কারামুক্ত গায়ক নোবেল, স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরলেন মোটরসাইকেলে
Published: 25th, June 2025 GMT
ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেল জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুর এলাকার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান।
জামিনের খবর পেয়ে নোবেলকে তাঁর নবাগত স্ত্রী নিতে আসেন। পরে কারামুক্তির পর তাঁরা একসঙ্গে মোটরসাইকেলে কারা চত্বরে কিছুক্ষণ ঘুরে বেড়ান। এ সময় উভয়কে হাসিখুশি দেখা যায়।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার এ কে এ এম মাসুম প্রথম আলোকে বলেন, জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নোবেলকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ২০ মে থেকে কারাগারে ছিলেন গায়ক নোবেল। সেদিন নোবেলের আইনজীবী আদালতের কাছে দাবি করেছিলেন, যে নারী ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন, তিনি তাঁর স্ত্রী। তিনি ধর্ষণ করেননি। ওই নারীকে স্ত্রী হিসেবে দাবি করলেও আদালতে কাবিননামা জমা দিতে পারেননি নোবেলের আইনজীবী জসীম উদ্দিন। ওই নারীকে সাত মাস ধরে একটি বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয় নোবেলের বিরুদ্ধে। পরবর্তী সময় ১৯ জুন উভয়ের সম্মতি সাপেক্ষে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন করে আদালতকে অবগত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয় কারা কর্তৃপক্ষকে। সেদিনই কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে তাঁদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। এ সময় নোবেল ও সেই নারী এবং দুজনের পক্ষ থেকে চারজন সাক্ষী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুনধর্ষণ মামলায় জামিন পেলেন নোবেল২১ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনধর্ষণ মামলার বাদীকে বিয়ে করার অনুমতি পেলেন নোবেল১৮ জুন ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: দুদক চেয়ারম্যান
দুর্নীতির অভিযোগে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে করা মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেছেন, এটি কাউকে ছোট করার জন্য করা মামলা নয়, বরং সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এক অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীর পাঠানো চিঠির প্রসঙ্গে আবদুল মোমেন বলেন, চিঠিপত্র চালাচালির মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি সম্ভব নয়। আদালতে গিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই তাঁকে মামলা মোকাবিলা করতে হবে।
টিউলিপের আইনজীবীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে যে দুদক ব্রিটেনের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করছে, তা নাকচ করে দিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমার সহজ প্রশ্ন—টিউলিপ সিদ্দিকের মামলা কি এমন কোনো বিষয় যে ব্রিটেনের রাজনীতি ধসে পড়বে? এটা তো আমরা অন্যভাবেও দেখতে পারি। মামলাটি সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ায় পরিচালিত হচ্ছে, এখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।’
আবদুল মোমেন আরও বলেন, ‘টিউলিপ আমাদের কাছে একজন বাংলাদেশি নাগরিক। তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র ও টিআইএন নম্বর রয়েছে। তাই বাংলাদেশে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, তিনি দেশের আইন মেনে আদালতে উপস্থিত হবেন।’
চেয়ারম্যান জানান, টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তিনটি মামলা হয়েছে এবং তিনি উপস্থিত না হলে তাঁর অনুপস্থিতিতেই মামলার বিচার চলবে।
ব্রিটেনের রাজনীতিতে দুদকের কোনো হস্তক্ষেপ নেই, দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমাদের কার্যপরিধিতে বিদেশি রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। টিউলিপ যদি আইন না মানেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে—যেমনটি অন্য অভিযুক্তদের ক্ষেত্রেও হয়।’
টিউলিপের আইনজীবীকে ‘শব্দচয়নে সচেতন’ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে আবদুল মোমেন বলেন, ‘ওই সব বক্তব্যে নিজেদের দেশ ও রাজনীতিকেই ছোট করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের রাজনীতি কি এতটাই ভঙ্গুর যে একটি মামলার কারণে তা নড়বড়ে হয়ে যাবে।’
চেয়ারম্যান আরও জানান, ২০১৩, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের বিতর্কিত ঘটনাগুলো নিয়েও বর্তমানে কাজ করছে দুদক।