পূর্ব ইউক্রেনের কৌশলগত শহর পোকরোভস্ক দখলের চেষ্টা আরও জোরদার করছে রাশিয়া। এ জন্য সেখানে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার সেনা জড়ো করেছে তারা। গত শুক্রবার ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর প্রধান ওলেক্সান্দার সিরস্কি এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পোকরোভস্কের আশপাশের ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার এলাকা দীর্ঘ সম্মুখসারির মধ্যে সবচেয়ে ‘উত্তপ্ত স্থান’।

রুশ বাহিনী প্রায় এক বছর ধরে পোকরোভস্ক শহর দখলের চেষ্টা করছে। এ জন্য একের পর এক আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্রে এগিয়ে থাকলেও তারা এখনো শহরটি দখল করতে পারেনি।

পোকরোভস্ক শহর দখল করা মস্কোর একটি কৌশলগত লক্ষ্য। কারণ, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন, তাঁর লক্ষ্য হলো দোনেৎস্ক এবং লুহানস্কের পুরো পূর্ব ইউক্রেনীয় অঞ্চল দখল করা। ইতিমধ্যে রুশ বাহিনী শহর দুটি আংশিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।

পোকরোভস্ক বড় কোনো শহর নয়। তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ সড়ক ও রেলপথের ওপর অবস্থিত, যা এই অঞ্চলের অন্যান্য সামরিক ঘাঁটির সঙ্গে সংযুক্ত। যুদ্ধ শুরুর আগে পোকরোভস্কে প্রায় ৬০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন শহর দ

এছাড়াও পড়ুন:

দোকানিদের ভবনে ফেরাতে পদক্ষেপ নিন

চট্টগ্রাম নগরীতে কাঁচাবাজারের জন্য খ্যাত চকবাজারের ধনির পুল এলাকায় সাড়ে পাঁচ বছর আগে ছয় কোটি টাকায় একটি তিনতলা ভবন নির্মাণ করেছিল সিটি করপোরেশন। কয়েক দফা পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বিক্রেতা বা দোকানদারেরা ভবনটিতে দোকান নিয়ে বসছেন না। ফুটপাতে বাজার বসার কারণে ওই এলাকায় যানজট লেগেই আছে, ময়লা-আবর্জনা ফেলার কারণে পাশের খালেও জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। অথচ ভবন নির্মাণে পরিকল্পনায় ভুল থাকায় এ সংকট তৈরি হয়েছে। কৌশলগত পদক্ষেপ নিয়ে ভবনটিকে কাজে লাগাতে হবে।

চকবাজারের এই কাঁচাবাজার নিয়ে প্রথম আলো আগেও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। সম্ভাব্যতা যাচাই করা ছাড়া বা পরিকল্পনাহীন অবকাঠামো নির্মাণ করার মধ্য দিয়ে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের বাস্তব উদাহরণ এটি। জনগণের অর্থে নির্মিত ভবনটি জনগণের কোনো উপকারেই আসছে না। দোকানদার বা বিক্রেতারা এখানে সুফল পাওয়ার কথা থাকলেও তা থেকে পুরোপুরিই বঞ্চিত তাঁরা। অন্যদিকে ফুটপাতে দোকান বসার কারণে নানাভাবে নাগরিক দুর্ভোগ বেড়ে গেছে, ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশেরও।  

অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নতুন মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা শাহাদাত হোসেন ভবনটিকে চালু করার প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ফুটপাতে দোকানদারদের ভবনের দোতলায় পুনর্বাসন করেন তিনি। এ জন্য তাঁদের কোনো দোকানভাড়া দিতে হচ্ছিল না। শুধু বাজারের ইজারাদারের টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছিল। ফুটপাতে থাকার সময়ও এই অর্থ দিতে হতো। এরপরও দোকানিরা ভবনে থাকেননি। দু-তিন মাস না যেতেই আবার ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ব্যবসা শুরু করেন সবজি বিক্রেতারা। গত শুক্রবার ফুটপাত ও সড়কে দোকান দেখে ক্ষুব্ধ হন মেয়র শাহাদাত হোসেন।

তার মানে, শুধু দোকানিদের পুনর্বাসনই যথেষ্ট নয়। কাঁচাবাজারটি যখন পুরোনো ভবনে ছিল, তখন দোকানের বিন্যাস যেমন ছিল নতুন ভবনে সেটি হয়নি। আগের ভবনে সবজি, পেঁয়াজ, রসুনের বাজার ছিল নিচতলায়। দোতলায় ছিল মাছ-মাংসের বাজার। নতুন ভবনে হয়েছে উল্টো। মানুষ নিচতলা থেকে মাছ-মাংস কিনে সবজির জন্য আর দোতলায় উঠতে চান না। ফলে দোতলায় থাকা দোকানিরা বলছেন, ক্রেতারা না আসায় তাঁদের পণ্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে তাঁরা ফুটপাতে বসছেন। ফুটপাতে যেখানে তাঁদের দৈনিক বিক্রি ৪০-৫০ হাজার টাকা ছিল, নতুন ভবনে তা কমে ৮-১০ হাজার টাকায় নেমে এসেছে।

ভবনটিকে যেভাবেই হোক কাজে লাগাতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন কৌশলগত পদক্ষেপ নেওয়া। পুরোনো ভবনে যেভাবে বাজারের দোকানগুলো বরাদ্দ করা ছিল, নতুন ভবনেও সে অনুসারে করা যায় কি না, বিবেচনা করা হোক। তা ছাড়া ক্রেতাদের মানসিকতায়ও পরিবর্তন আনতে হবে। ফুটপাতে দোকান বসানো ও খালে ময়লা-আবর্জনা ফেলা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিনিয়োগকারীদের জন্য নতুন ওয়েবসাইট চালু করল বিডা
  • সেরা এআই–কর্মীর খোঁজে মার্ক জাকারবার্গ
  • দোকানিদের ভবনে ফেরাতে পদক্ষেপ নিন
  • হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক প্রভাব এবং কৌশলগত করণী