Samakal:
2025-10-03@05:38:48 GMT

নিধির সুরের ভুবন

Published: 26th, June 2025 GMT

নিধির সুরের ভুবন

এবার ঈদে সবচেয়ে ব্যবসাসফল সিনেমা তাণ্ডব। শাকিব খান অভিনীত ও রায়হান রাফী পরিচালিত এই সিনেমা ইতোমধ্যে দর্শক ও সমালোচকদের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু এই সিনেমার সাফল্যের অন্যতম কারিগর আরাফাত মহসিন। এই সিনেমার আবহসংগীত করেছেন তিনি। 

শুধু তাণ্ডব নয়, ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ইনসাফ সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকও করেছেন তিনি। ১৭ বছর ধরে নীরবে নিভৃতে কাজ করা এই তরুণ তুর্কীর সঙ্গে কথা হয় তাঁর স্টুডিও ৫৮–এ।

বেশ কয়েকটি দর্শকনন্দিত সিনেমায় ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের কাজ করেছেন। সেই কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে বলুন।

সবসময় ভালো লাগে। কারণ, ঈদ একটি খুশির সময় এবং দেশের মানুষের খুশির সঙ্গে নিজেকে ভাগ করে নেওয়া আসলেই অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। এ ছাড়া যখন দেখি মানুষ আমার কাজ পছন্দ করছে, ভালোবেসে গ্রহণ করছে তখন আমি অনুপ্রেরণা পাই এবং আরও ভালো ভালো কাজ করার ইচ্ছা জাগে।

এ পর্যন্ত ক’টি সিনেমায় ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের কাজ করেছেন?

এই পর্যন্ত ৯টি সিনেমায় কাজ করা হয়েছে। ‘আইসক্রিম’, ‘ইতি তোমারই ঢাকা’, ‘দামাল’, ‘সুড়ঙ্গ’, ‘তুফান’, ‘দাগী’, ‘বরবাদ’, ‘ইনসাফ’ ও ‘তাণ্ডব’। ভিন্ন ভিন্ন গল্পের এই সিনেমাগুলোয় কাজ করতে গিয়ে নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। 

ওয়েব সিরিজে কাজ করা হয়েছে?

বেশ কয়েকটি ওয়েব সিরিজ ও ফিল্মে কাজ করা হয়েছে এখন পর্যন্ত। ‘কষ্ট নীড়, ‘মাইনকার চিপা’, ‘ইউটিউমার’, ‘খাঁচার ভিতর অচিন পাখি, ‘আধখান আধা মাস্তান’, ‘বোধ’, ‘ব্ল্যাক মানি’, ‘আমলনামা’। এছাড়া ‘বিকেল বেলার পাখি’, ‘মিডল ক্লাস সেন্টিমেন্ট, ‘ইতি মা’ নামের ফিকশনে।

বর্তমান ব্যস্ততা কী নিয়ে?

বর্তমানে কিছু গানের কাজ নিয়ে ব্যস্ততা চলছে। অনেকেই জানে না, আমি নিয়মিত বিজ্ঞাপন নির্মাণ করি। নিজস্ব প্রোডাকশন হাউস ‘সিনকাট পিকচার্স’-এর ব্যানারে কাজগুলো করে থাকি। এছাড়া পরিবার নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। 

‘যাযাবর পাখনা’ দিয়ে নাটকে আপনার কাজ শুরু। এখন কাজ করছেন?

আমার নাটক বা টেলিফিল্মে কাজ শুরু ২০১০ থেকে। শিহাব শাহীনের পরিচালনায় ‘ভালোবাসি তাই’ টেলিফিল্ম দিয়ে যাত্রা শুরু আমার। এর চার বছর পর আসে ‘যাযাবর পাখনা’ শিরোনামের গানটি। সেটি ছিল টেলিফিল্ম রাহাত রহমানের ‘মাংকি বিজনেস’ এর। এছাড়াও ‘অল টাইম দৌড়ের ওপর’ নাটকে ‘ও বন্ধু লাল গোলাপি’ গানটিও সে সময় দর্শক বেশ পছন্দ করে। আপাতত কোনো নাটকের কাজ করা হচ্ছে না।

⁠নতুন অ্যালবাম বা সিঙ্গেলস আসছে কী?

একটু আগে যা বলছিলাম, আমি বেশ কয়েকজন শিল্পীর সঙ্গে একটি কোলাবোরেশন অ্যালবামের প্ল্যান করেছি; যার মধ্যে মৌলিক, ফোক সব ধরনের গান থাকবে। বাউল আবদুর রহমানের কয়েকটি গান করা হয়েছে; যা সময় হলেই প্রকাশ পাবে। 

বাংলা সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিককে আপনি অন্যমাত্রায় নিয়ে গেছেন। এক্ষেত্রে কেউ কি আপনার অনুপ্রেরণা জোগায়? 

দেশের মানুষই প্রথম আমার অনুপ্রেরণার জায়গা। আমার কাজ মানুষের ভালো লাগলে আমি সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত হই। কারণ আমি তাদের জন্যই কাজ করে থাকি। তবুও যাদের কাজ দেখেশুনে বড় হয়েছি তাদের কথা না বললেই নয়। দেশে রবিন ঘোষ, আলাউদ্দিন আলী, আলম খান, সত্য সাহা এবং দেশের বাইরে এ আর রহমান, হ্যান্স জিমার আমার অনুপ্রেরণার জায়গায় সবসময় থাকবেন।

আপনার কাজ দর্শক-শ্রোতা এবং ফিল্ম ক্রিটিকদেরও প্রশংসা কুড়ায়। এক্ষেত্রে আপনার গোপন রহস্য নিয়ে বলুন। 

আমার কোনো গোপন রহস্য নেই। গান নিয়েই মেতে থাকি। প্রচুর গান শুনি এবং চুপচাপ নিজের কাজ করে যাই। আর গান তো আনন্দেরই বিষয়; তাই আনন্দ নিয়েই কাজ করেছি, ভবিষ্যতেও করব।

দেশে বা বিদেশে আপনার পছন্দের মিউজিশিয়ান কারা?

অনেকেই। দেশে হাবিব ওয়াহিদ, বাপ্পা মজুমদার, আলাউদ্দিন আলী, সত্য সাহা, বাউল আবদুর রহমান। বিদেশে এ আর রহমান, অরিজিৎ সিং, থমাস নিউম্যান।

আপনার ব্যক্তিগত জীবন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কিছু বলুন।

আমি পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করি। অনেকেই হয়তো জানেন, এপ্রিলে বিয়ে করি রাবা খানকে। এখন মধুর সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। প্ল্যান আছে, খুব শিগগির দেশে এবং দেশের বাইরে ঘুরতে বের হব আমরা দু’জন। যার যার কাজ নিয়ে পরস্পর আলোচনা করি, সমালোচনা করি। এই তো বেশ কেটে যাচ্ছে। এভাবে কাটে যদি দিন কেটে যাক না.

..এ শহর খুঁজে পাক যাযাবর পাখনা...

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এই স ন ম র ক জ কর র রহম ন কর ছ ন আপন র পছন দ

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ