মডেল, অভিনেত্রী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়ার বাবা মারা গেছেন। সোমবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন মাহমুদ হাসান চৌধুরী (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
পিয়া জান্নাতুলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া স্ট্যাটাসে বাবার মৃত্যুর খবরটি জানানো হয়। বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়েই তিনি খুলনার উদ্দেশে রওনা হন। জানা গেছে, সেখানেই তার বাবার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে।
পরিবারের পক্ষ থেকে মাহমুদ হাসান চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করে সবার কাছে দোয়া চাওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন:
মডেল মেঘনা আলম কারামুক্ত
আজোয়ার ফাগুনের ফটোশুটে তারা
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। রবিবার (২২ জুন) খুলনার একটি হাসপাতালে তার গলব্লাডারের অপারেশন হয়। পরের দিন সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ খেতাব জয় করে আলোচনায় আসেন পিয়া জান্নাতুল। ২০০৮ সালে র্যাম্প মডেলিংয়ের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর টিভি বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রে কাজ করে দেশের অন্যতম পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন।
২০১২ সালে ‘চোরাবালি’ সিনেমার মাধ্যমে রূপালি পর্দায় অভিষেক হয় পিয়ার। অভিনয়ের পাশাপাশি আইনজীবী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস করছেন এই অভিনেত্রী।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির করা মামলায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান আজ শনিবার এই আদেশ দেন।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হাতিরঝিল থানা থেকে হিরো আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে সিএমএম আদালতের ৯তলার এজলাসে নেওয়া হয়।
হিরো আলমের পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক ২০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে হিরো আলমের মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলার বাদী রিয়া মনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিরো আলমের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। আমাকে যেমন বিনা কারণে জেল খাটিয়েছে, তারও জেলে থাকা উচিত।’
এর আগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন এলাকা থেকে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলম ও তাঁর সহযোগী আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুসারেই হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় রিয়া মনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হিরো আলম ও বাদী রিয়া মনির মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর হিরো আলম বাদীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন বাদীর পরিবারের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডাকা হয়। ওই সময়ে হিরো আলমসহ ১০ থেকে ১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাঁরা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। এতে বাদীর শরীরে জখম হয়। এ সময় তাঁর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনরিয়া মনির মামলায় হিরো আলম গ্রেপ্তার২ ঘণ্টা আগে