পঞ্চগড়ের তিন সীমান্ত এলাকা দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৮ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বুধবার তেঁতুলিয়া উপজেলার শুকানি, সদর উপজেলার টোকাপাড়া ও জয়ধরভাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে তাদের ঠেলে পাঠানোর পর আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবি ও সীমান্ত সূত্র জানায়, বুধবার ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন শুকানি সীমান্ত দিয়ে ভারতের ট্যাপরাভিটা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা পাঁচ নারী ও শিশুকে সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠায়। বিজিবির ভজনপুর বিওপির একটি টহল দল তেঁতুলিয়ার দেবনগর ইউনিয়নের ধানশুকা এলাকা থেকে তাদের আটক করে। একই সময়ে সদর উপজেলার টোকাপাড়া সীমান্ত দিয়ে আরও ছয়জনকে ঠেলে পাঠানো হয়। বিজিবি টহল দল কমলাপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। 

অন্যদিকে, সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের জয়ধরভাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের শ্যাম বিওপির সদস্যরা সাতজনকে ঠেলে পাঠায়। সকালে তাদের আটক করেন জয়ধরভাঙ্গা বিওপির বিজিবি সদস্যরা।
সদর থানার ওসি আবদুল্লাহ হিল জামান বলেন, বিএসএফের ঠেলে পাঠানো ১৩ জনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। তারা সবাই বাংলাদেশি। তাদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তাদের পরিচয় যাচাই সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে বাকি পাঁচজনকে তেঁতুলিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। এর আগে চলতি বছর পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ছয় দফায় নারী-শিশুসহ ৮৩ বাংলাদেশিকে একইভাবে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপজ ল র ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইবোনের শেষ দেখা করাল বিজিবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে এক বিরল মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এক ভারতীয় বৃদ্ধার মরদেহ তার বাংলাদেশি স্বজনদের শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দিয়েছে।

শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর সীমান্তের শূন্য রেখায় এই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা ঘটে। এ সময় বিজিবি ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

কলমাকান্দায় ৩৯ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার

উখিয়ায় ৪ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার

মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, মৃত নারীর নাম সেলিনা বেগম। বার্ধক্যজনিত কারণে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ভারতের মালদা জেলার গোপালগঞ্জ থানার শ্মশানী-চকমাহিলপুরের নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি মৃত গাজলুর রহমানের স্ত্রী। মৃত সেলিনা বেগমের ভাই, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোল্লাটোলা-বাগিচাপাড়ার বাসিন্দা তোফাজ্জল হক।

তিনি জানান, তার বোনের মরদেহ শেষবারের মতো দেখার জন্য বিজিবির কাছে আবেদন জানান। আবেদনের গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় বিজিবি। তারা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে মরদেহ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার সকালে আন্তর্জাতিক সীমারেখায় সীমান্ত পিলার ১৮২/২-এস এর নিকট শূন্য লাইনে তোফাজ্জল হককে তার প্রয়াত বোনের মরদেহ দেখানোর সুযোগ দেয়া হয়।

তিনি আরো জানান, সীমান্তে বিজিবি সবসময় অত্যন্ত মানবিক ভূমিকা পালন করতে চায়। মরদেহ স্বজনদের দেখানোসহ এ ধরনের কার্যক্রমকে বিজিবি মৌলিক কর্তব্য মনে করে।

দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এমন উদ্যোগকে স্থানীয়রা উচ্চ প্রশংসা করেছে। তারা বলছেন, এটি প্রমাণ করে যে মানবিক সম্পর্ক সীমান্তের বেড়াজাল পেরিয়েও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

ঢাকা/মেহেদী/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভাইবোনের শেষ দেখা করাল বিজিবি