নাগরপুর বাজারে ‘পলিথিনমুক্ত’ পরিবেশ গড়তে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগ
Published: 26th, June 2025 GMT
‘পলিথিনমুক্ত’ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা মিলনায়তনে ১০ হাজার পাটের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরিফা হক নাগরপুর বাজারের একশ’ মুদি দোকানিকে এসব পাটের ব্যাগ বিতরণ করেন। এছাড়া ১৫ জন অসচ্ছল নারীর মাঝে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়। তারা এই সেলাই মেশিনের মাধ্যমে কাপড়ের ব্যাগ তৈরি করবেন এবং নাগরপুর বাজারে নিয়মিতভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে সেগুলো সরবরাহ করবেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে একদিকে বাজারকে পলিথিনমুক্ত করার পাশাপাশি আরেকদিকে অসচ্ছল নারীদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার পথ করে দেওয়া হয়েছে।
নাগরপুর বাজার বনিক সমিতির সভাপতি আক্তারুজ্জামান বকুল বলেন, ‘পলিথিনমুক্ত’ বাংলাদেশ গড়তে বর্তমান সরকারের অগ্রযাত্রায় যুক্ত হলো নাগরপুর বাজার। নাগরপুর বাজারকে বেছে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসককে তিনি ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের এই উদ্যোগটি আগামী দিনে সারাদেশের বাজারগুলোতে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠতে পারে।
জেলা প্রশাসকের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হবি বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জেলা প্রশাসকের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাছ লাগানো ছাড়াও বাজারকে ‘পলিথিনমুক্ত’ করতে দোকানিদের মাঝে ব্যাগ সরবরাহ এগুলো যুগান্তকারী উদ্যোগ। সত্যিই আমরা যদি তার এই উদ্যোগকে বাস্তবে রূপ দিতে পারি তাহলে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
ব্যাগ বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরাফাত মোহাম্মদ নোমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) দীপ ভৌমিক, নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন গরপ র ব জ র ব তরণ
এছাড়াও পড়ুন:
চলতি অর্থবছরে ৫% জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির; ৪ কারণে চাপে প্রবৃদ্ধি
চলতি অর্থবছর মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কিছুটা বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এডিবির পূর্বাভাস অনুসারে, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ শতাংশ হতে পারে। গত অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন হলো ৪ শতাংশ।
এডিবি আরও বলেছে, তৈরি পোশাক রপ্তানি স্থিতিশীল থাকলেও রাজনৈতিক পরিবর্তন, ঘন ঘন বন্যা, শিল্প খাতে শ্রমিক অস্থিরতা এবং বিরাজমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কারণে দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই চার কারণে প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক প্রবৃদ্ধিতে।
আজ মঙ্গলবার এডিবি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক (এডিও) সেপ্টেম্বর সংস্করণ প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
এডিবি আরও বলেছে, চলতি অর্থবছরে ভোগ্যব্যয় বাড়বে। কারণ, রেমিট্যান্সের প্রবৃদ্ধি পাবে। এ ছাড়া আসন্ন নির্বাচনসংক্রান্ত নানা ধরনের খরচের কারণেও ভোগব্যয় বাড়াবে।
বাংলাদেশে এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জিয়ং বলেন, ‘ভবিষ্যৎ প্রবৃদ্ধিনির্ভর করবে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা বাড়ানো, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ওপর। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্যে মার্কিন শুল্কের প্রভাব এখনো স্পষ্ট নয়। দেশের ব্যাংক খাতের দুর্বলতা অব্যাহত রয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য জরুরি।
এডিবির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য কিছু ঝুঁকি রয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা এবং নীতি বাস্তবায়নের অনাগ্রহ প্রবৃদ্ধির অগ্রগতিতে বাধা হতে পারে। এ জন্য সঠিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বজায় রাখা এবং কাঠামোগত সংস্কার দ্রুততর করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। গত অর্থবছরের তা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ শতাংশ। এর পেছনে রয়েছে পাইকারি বাজারে সীমিত প্রতিযোগিতা, বাজার তথ্যের ঘাটতি, সরবরাহ শৃঙ্খলে বাধা এবং টাকার অবমূল্যায়ন।
এডিবি বলছে, চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হবে ভোগব্যয়, যা শক্তিশালী রেমিট্যান্স প্রবাহ ও নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের কারণে বাড়বে। তবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ও রাজস্বনীতি এবং বিনিয়োগকারীদের সতর্ক মনোভাব বিনিয়োগকে মন্থর করতে পারে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রতিযোগিতা বাড়ায় রপ্তানি খাত এবং এর প্রবৃদ্ধি চাপ বাড়াবে। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে রপ্তানিকারকদের মূল্য কমাতে হতে পারে।