বিপ্লব বদলালেন উত্তরবঙ্গের হালকা প্রকৌশলশিল্প
Published: 27th, June 2025 GMT
বগুড়ার প্রকৌশলী মো. মাহমুদুন্নবী বিপ্লব করোনা মহামারির সময় তৈরি করেন অক্সিজেন কনসেনট্রেটর। বগুড়া থেকে বিধিনিষেধের সময়ে রাত জেগে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর তৈরি করেন তিনি। দেশি প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে নিজের মেধা দিয়ে এক মাসেই বহনযোগ্য অক্সিজেন কনসেনট্রেটর তৈরি করেন মো. মাহমুদুন্নবী। এই অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের মাধ্যমে ঘরের বাতাস থেকেই প্রতি ঘণ্টায় ৩০০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন তৈরি করা যায়। এটি ব্যবহারও বেশ সহজ। একটি রেগুলেটরের মাধ্যমে মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে বিশুদ্ধ অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে যন্ত্রটি। ৩০ কেজি ওজনের কম এই অক্সিজেন কনসেনট্রেটর যেকোনো হাসপাতালে ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হয়েছে। খরচ পড়েছে ৭০ হাজার টাকা।
১৯৯৬ সালে বগুড়া পলিটেকনিকে শিক্ষকতার পাশাপাশি মো.
ধীরে ধীরে উত্তরবঙ্গের অন্যতম বড় ওয়ার্কশপ হিসেবে গড়ে তুলেছেন কাঁকন রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং ওয়ার্কশপকে। মাহমুদুন্নবী বলেন, ‘এখন উত্তরবঙ্গে অনেক বড় শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের কারিগরি সমস্যা ও ত্রুটি মেরামতের জন্য বিদেশ থেকেও প্রকৌশলী আনা হতো। সেই সমস্যা সমাধানে আমরা স্থানীয় প্রকৌশলীরা কাজ করছি।’ আইডিএলসি-প্রথম আলো এসএমই পুরস্কার ২০২৩–এ মো. মাহমুদুন্নবী সম্মানজনক স্বীকৃতি পেয়েছেন।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে মাদকের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীর বিক্ষোভ
বন্দরে মাদকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গ্রামবাসী। শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে নাসিক ২৭নং ওয়ার্ডের ফুলহর এলাকার গ্রামবাসী এ বিক্ষোভ মিছিল করেন।
এসময় গ্রামবাসী ‘মাদক ব্যবসায়ীদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, মাদকের আস্তানা এ এলাকায় রাখবো না’সহ বিভিন্ন মাদকবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এর আগে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনও করেন গ্রামবাসী। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা মো: নূরুল হকের সভাপতি ও হাজী মো: শাহীনের ব্যবস্থাপনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, এস এম মোমেন, মো: ইকবাল হোসেন, মো: ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন ভান্ডারি, মো: সফিউল্লাহ্, আব্দুল রাজ্জাক প্রমূখ।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে আজ মাদক ছেয়ে গেছে। মাদকের কারণে আজ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী। এর মূলে রয়েছে স্থানীয় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কবির। কবির মাদকের ডিলার। তিনি শুধু এ গ্রামেই নয়, বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহ করে থাকেন।
আর তার সহযোগী হলো শনির বাড়ীর আরেক মাদকের ডিলার হাফিজা। তিনি কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন, কিন্তু মাদক ব্যবসা ছাড়েন নি।
এছাড়া শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কবিরের আরও কয়েকজন সহযোগী আছে। এরা হলো মাদক ব্যবসায়ী আনিকা, হৃদয়, রিফাত, নাসিমা ও মহিউদ্দিন। কবির এ সহযোগীদের দ্বারা মাদক সর্বত্র মাদক বিক্রি ও সরবরাহ করে থাকে।
তারা বলেন, কবির এক সময় মাটির কাজ করতো। তার ঘরে নুন আনতে পানতা ফুরিয়ে যেতো। সেই কবির মাদক ব্যবসা করে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন।
তিন ৪টা বাড়ীর মালিক হয়েছেন। তিনি আজ গোটা সমাজটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তার বিরুদ্ধে একাধীক মামলা রয়েছে। তবুও কোন এক রহস্যজনক কারণে তিনি এলাকায় বহাল থেকে মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তোলেছেন।
তার কারণে আজ সমাজের যুব সমাজ থেকে শুরু করে কিশোররা পর্যন্ত ধ্বংসের চুড়ান্ত সীমানায় গিয়ে পৌছেছে। আমরা আমরা তার ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি করছি।