হিন্দু সম্প্রদায়ের পবিত্র উৎসব রথযাত্রা আজ শুক্রবার। ঢাকাসহ সারাদেশে অনুষ্ঠিত হবে এ উৎসব। শুক্রবার দুপুর ৩টায় রথযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে।

আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী জানান, ইসকনের অধীনে সারাদেশে ১২৮টি রথযাত্রা উৎসব হবে। ঢাকার রথযাত্রা পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রথযাত্রা উৎসব। শুক্রবার স্বামীবাগ আশ্রমে সকাল ৮টায় বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় অগ্নিহোত্র যজ্ঞের মধ্য দিয়ে শুরু হবে শুভ রথযাত্রা মহোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। দুপুর দেড়টায় আলোচনা সভা শেষে বিকেল ৩টায় রথের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন হবে। 

উৎসব ও শোভাযাত্রায় সবাইকে অংশ নেওয়ার জন্য সনাতন সম্প্রদায়সহ ভক্তদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুর ৩টায় রথযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। স্বামীবাগ থেকে রথের শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ইত্তেফাক মোড়, মতিঝিল, দৈনিক বাংলা হয়ে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট পার হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে দিয়ে হাইকোর্টের মোড় হয়ে শহীদ মিনারের সামনে দিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে। ৯ দিন পর ৫ জুলাই একই রাস্তা দিয়ে রথ ফিরে আসবে স্বামীবাগ মন্দিরে। একে উল্টো রথযাত্রা বলা হয়। 
ঢাকার স্বামীবাগ আশ্রমে শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা মহোৎসব উপলক্ষে বুধবার মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা জানান। এবার রথযাত্রা উৎসবে লক্ষাধিক ভক্তের সমাগম আশা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শোভাযাত্রায় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। এরই মধ্যে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে। এ ছাড়া শোভাযাত্রাসহ উৎসব উপলক্ষে নিরাপত্তায় নিজস্ব পাঁচ শতাধিক প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন। 

প্রতি বছর চন্দ্র আষাঢ়ের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে শুরু হয় শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। এর ৯ দিনের মাথায় হয় উল্টো রথযাত্রা। রথযাত্রা বিভিন্ন নামে পরিচিত। পুরী জগন্নাথ দেবের মন্দির থেকে জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার প্রচলন হয়। বাংলাদেশেও রথযাত্রা হিন্দুদের একটি পবিত্র উৎসব। শ্রী শ্রী জগন্নাথদেবের ধর্মীয় উৎসব রথযাত্রা। এ উপলক্ষে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পদাবলি কীর্তন, ধর্মীয় নাটকসহ আট দিনব্যাপী নানা আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবের মূল আকর্ষণ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: রথয ত র ব র রথয ত র শ ক রব র জগন ন থ

এছাড়াও পড়ুন:

আদিবাসী দিবস উপলক্ষে শেওড়াপাড়ায় পাহাড়ি নারী উদ্যোক্তাদের পণ্যমেলা

আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য প্রদর্শনী ও বিক্রয় মেলা চলছে। গতকাল শুক্রবার থেকে এ মেলা শুরু হয়েছে। চলবে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত। পাহাড়ি খাবারের রেস্তোরাঁ ‘হেবাং’-এর নতুন শাখায় এই মেলার আয়োজন করেছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন সাবাঙ্গি।

হেবাং–এর এই নতুন শাখার উদ্বোধন হবে অবশ্য নভেম্বর মাসে। তার আগে রেস্তোরাঁটির পরিচয় করতেই এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হেবাং–এর স্বত্বাধিকারীদের একজন বিপলী চাকমা।‌

বিপলী চাকমা বলেন, ‘আমরা চেয়েছি আজকের দিনে শহরের মানুষ আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হোক। আমাদের  হস্তশিল্প, তৈজসপত্রসহ নানা সামগ্রী যেন মানুষ দেখতে পায়, সে জন্যই এই আয়োজন।’ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বিভিন্ন পণ্য সরাসরি বিক্রির প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার জন্য এ মেলার আয়োজন বলেও জানান তিনি।

মেলায় অংশ নিয়েছেন রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি থেকে আসা ১০ জন নারী উদ্যোক্তা। হেবাং–এর মূল শাখাটি ছিল কাজীপাড়ায়। মেলার স্টলে আছে হাতে বোনা পোশাক, কৃষি পণ্য, রঙিন গয়না, পুঁতির মালা ও নানা কারুশিল্প।

আগামী নভেম্বরে শেওড়াপাড়ায় স্থান পরিবর্তন করতে যাচ্ছে হেবাং। মেলায় পাহাড়ের পোশাক, গয়না, কৃষিপণ্য থেকে শুরু করে হাল ফ্যাশনের বিভিন্ন নান্দনিক পণ্য বিক্রি হচ্ছে। মেলার ভেন্যু ৮৪৬ পূর্ব শেওড়াপাড়া, মেট্রো পিলার ৩১৮, মি. বেকারের পেছনে, মিরপুর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনেকেই অন্যকে নিয়ে ট্রল করতে বেশি আগ্রহী
  • শিক্ষকদের কষ্টের কথা বলার জায়গা কম, শোনার লোকও নেই
  • যুব দিবসে সম্মাননা পাচ্ছেন ২০ তরুণ
  • চারুকলায় বর্ষা উৎসব ঘিরে প্রাণের মেলা
  • শিক্ষকেরা সম্মানিত হলেই সমাজ ও রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে
  • ৫২ বছর আগের ‘রংবাজ’-এর মতো চমকে দিল ‘উৎসব’
  • যুদ্ধবিধ্বস্ত সীমান্ত শহরে ভূগর্ভস্থ কবিতা উৎসব
  • এক ঢেউয়ে নিভে গেছে মুন্ডাদের কারাম উৎসবের প্রদীপ
  • দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ব আদিবাসী দিবস পালন
  • আদিবাসী দিবস উপলক্ষে শেওড়াপাড়ায় পাহাড়ি নারী উদ্যোক্তাদের পণ্যমেলা