আম্পায়ার নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে শাস্তি পেলেন স্যামি
Published: 29th, June 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ব্রিজটাউন টেস্টে টিভি আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টকের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করায় শাস্তির মুখে পড়লেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের প্রধান কোচ ড্যারেন স্যামি। তাঁকে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি। সঙ্গে তাঁর নামের পাশে যোগ হয়েছে এক ডিমেরিট পয়েন্ট।
গত বৃহস্পতিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার আম্পায়ার হোল্ডস্টকের সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্যামি। এমনকি সেদিন ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথের সঙ্গে দেখা করে হোল্ডস্টকের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন।
স্যামি জানান, ইংল্যান্ডে সর্বশেষ ওয়ানডে সিরিজেও হোল্ডস্টকের আম্পায়ারিং নিয়ে তাঁর মনে সন্দেহ জেগেছিল। সেই সিরিজের দুটি ম্যাচে হোল্ডস্টক টিভি আম্পায়ার এবং অন্যটিতে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দ্বিতীয় দিনের খেলায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ছিলেন স্যামি। একটি ছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রোস্টন চেজের এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত, অন্যটি শাই হোপের ক্যাচ।
স্যামির দল মনে করে, প্যাট কামিন্সের করা বলটি আগে চেজের ব্যাটে লেগেছে। ৪৪ রানে ব্যাটিং করতে থাকা চেজকে মাঠের আম্পায়ার এলবিডব্লু দিলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন। টিভি আম্পায়ার হোল্ডস্টক জানান, বল ও ব্যাটের মধ্যে স্পষ্ট দূরত্ব দেখা যাচ্ছে। আলট্রাএজে কোনো স্পাইক দেখা না গেলেও কাছাকাছি দুটি ছোট স্পাইক ছিল। তাতেই বল ব্যাটে লেগেছে বলে দাবি চেজের।
হোপের আউট নিয়েও বিতর্ক আছে। বো ওয়েবস্টারের ভেতরে ঢোকা বল ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটের পেছনে, অ্যালেক্স ক্যারি দুর্দান্তভাবে সেটি লুফে নেন। বল ক্যারির হাতে ছিল। তবে তিনি ক্যাচ নিয়ে মাটিতে পড়ার সময় বলটি ঘাসে লেগেছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। টিভি আম্পায়ার হোল্ডস্টক এখানেও অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে রায় দেন। ড্রেসিংরুমে তখনই হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায় স্যামিকে।
৪১ বছর বয়সী স্যামি এ নিয়ে বলেছেন, ‘এই নির্দিষ্ট আম্পায়ারকে (হোল্ডস্টক) ঘিরে বিষয়টা আমার মনে প্রথম আসে ইংল্যান্ড সফর থেকেই। এটি হতাশাজনক। আপনি এমন অবস্থায় যেতে চান না, যেখানে নির্দিষ্ট কোনো আম্পায়ারকে নিয়ে সন্দেহ জন্মায়। তবে যখন একের পর এক সিদ্ধান্ত একই দলের বিপক্ষে যায়, তখন প্রশ্ন ওঠেই। আমি জানি, তিনি (হোল্ডস্টক) এই সিরিজের জন্য এখানে আছেন। কিন্তু আপনি কোনো টেস্ট ম্যাচ এমন সন্দেহ নিয়ে খেলতে চাইবেন না।’
এই মন্তব্যের জন্য স্যামির বিরুদ্ধে আইসিসি আচরণবিধির ২.
গত ২৪ মাসের মধ্যে এটি স্যামির প্রথম ‘অপরাধ’। নিয়ম অনুযায়ী, তাঁকে জরিমানার পাশাপাশি একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়েছে। ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথের দেওয়া শাস্তি মেনে নিয়েছেন স্যামি। ফলে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক রোস্টন চেজও ম্যাচ শেষে প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তগুলো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধে এখনো কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ–অস্ট্রেলিয়ার পরের দুই টেস্টে অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টককে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে দেখা যাবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র আম প য় র আম প য় র হ স ট ইন ড জ
এছাড়াও পড়ুন:
‘একজনের পক্ষে মেসিকে আটকানো অসম্ভব’, সতর্ক করলেন এনরিকে
ক্লাব বিশ্বকাপে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামির মুখোমুখি হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। লিওনেল মেসির জন্য ম্যাচটি পুর্নমিলনীর দারুণ এক সুযোগ।
বার্সায় মেসি ট্রেবল জিতেছেন। যেটা এসেছিল স্প্যানিশ কোচ লুইস এনরিকের অধীনে। মেসির সঙ্গে এনরিকের সম্পর্ক বরাবরই খুবই ভালো ছিল। গুরু-শিষ্য সম্পর্ক তাদের। বার্সায় মেসি একই সঙ্গে খেলেছেন উসমান ডেম্বেলের সঙ্গে। ডেম্বেলে এখন পিএসজিতে খেলেন। তার সঙ্গেও দেখা হবে মেসির।
ওদিকে এনরিকে এখন পিএসজির কোচ। বার্সেলোনা ছেড়ে মেসিও যোগ দিয়েছিলেন পিএসজিতে। দলটিতে তার পুরনো সতীর্থ আছেন অনেকে। আশরাফ হাকিমির সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক মেসির। মার্কুইনোস, দোনারুম্মা, ভিতিনহা আছেন পিএসজিতে। তাদের সঙ্গেও ভালো বন্ধুত্ব মেসির।
তবে শক্তির বিচারে ম্যাচটি একতরফা হতে পারে। এরই মধ্যে ইন্টার মায়ামিকে কতগুলো গোল দেবে পিএসজি সোস্যাল মাধ্যমে ভক্তরা তা গুনতে শুরু করেছেন। তবে পিএসজির স্প্যানিশ কোচ এনরিকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তার মতে, মেসি ইতিহাসের সেরা। যে কাউকে ড্রিবল করার সামর্থ্য রাখে সে। তাকে একা আটকানোর চিন্তা করা ভুল।
পিএসজি কোচ এনরিকে বলেন, ‘আমার মতে, নিঃসন্দেহে মেসি ফুটবল ইতিহাসের সেরা। তার সেরা সময় ১০-১৫ বছর দীর্ঘ ছিল, সেরাদের জন্য সে একটা উদাহরণ। আমি তাকে অনুশীলনে এমন কিছু করতে দেখেছি, যা অন্য পর্যায়ের। অসাধারণ সেসব মুহূর্ত।’
মেসির বিপক্ষে পরিকল্পনা নিয়ে এনরিকে বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমরা যদি একজন দিয়ে মেসিকে আটকানোর চেষ্টা করি এটা সম্ভব হবে না। এমন কিছু চেষ্টা করলে মারা পড়তে হবে। আমাদের দলগতভাবে রক্ষণ সামলানোর চেষ্টা করতে হবে। সকলকেই রক্ষণ সামলাতে হবে, বল ধরে রাখতে হবে, পাস দিতে হবে। দলীয়ভাবে খেলতে হবে, কারণ মেসি যে কাউকেই বল কাটিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে।’