বাগেরহাট সদর উপজেলার লাউপাড়ায় শুরু হয়েছে ৪০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথদেবের রথযাত্রা উৎসব। শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে শ্রী শ্রী গোপাল জিউর মন্দির থেকে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রথযাত্রার সূচনা হয়। এরপর হাজারো ভক্ত-অনুরাগী দড়ি টেনে রথ মন্দির প্রাঙ্গণ থেকে বের করে আনেন।

রথযাত্রা উপলক্ষে লাউপালায় আয়োজন করা হয়েছে ১৫ দিনব্যাপী গ্রামীণ মেলার। হস্তশিল্প, মিষ্টান্ন, খেলনা, শিশুদের বিনোদনের উপকরণসহ নানা ধরনের দোকান বসেছে মেলায়। ভক্তদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মেলা প্রাঙ্গণে বাড়ানো হয়েছে পুলিশি টহল ও প্রশাসনিক নজরদারি।

রথযাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সমন্বয়ক এম এ সালাম। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক মোহন লাল হালদার, সদস্য সচিব বাবুল হালদার বিপ্লব, যাত্রাপুর রথযাত্রা মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি বাবুল সরদারসহ স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।

আরো পড়ুন:

সোনারগাঁয়ে ঐতিহ্যবাহী পাগলা গাছের মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড়

মঙ্গলবার দিনব্যাপী কবি সুকান্ত মেলা, প্রস্তুতি সম্পন্ন

যাত্রাপুর রথ মন্দির কমিটির সহ-সভাপতি বাবুল সরদার বলেন, “প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে রথযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এটি আমাদের ৪০০ বছরের ঐতিহ্য বহন করছে। ভক্তদের অংশগ্রহণ আমাদের উৎসাহিত করে।”

সুধীর কুমার হালদার নামে এক ভক্ত বলেন, “রথযাত্রা শুধু ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি আমাদের জীবনের অংশ। ভগবানের দর্শন ও রথ টানায় এক ধরনের আত্মিক প্রশান্তি পাই।”

স্থানীয় গৃহবধূ সাবিত্রী রানী মন্ডল বলেন, “এই রথযাত্রা আমাদের কাছে উৎসবের মতো। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে দেখা হয়, নতুন মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। মেলায় কেনাকাটা করি, পূজার অনুষ্ঠানেও অংশ নেই।”

কচুয়া উপজেলা থেকে আসা কালি প্রসাদ বলেন, “রথ টানতে পারাটাই আমার জীবনের পরম পাওয়া। ৪০০ বছর ধরে এখানে রথ টানা হয়। ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে আসতাম, এখন সন্তানকে নিয়ে আসি।”

আয়োজকরা জানান, আগামী ১২ জুলাই ‘উল্টো রথযাত্রা’র মধ্য দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে। এ উৎসব ঘিরে থাকবে ধর্মীয় আলোচনা ও প্রসাদ বিতরণ।

ঢাকা/শহিদুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ল র খবর ৪০০ বছর অন ষ ঠ ন রথয ত র মন দ র আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

শেষ হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র উৎসব, কারা পেলেন পুরস্কার

শেষ হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসব। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে তিন দিনের এ চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা নামে আজ। সমাপনী অনুষ্ঠানে দেওয়া হয় সেরা চলচ্চিত্র ও পরিচালকদের পুরস্কার। ৫ মিনিটের নিচে ক্যাটাগরিতে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে ‘জীবন ও জোয়ার’; এটি পরিচালনা করেছেন অতনু বিশ্বাস।

এই ক্যাটাগরিতে ‘নিছক দুঃস্বপ্ন নয়’ এর জন্য সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন সিফাত রহমান। ১৫ মিনিটের নিচে ক্যাটাগরির সেরা চলচ্চিত্র হয়েছে মল্লিকা রায়ের ‘প্রদোষে’। সেরা পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন ‘কালাপাথর’ ছবির সাইদুস সালেহীন জাইয়ীম।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রেজাউল করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন উৎসবের বিচারক চলচ্চিত্র সমালোচক বিধান রিবেরু, নির্মাতা ও গণমাধ্যমকর্মী সাদিয়া খালেদ ও চিত্রনাট্যকার-পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শাহ নিস্তার কবির, জবি চলচ্চিত্র সংসদের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ বিশ্বাস এবং উৎসব আয়োজক কমিটির সদস্যরা।

আরও পড়ুনজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠল২৩ জুন ২০২৫

২৩ জুন শুরু হওয়া এই উৎসবের আয়োজন করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ, সহযোগী ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সারা দেশে রথযাত্রা উৎসব
  • বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় রথযাত্রা উৎসব শুরু
  • চট্টগ্রাম ধর্মীয় সম্প্রীতির শহর: সিটি মেয়র
  • শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য হাসপাতাল আর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সিনেমা হল: জাহিদ হাসান
  • নিষেধাজ্ঞায় থাকা ‘অন্যদিন’ সর্বসাধারণের জন্য মুক্তি জুলাইয়ে
  • ব্রিজটাউনে পেস বোলিং উৎসব, প্রথম দিনেই ১৪ উইকেটের পতন
  • ‘পৃথিবীর সবচেয়ে সহজ সিনেমাটা আমি বানাব’
  • জুলাইয়ে আসছে ‘অন্যদিন’
  • শেষ হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র উৎসব, কারা পেলেন পুরস্কার