হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতায় ‘প্রোগ্রাম অফ দ্যা ইয়ার’ চবি
Published: 28th, June 2025 GMT
শিক্ষার্থীদের নোবেল পুরস্কার খ্যাত বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সামাজিক উদ্যোক্তা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হাল্ট প্রাইজ প্রতিযোগিতায় এ বছর ‘প্রোগ্রাম অফ দ্যা ইয়ার’ হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)।
শনিবার (২৮ জুন) হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় এবং সাউথ এশিয়া রিজিওন পর্যায়ে চবি হাল্ট প্রাইজকে এ খেতাব ঘোষণা করে।
ঘোষণায় হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশন জানায়, হাল্ট প্রাইজ ২০২৫ কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ডস-এ বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় মর্যাদাপূর্ণ ‘সেন্ট্রাল ও সাউথ এশিয়া প্রোগ্রাম অফ দ্য ইয়ার’ খেতাব অর্জন করেছে। আমিনুল ইসলাম শরীফের নিবেদিত নেতৃত্বে এ প্রোগ্রামটি মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে সামাজিক উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তা বিকাশে তাদের অসামান্য প্রচেষ্টার জন্য স্বীকৃতি লাভ করেছে।
আরো পড়ুন:
পাবিপ্রবিতে ২ অনুষদের উদ্যোগে প্রথম জাতীয় সম্মেলন
ইবিতে অ্যাপোস্টিল প্রক্রিয়া নিয়ে কর্মশালা
ফাউন্ডেশনটি আরো জানায়, এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারটি চবির অসামান্য প্রভাব এবং কর্মক্ষমতাকে স্বীকৃতি দেয়, যা তাদের শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই ব্যবসায়িক সমাধান তৈরি করতে উৎসাহিত করেছে।
এবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে হাল্ট প্রাইজের জাতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে চবিতে। এতে দেশের ৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ শতাধিক দল অংশগ্রহণ করে।
হাল্ট প্রাইজ ফাউন্ডেশনের আওতায় ১৩০টিরও বেশি দেশের হাজারো বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। সেসব প্রতিযোগিতার মধ্যে ‘প্রোগ্রাম অব দ্যা ইয়ার’ হয়েছে হাল্ট প্রাইজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। যা দেশের জন্য বয়ে এনেছে অনন্য গৌরব।
হাল্ট প্রাইজের চবি ক্যাম্পাস ডিরেক্টর আমিনুল ইসলাম শরীফ বলেন, “চবির জন্য এটি একটি গর্বের মুহূর্ত। আমরা আগেও দুইবার এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলাম, কিন্তু জিততে পারিনি। অবশেষে এ বছর আমরা ‘প্রোগ্রাম অফ দ্যা ইয়ার’ হয়েছি, যা আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক অর্জন।”
হাল্ট প্রাইজের ডেপুটি ক্যাম্পাস ডিরেক্টর জান্নাতুল মাওয়া মিথিলা বলেন, “এই অর্জন সম্ভব হয়েছে আমাদের ব্যবস্থাপনা কমিটির টিমওয়ার্কের মাধ্যমে। আমরা শুরু থেকেই একটি লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছিলাম, যা টেকসই উন্নয়নকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের যুক্ত করা।”
তিনি বলেন, “এই গর্বের মুহূর্তের আরো একটি বিশেষ কারণ হলো, এই প্রথমবার বাংলাদেশে আয়োজিত হয়েছে হাল্ট প্রাইজ ন্যাশনাল রাউন্ড, যার আয়োজক ছিল চবি নিজেই। এই অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে চবি ক্যাম্পাস ডিরেক্টর আমিনুল ইসলাম শরীফকে লন্ডনে অনুষ্ঠিতব্য হাল্ট প্রাইজ গ্লোবাল ফাইনাল ইভেন্টে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যেখানে তিনি চবির পক্ষ থেকে এই আন্তর্জাতিক সম্মান গ্রহণ করবেন।”
হাল্ট প্রাইজের মূল লক্ষ্য, শিক্ষার্থীদের সামাজিক সমস্যার টেকসই সমাধান নিয়ে আসার জন্য উদ্ভাবনী উদ্যোগ গড়ে তোলা এবং লাভজনক ব্যবসায়িক মডেলে রূপান্তর ঘটানো। এই প্রতিযোগিতা কেবল একটি বিজয় অর্জনের মঞ্চ নয়; বরং তরুণদের নেতৃত্ব, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও উদ্যোক্তা মনোভাব বিকাশের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র গ র ম অফ দ য হ ল ট প র ইজ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
হিউম্যান রাইটস অলিম্পিয়াড ২০২৫: তিন বিভাগীয় শহরে একযোগে লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন
প্রথমবারের মতো ‘হিউম্যান রাইটস অলিম্পিয়াড-২০২৫’ এর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রামে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।
মানবাধিকার শিক্ষার প্রসার ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি এই অলিম্পিয়াড আয়োজন করে। যেখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। লিখিত পরীক্ষাটি আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। এই অলিম্পিয়াড শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি মানবাধিকার বিষয়ক জ্ঞানের বিকাশ এবং চর্চার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার হল পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন গুম তদন্ত কমিশনের অন্যতম সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটন এবং হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল ইসলামসহ বিশিষ্টজন। পরীক্ষা শেষে মানবাধিকার কর্মী।
নূর খান লিটন উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, এইচআরএসএস এর মাধ্যমে দেশে প্রথমবারের মতো মানবাধিকার অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে আপনাদের মতো যারা তরুণ আছেন তারা। মানবাধিকার সম্পর্কে আরও সচেতন হবেন ও ভবিষ্যতে অধিকার বঞ্চিত মানুষের জন্য আরও কিছু করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের প্রতিটি দেশেই মানবাধিকার পরিস্থিতি কোনো না কোনোভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। তবে কিছু দেশের ক্ষেত্রে এই পরিস্থিতি প্রায়ই উদ্বেগজনক ও সংকটাপন্ন থাকে। বাংলাদেশ সেসব দেশের অন্যতম এ দেশের মানুষ হিসেবে তাই আমাদের কিছু বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে। এ দেশের সাধারণ অসহায় মানুষের ট্যাক্সের টাকায় সরকার জনসেবামূলক অবকাঠামো তৈরি করে। এখানে উপস্থিত সকলেই এ সকল রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর সুবিধাভোগী হিসেবে দেশের ট্যাক্স প্রদানকারী জনগোষ্ঠীর প্রতি দায়িত্ব পালতে সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে। বিশেষত যেখানেই মানুষ নিপীড়িত হবে সেখানেই আমাদের দায়িত্ব তাদের জন্য কিছু করার।
মানবাধিকার কর্মী ও হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক ইজাজুল বলেন, আমাদের অলিম্পিয়াড আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে মানবাধিকার সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি সৃষ্টি করা, অংশগ্রহণমূলক শিক্ষার মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং মানবাধিকারকে জীবনের অংশ হিসেবে গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করা। এই অলিম্পিয়াডের আয়োজনের মধ্য দিয়ে আপনাদেরকে মানবাধিকার চর্চায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া, যা ভবিষ্যতে আপনাদেরকে মানবাধিকার রক্ষায় সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।