সিলেটে দেড় মাসের শিশুকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় এখনো অন্ধকারে পুলিশ। তবে আইসিউতে থাকা বাবা আতিকুর রহমানের সুস্থতার দিকে তাকিয়ে আছেন তারা। ইতিমধ্যে তার আঙ্গুলের ছাপও সংগ্রহ করা হয়েছে।

বুধবার নগরীর মেজরটিলা ইসলামপুর এলাকার দেড় মাস বয়সী কন্যা শিশু ইনায়া রহমানের গলাকাটা মরদেহ এবং তার বাবা আতিকুর রহমানের অর্ধ গলাকাটা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তিনি চিকিৎসাধীন।

প্রতিবেশীরা জানান, বুধবার দুপুরে স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন আতিকুর রহমান। বিকেল ৫ টার দিকে হঠাৎ ঘর থেকে চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন গিয়ে দেখতে পান আতিকুর অর্ধ গলাকাটা অবস্থায় মেঝেতে পড়ে আছেন, পাশে তার দেড় মাসের শিশু ইনায়ার রক্তে ভেসে যাচ্ছে। দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন আর আতিকুরকে পাঠানো হয় আইসিউতে।

প্রাথমিকভাবে এটি পারিবারিক ঘটনা হিসেবে মনে হলেও, আসল রহস্য এখনও স্পষ্ট নয়। আসল রহস্যের সন্ধানে রয়েছে পুলিশ।

শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মনির হোসেন জানিয়েছেন, শিশুর বাবা এখনো আইসিইউতে এবং সুস্থ না হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ সম্ভব হয়নি। তিনি কথা বলতে পারলে পুরো ঘটনার রহস্য উন্মোচিত হবে।

এসএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম জানান, আতিকুর রহমানের ফিঙ্গার প্রিন্টসহ সব আলামত পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম ঘটনার তদন্ত করছে। 

তবে নিহত শিশুর মা ঝুমা বেগম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি হঠাৎ দেখেন, মেয়ের গলা কাটছেন তার স্বামী। এরপর তার স্বামীও নিজের গলা কাটতে থাকেন। তার চিৎকারে শুনে লোকজন এগিয়ে আসেন। তারাই মেয়ে ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রহম ন র গল ক ট

এছাড়াও পড়ুন:

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, নারী নিহত

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুরের রাজৈরে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে এক নারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাজৈর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। 

নিহত নিলুফা ইয়াসমিন নিলা (৩০) বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রুনসী গ্রামের আবুল বাসারের স্ত্রী।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে ডাম্পট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, মা-মেয়ে নিহত

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুয়াকাটা থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল চন্দ্রা পরিবহনের বাসটি। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসস্ট্যান্ড পার হওয়ার পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়।  পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিলার মরদেহ উদ্ধার করে। আহত হন অন্তত ২০ জন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মাদারীপুরের মস্তফাপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, বাস খাদে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। একজনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ