পূর্ব ইউক্রেনের কৌশলগত শহর পোকরোভস্ক দখলের চেষ্টা আরও জোরদার করছে রাশিয়া। এ জন্য সেখানে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার সেনা জড়ো করেছে তারা। গত শুক্রবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর প্রধান ওলেক্সান্দার সিরস্কি এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পোকরোভস্কের আশপাশের ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার এলাকা দীর্ঘ সম্মুখসারির মধ্যে সবচেয়ে ‘উত্তপ্ত স্থান’।

রুশ বাহিনী প্রায় এক বছর ধরে পোকরোভস্ক শহর দখলের চেষ্টা করছে। এ জন্য একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্রে এগিয়ে থাকলেও তারা এখনো শহরটি দখল করতে পারেনি।

পোকরোভস্ক শহর দখল করা মস্কোর একটি কৌশলগত লক্ষ্য। কারণ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, তাঁর লক্ষ্য হলো দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কের পুরো পূর্ব ইউক্রেনীয় অঞ্চল দখল করা। ইতিমধ্যে রুশ বাহিনী শহর দুটি আংশিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।

পোকরোভস্ক বড় কোনো শহর নয়। তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ সড়ক ও রেলপথের ওপর অবস্থিত, যা এই অঞ্চলের অন্যান্য সামরিক ঘাঁটির সঙ্গে সংযুক্ত। যুদ্ধ শুরুর আগে পোকরোভস্কে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন শহর দ

এছাড়াও পড়ুন:

গ্রীক পুরাণের যুদ্ধের দেবী এথেনা সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য

গ্রীক পুরাণের যুদ্ধের দেবী এথেনা। তিনি জ্ঞান, কৌশলগত যুদ্ধ, সভ্যতা, আইন ও ন্যায়বিচার, শক্তি, শিল্প ও কারুশিল্পের দেবী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এথেনা শুধুমাত্র যুদ্ধের দেবী ছিলেন না, তিনি যুদ্ধের বুদ্ধিবৃত্তিক ও কৌশলগত দিকটি উপস্থাপন করতেন। তিনি সাধারণত বীরদের অনুপ্রাণিত করতেন এবং ন্যায়সঙ্গত লড়াইয়ে সহায়তা করতেন।তিনি বয়ন, সেলাই এবং অন্যান্য কারুশিল্পের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন।

এথেনা গ্রিসের বিভিন্ন শহর, বিশেষ করে এথেন্স শহরের রক্ষাকর্ত্রী ও পৃষ্ঠপোষক দেবী হিসেবে পূজিত হতেন। তিনি পার্সিয়াস, হেরাক্লিস, ওডিসিউস এবং জেসনের মতো বিখ্যাত গ্রিক বীরদেরকে তাদের অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করেছিলেন।তিনি একজন কুমারী দেবী ছিলেন এবং তাঁর কোনো সন্তান ছিল না। 

আরো পড়ুন:

পশ্চিমা সভ্যতার ‘দোলনা’ বলা হয় যে শহরকে

শীতে চুল ‘ডিপ কন্ডিশনিং’ করার উপায়

জন্ম ও পৌরাণিক কাহিনী

এথেনার জন্মকাহিনী বেশ চমকপ্রদ। প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, তিনি দেবরাজ জিউস এবং জ্ঞান ও কৌশলের টাইটানিস মেটিসের কন্যা। জিউস ভবিষ্যদ্বাণী জানতে পারেন যে, মেটিসের সন্তান তাকে সিংহাসনচ্যুত করবে, তাই তিনি মেটিসকে গিলে ফেলেন। এর কিছুদিন পর জিউসের প্রচণ্ড মাথাব্যথা শুরু হয় এবং তিনি হেফেস্টাসকে (অগ্নি ও কর্মকার শিল্পের দেবতা) তার মাথা কুড়াল দিয়ে কেটে দিতে বলেন। মাথা কাটার পর, এথেনা সম্পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক এবং বর্ম পরিহিত অবস্থায় জিউসের মাথা থেকে বেরিয়ে আসেন। 

এথেন্স শহরের নামকরণ এথেনার নামানুসারে করা হয়েছিল। শহরটির পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে এথেনা এবং সমুদ্রের দেবতা পসেইডনের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতা হয়েছিল। পসেইডন তার ত্রিশূল দিয়ে মাটিতে আঘাত করে একটি নোনা জলের ঝর্ণা তৈরি করেন। অন্যদিকে, এথেনা একটি জলপাই গাছ তৈরি করেন, যা খাদ্য, তেল, কাঠ এবং ছায়া প্রদান করত। শহরের লোকেরা এথেনার উপহারকে বেশি উপযোগী মনে করে এবং এথেনাকে তাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বেছে নেয়। এথেন্সের অ্যাক্রোপলিসে অবস্থিত বিখ্যাত পার্থেনন মন্দিরটি তার সম্মানে নির্মিত হয়েছিল। 

এথেনার প্রধান প্রতীকগুলির মধ্যে রয়েছে পেঁচা। যা জ্ঞানের প্রতীক। জলপাই গাছ হলো শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক।ঢাল তার যোদ্ধার পরিচয় বহন করে। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গ্রীক পুরাণের যুদ্ধের দেবী এথেনা সম্পর্কে কিছু চমকপ্রদ তথ্য