সিলেটে দেড় মাসের শিশুকে গলাকেটে হত্যা, বাবার সুস্থতার দিকে তাকিয়ে পুলিশ
Published: 26th, June 2025 GMT
সিলেটে দেড় মাসের শিশুকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় এখনো অন্ধকারে পুলিশ। তবে আইসিউতে থাকা বাবা আতিকুর রহমানের সুস্থতার দিকে তাকিয়ে আছেন তারা। ইতিমধ্যে তার আঙ্গুলের ছাপও সংগ্রহ করা হয়েছে।
বুধবার নগরীর মেজরটিলা ইসলামপুর এলাকার দেড় মাস বয়সী কন্যা শিশু ইনায়া রহমানের গলাকাটা মরদেহ এবং তার বাবা আতিকুর রহমানের অর্ধ গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি চিকিৎসাধীন।
প্রতিবেশীরা জানান, বুধবার দুপুরে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আতিকুর রহমান। বিকেল ৫ টার দিকে হঠাৎ ঘর থেকে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে দেখতে পান আতিকুর অর্ধ গলাকাটা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন, পাশে তার দেড় মাসের শিশু ইনায়ার রক্তে ভেসে যাচ্ছে। দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন আর আতিকুরকে পাঠানো হয় আইসিউতে।
প্রাথমিকভাবে এটি পারিবারিক ঘটনা হিসেবে মনে হলেও, আসল রহস্য এখনও স্পষ্ট নয়। আসল রহস্যের সন্ধানে রয়েছে পুলিশ।
শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
এসএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম জানান, আতিকুর রহমানের ফিঙ্গার প্রিন্টসহ সব আলামত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম ঘটনার তদন্ত করছে।
তবে নিহত শিশুর মা ঝুমা বেগম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি হঠাৎ দেখেন, মেয়ের গলা কাটছেন তার স্বামী। এরপর তার স্বামীও নিজের গলা কাটতে থাকেন। তার চিৎকারে শুনে লোকজন এগিয়ে আসেন। তারাই মেয়ে ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
প্রবেশপত্র না পাওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেননি ১৭ শিক্ষার্থী
প্রবেশপত্র না পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি জামালপুর পৌর এলাকার দড়িপাড়ায় প্রশান্তি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৭ শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সকালে পরীক্ষা না দিতে পেরে কলেজটির সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বুধবার রাত ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে প্রবেশপত্র না পেয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে হট্টগোল শুরু করেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এক পর্যায়ে কলেজের সাইনবোর্ড খুলে ফটকে তালা দিয়ে পালিয়ে যান অধ্যক্ষসহ প্রতিষ্ঠানটির লোকজন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে প্রবেশপত্র ও রেজিস্ট্রেশন বাবদ অতিরিক্ত টাকা নিলেও রেজিস্ট্রশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দিতে পারেনি কলেজ কর্তৃপক্ষ। ভুক্তভোগীদের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ১০ জন, মানবিকের চারজন ও ব্যবসায়ী শিক্ষার তিনজন শিক্ষার্থী রয়েছে।
অধ্যক্ষ রেজাউল ইসলাম সেলিম আত্মগোপনে থাকায় তাঁর মোবাইল ফোনে কল দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তাঁর ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আফসানা তাসলিম সাংবাদিকদের বলেন, প্রমাণসহ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বছর জামালপুর জেলায় ৫২টি কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৫৭৫ শিক্ষার্থী এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অংশ নিয়েছে।