রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু
Published: 25th, June 2025 GMT
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম কবির হোসেন (৩৭)। বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায়।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেল ৩টায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
বুধবার (২৫ জুন) সকালে রামেক হাসপাতালের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন:
ডোমারে বজ্রপাতে স্কুলছাত্র নিহত, আহত ৩
ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রপাতে দিনমজুরের মৃত্যু
প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ১৯ জুন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কবির হোসেনকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সকালে তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেলে তিনি মারা যান।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, চলতি মৌসুমে মোট ৭৫ জন ডেঙ্গু রোগী রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এখন পাঁচজন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।
ঢাকা/কেয়া/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তৃণমূল থেকেই উঠে আসবে লাল-সবুজের ভবিষ্যৎ তারকা: আসিফ মাহমুদ
তরুণদের শক্তিকে কাজে লাগাতে মাঠে বড় ক্রীড়া পরিকল্পনা, তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিভাই একদিন গড়বে বাংলাদেশের গর্ব- এমনই আশাবাদী ঘোষণা দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা এবং স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘তৃণমূল পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষণ কর্মসূচি ২০২৪-২৫’ এর সমাপনী ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “প্রশিক্ষণ আর পরিচর্যার মধ্য দিয়েই তৈরি হবে আগামীর চ্যাম্পিয়ন। প্রতিভা হারিয়ে না গিয়ে পথ পাবে বলেই এই কর্মসূচি “
আরো পড়ুন:
কমনওয়েলথ সনদ বাস্তবায়নে যুব সমাজের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ: আসিফ মাহমুদ
স্থানীয় সরকার বিভাগের দুই হাজার কোটি টাকা সাশ্রয়
তিনি বলেন, “প্রতিটি ফেডারেশনের সঙ্গে সমন্বয় করে বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করা হবে প্রতি ৬ মাস অন্তর। এরপর সেই অনুযায়ী নির্ধারিত হবে খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার পথ।
আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়ে তিনি আরো বলেন, “জাতীয় ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অসচ্ছল পরিবার থেকে উঠে আসা ক্রীড়াবিদদের বৃত্তি দেওয়া হবে। যাতে তারা লেখাপড়া ও খেলাধুলা দুটিতেই মনোযোগ দিতে পারে।”
উপদেষ্টা আরো বলেন, “আমরা এমন একটি ইকোসিস্টেম গড়তে চাই, যেখানে গ্রাম থেকে শহর, জেলা থেকে জাতীয়- প্রত্যেক স্তরে প্রতিভা গড়ে উঠবে। এই ইকোসিস্টেমই একদিন আন্তর্জাতিক মঞ্চে লাল-সবুজের পতাকা ওড়াবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অন্বেষণ কর্মসূচির অধীনে ১০টি ক্রীড়া ইভেন্টে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৫০০ জন কিশোর-কিশোরী অংশ নেন। প্রাথমিক বাছাই শেষে ১৬২ জনকে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হয়, যাদের মধ্যে ৮৯ জন বালক ও ৭৩ জন বালিকা।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এমন কর্মসূচি আরও বিস্তৃত হবে। দেশের প্রতিটি অঞ্চলে অন্বেষণ চালিয়ে তৃণমূল থেকে সম্ভাবনাময় ক্রীড়াবিদদের খুঁজে বের করে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য তাদের প্রস্তুত করা হবে।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী