার শরীরে কোনো স্বর্ণালঙ্কার ছিল না। এছাড়াও ঘটনার দুইদিনের মাথায় যেভাবে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে তাতে বোঝা যায় কোনো তদন্ত ছাড়াই থানা কোনো পক্ষ থেকে প্রভাবিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেছেন।”

ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা বলেন, “এই মামলার নূন্যতম প্রমাণ নেই। আমি যে একজন শিক্ষক হিসেবে আমার ছাত্রদের সামনে দাঁড়াবো সেই অবস্থাও তারা আমাকে রাখেনি। আমার সন্তানসহ পুরো পরিবার সামাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন হচ্ছে। আমি চাই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

এ বিষয়ে মামলার বাদীর তানিয়া হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “উনি (আইনজীবী) উনার মক্কেলের জন্য এসব কথা বলতেই পারেন। উনার মক্কেলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ঘটনার তদন্ত করে এবং আইনানুগভাবেই মামলা দায়ের হয়েছে, যা এখনও তদন্ত চলছে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঋণ আদায়ে লাগবে ৩৩৩ বছর
  • ভাইকে বাঁচাতে বান্ধবীকে ফাঁসানোর অভিযোগ