নরসিংদী ডিসি অফিসের কর্মচারীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা
Published: 24th, June 2025 GMT
নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারী ইকরাম হোসেনের (৪২) বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন এক নারী।
সোমবার (২৩ জুন) ভুক্তভোগী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করলে বিচারক মো. আলী আহসান মাধবদী থানার ওসিকে মামলা রেকর্ড করার নির্দেশ দেন। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী খন্দকার আব্দুল হালিম।
অভিযুক্ত ইকরাম পূর্ব ভেলানগরের বাসিন্দা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী নাজির হিসেবে কর্মরত।
আরো পড়ুন:
বেরোবি প্রশাসনের বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার কর্মচারী
খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদীর বাবা পঙ্গু। বাবার চলাফেরার সুবিধার জন্য তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি হুইল চেয়ারের আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী নাজির ইকরাম হোসেন আবেদনকারীর ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন।
এরপর থেকে ইকরাম নিয়মিত বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। কিছুদিনের আলাপে ইকরাম বাদীকে ভালোবাসার কথা বলেন এবং বিয়ের আশ্বাস দেন। গত ৯ মার্চ বাদীকে মাধবদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গাজী আবাসিক হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ইকরাম।
মামলার বাদী জানান, ধর্ষণের পর তিনি বারবার বিয়ের কথা তুললেও ইকরাম নানা অজুহাতে সময় কাটাতে থাকেন। এ সময় তার কাছ থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেন ইকরাম।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইকরামের মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে, তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
বাদীর আইনজীবী খন্দকার আব্দুল হালিম বলেন, “ভুক্তভোগী নারী আদালতে মামলা করেছেন।”
ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সংরক্ষিত বনাঞ্চল ও সন্নিকটের নয়টি বালুমহালের ইজারা কার্যক্রম স্থগিত
কক্সবাজারের চকরিয়া, রামু ও উখিয়া—এই তিন উপজেলার সংরক্ষিত–রক্ষিত বনাঞ্চল এবং সন্নিকটে অবস্থিত নয়টি বালুমহালের ইজারা কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। ওই বন এলাকা থেকে বালু উত্তোলনে জড়িত ইজারাগ্রহীতাসহ দোষী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি এবং বালু উত্তোলনের ফলে বনের যে ক্ষতি হয়েছে, তা নিরূপণ করে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এ আদেশ দেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) গত মাসে রিটটি করে।
নয়টি বালুমহাল হচ্ছে চকরিয়ার খুটাখালী মৌজার খুটাখালী-১; রামুর ধোলিরছড়া মৌজার ধলিরছড়া এবং পানিরছড়া খাল; উখিয়ার উখিয়া ঘাট মৌজার বালুখালী-১, উয়ালাপালং এবং রাজাপালং মৌজার দোছড়ি বালুমহাল, পালংখালী মৌজার পালংখালী; রাজাপালং মৌজার হিজলিয়া, ধোয়াংগারচর ও কুমারিয়ারছড়া।
আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গোলাম রহমান ভূঁইয়া।
বেলা জানায়, জেলা প্রশাসক কক্সবাজার জেলার ৫টি উপজেলায় মোট ২৭টি বালুমহালের তালিকা প্রস্তুত করে ২০২৫-২৬ (১৪৩২ বঙ্গাব্দ) সালের জন্য ইজারার উদ্দেশ্যে গত ১১ মার্চ দরপত্র আহবান করেন। ২৭টি বালুমহালের মধ্যে ওই ৯টি বালুমহাল সংরক্ষিত ও রক্ষিত বনের মধ্যে এবং কাছাকাছি। তাই সংশ্লিষ্ট বনের পরিবেশ ও প্রতিবেশের সম্ভাব্য ক্ষতি বিবেচনা করে ওই বালুমহালগুলো ইজারা প্রদান থেকে বিরত থাকতে কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তারা কক্সবাজার জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেন। এই অনুরোধ উপেক্ষা করে তিনটি বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। অন্যগুলোর ইজারাপ্রক্রিয়া চলমান। এ অবস্থায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বালু উত্তোলনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সংরক্ষিত ও রক্ষিত বন রক্ষায় রিটটি করে।
নয়টি বালুমহাল ইজারার জন্য তালিকাভুক্ত করা সংবিধান ও অন্যান্য আইনের পরিপন্থী বলে কেন তা বেআইনি ও জনস্বার্থবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়েছে বলে জানান বেলার অন্যতম আইনজীবী এস হাসানুল বান্না। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ওই বালুমহালগুলো বিলুপ্ত ঘোষণা এবং ইজারাযোগ্য বালুমহালের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে সংরক্ষিত–রক্ষিত বনাঞ্চলের সুরক্ষা নিশ্চিতের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে। বালু উত্তোলনের ক্ষতি নিরূপণ করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, রুলে তা–ও জানতে চাওয়া হয়েছে।