পঞ্চগড় সীমান্তে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
Published: 25th, June 2025 GMT
পঞ্চগড়ের তিন সীমান্ত এলাকা দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৮ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। বুধবার তেঁতুলিয়া উপজেলার শুকানি, সদর উপজেলার টোকাপাড়া ও জয়ধরভাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে তাদের ঠেলে পাঠানোর পর আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজিবি ও সীমান্ত সূত্র জানায়, বুধবার ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন শুকানি সীমান্ত দিয়ে ভারতের ট্যাপরাভিটা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা পাঁচ নারী ও শিশুকে সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠায়। বিজিবির ভজনপুর বিওপির একটি টহল দল তেঁতুলিয়ার দেবনগর ইউনিয়নের ধানশুকা এলাকা থেকে তাদের আটক করে। একই সময়ে সদর উপজেলার টোকাপাড়া সীমান্ত দিয়ে আরও ছয়জনকে ঠেলে পাঠানো হয়। বিজিবি টহল দল কমলাপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের জয়ধরভাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফের শ্যাম বিওপির সদস্যরা সাতজনকে ঠেলে পাঠায়। সকালে তাদের আটক করেন জয়ধরভাঙ্গা বিওপির বিজিবি সদস্যরা।
সদর থানার ওসি আবদুল্লাহ হিল জামান বলেন, বিএসএফের ঠেলে পাঠানো ১৩ জনকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। তারা সবাই বাংলাদেশি। তাদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। তাদের পরিচয় যাচাই সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বাকি পাঁচজনকে তেঁতুলিয়া থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। এর আগে চলতি বছর পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ছয় দফায় নারী-শিশুসহ ৮৩ বাংলাদেশিকে একইভাবে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁর দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৮ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট ও সাপাহার সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ ১৮ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদের আটক করে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি।
বিজিবি, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে গতকাল রাতের কোনো এক সময় ১৪ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। পরে রাত ৩টার দিকে ২৭১/১ এস সীমান্ত পিলারের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কালুপাড়া এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে বিজিবি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁদের ধামইরহাট থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। আটক ১৪ জনের মধ্যে ৯ জন নারী ও পাঁচজন পুরুষ। তাঁদের বাড়ি খুলনা, নড়াইল ও যশোরের বিভিন্ন এলাকায় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।
নওগাঁর পত্নীতলা ১৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর জানান, বিজিবির হস্তান্তর করা ওই ১৪ জনকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা নিজেদের বাংলাদেশি বলে দাবি করেছেন। তাঁদের দাবি করা পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে গতকাল রাতের কোনো এক সময় সাপাহার উপজেলার বামনপাড়া এলাকা দিয়ে চারজনকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। রাত সাড়ে ৩টার দিকে সীমান্তের ২৪৬/২ এস পিলারের কাছে বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে ওই চারজনকে আটক করে বিজিবি। পরে তাঁদের সাপাহার থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আজিজ বলেন, বিজিবির হস্তান্তর করা ওই চারজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও দুজন নারী। তাঁরা একই পরিবারের সদস্য। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ি নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলায়। তাঁদের দাবি করা পরিচয় যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
এর আগে গত ৩১ জুলাই নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তের আগ্রাদ্বিগুণ এলাকা দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ।