সেঞ্চুরিতে ১৫ বছরের পুরনো রেকর্ড ছুঁলেন ডাকেট, বৃষ্টির চোখ রাঙানি
Published: 24th, June 2025 GMT
চতুর্থ ইনিংসে ৩৭১ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দিয়েও নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারছে না ভারতীয় শিবির। হেডিংলিতে যেন সময়টাই এখন ইংল্যান্ডের! ওপেনার বেন ডাকেট ও জ্যাক ক্রাউলির ব্যাটে এমন জমাট আক্রমণ শুরু হয়েছে, যেন ম্যাচের রাশ তাদের হাতেই।
ভারতের বোলিং আক্রমণের বিপরীতে কোনো ভয়ই যেন কাজ করছে না ইংলিশ উদ্বোধনী জুটির। উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে যোগ হয়েছে ১৮৭ রান। গড়েছেন দুর্দান্ত রেকর্ডও।
বেন ডাকেট নাম লেখালেন এক অনন্য কীর্তিতে। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডের পক্ষে সেঞ্চুরি করা ওপেনারদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ১৫ বছর পর। সর্বশেষ এমন কীর্তি গড়েছিলেন অ্যালিস্টার কুক, ২০১০ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে মিরপুরে। এবার হেডিংলিতে সেই ইতিহাস পুনরায় লিখলেন ডাকেট। ১২১ বলে ১৪ চারে সেঞ্চুরি করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
রাহুল-পন্তের জোড়া সেঞ্চুরিতে বড় টার্গেট ছুঁড়ল ভারত
ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের একাদশ ঘোষণা
এটা তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরি। আর ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয়। চাপের মুহূর্তে তার ব্যাটে এমন নির্ভার খেলা নিঃসন্দেহে ইংল্যান্ডকে এনে দিয়েছে সাহস আর ভারতকে ঠেলে দিয়েছে দুশ্চিন্তার মধ্যে। এ রিপোর্ট লেখার সময় তার সঙ্গে ক্রাউলি অপরাজিত আছেন ৬৫ রানে। ডাকেট ১০৬ রানে।
ভারত যখন মাঠের ভেতর ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের সামনে অসহায়, তখন মাঠের বাইরের সহায় হয়ে এসেছে প্রকৃতি। হঠাৎ বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। যার ফলে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল ভারত। তবে এই বিরতি সাময়িক। ইংল্যান্ড যদি এই ছন্দ ধরে রাখতে পারে তবে চতুর্থ ইনিংসে ৩৭১ রান তাড়া করার রেকর্ড গড়তেও আশ্চর্য হতো না। চাপটা এখন ভারতের কাঁধেই। বৃষ্টি যদি ম্যাচের বড় অংশ নষ্ট না করে, তাহলে সামনে এক উত্তেজনাপূর্ণ শেষ দিন অপেক্ষা করছে।
হেডিংলির এই টেস্ট যেন এক টানটান সাসপেন্সের গল্প—যেখানে প্রতিটি মুহূর্তে বদলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। ভারত যেখানে ভাবছিল ম্যাচটা নিয়ন্ত্রণে, সেখানেই ডাকেট–ক্রাউলি দেখিয়ে দিলেন, ক্রিকেটের শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই নিশ্চিত নয়। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, এই ম্যাচে শেষ হাসি কে হাসে; ইংল্যান্ড, ভারত নাকি বৃষ্টি?
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পৃথিবীর দীর্ঘতম রাতও ভোর হয়, আমাদেরও বোধোদয় হোক
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গে আমার সম্পর্কের শুরুর কথা বলতে গেলে পিছিয়ে যেতে হবে ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরে। সেই বছর আমি দ্বিতীয় জাতীয় দাবার বাছাইপর্বে প্রথম অংশগ্রহণ করি। তখন আমার বয়স ছিল ৯ বছর। আর এ বছর আমি ৫৯তম জন্মদিন পালন করলাম। অর্থাৎ পুরো অর্ধশতক। এই ৫০ বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের ক্রীড়াজগৎ নিয়ে আমাকে কিছু বলতে বলা হয়েছে।
স্বাধীনতার পরপর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবল ছিল মূল খেলা। এ দেশের মানুষ বরাবরই ফুটবলপ্রিয়। ১৯৫৮ সাল থেকে ঢাকায় আগা খান গোল্ড কাপের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো। স্বাধীনতার পরও খেলার তারকা বলতে আমরা ফুটবলারদেরই বুঝতাম। সালাহউদ্দিন ভাই, এনায়েত ভাই, চুন্নু ভাই, আসলাম ভাই—ওনারাই ছিলেন সত্তর–আশি দশকের তারকা। আমি নিজেও কিন্তু এই ফুটবল উন্মাদনার মধ্যে বড় হয়েছি। প্রতিদিন বিকেল হওয়ার আগেই আমি পাড়ার মাঠে ফুটবল খেলতে নেমে পড়তাম। ১৯৭৭ সালে আমি জাতীয় দাবা খেলোয়াড় হয়ে গেছি, কিন্তু ফুটবল খেলা মিস দিতাম না। দাবাগুরু কাজী মোতাহার হোসেন আমার সঙ্গে দাবা খেলতে আসতেন। বাইরে থেকে ফুটবল খেলার আওয়াজ আসত, আর আমার মন ছটফট করত। কিন্তু এমন একজন মনীষী সামনে বসা, আমার কিছু করার থাকত না।
আরও পড়ুনবিচারক ও পাঠকদের রায়ে বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ ঋতুপর্ণা৮ ঘণ্টা আগে১৯৭৬ থেকে ১৯৮০ সালের মধ্যে এমসিসি, ভারতের ডেকান ব্লুজ এবং শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দল বাংলাদেশ সফরে আসে। আমরা এই ম্যাচগুলো মাঠে গিয়ে দেখেছি। এই সময় ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা একটু বাড়তে থাকে। রকিবুল হাসান, ইউসুফ রহমান বাবু, জাহাঙ্গীর শাহ বাদশা, শফিকুল হক হীরা প্রমুখ ঘরে ঘরে বেশ পরিচিত নাম হয়ে ওঠেন। হকি তারকা সাব্বির ইউসুফ, আবদুস সাদেক প্রমুখের নাম আমরা শুনেছিলাম, কিন্তু তাঁদের ফুটবলারদের মতো ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল না। তবে দাবা ফেডারেশনের রুমটা হকি স্টেডিয়ামের উল্টো দিকে হওয়ায় আমরা বারান্দায় দাঁড়িয়ে প্রায়ই হকি খেলা দেখতাম।
সিটি গ্রুপ–প্রথম আলো ক্রীড়া পুরস্কার ২০২৪ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন (বাঁ থেকে) শেখ মোহাম্মদ আসলাম, নিয়াজ মোরশেদ, সাবরিনা সুলতানা ও আসিফ হোসেন