রাশিয়ার বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে গতকাল শনিবার রাতে ইউক্রেনের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ওই বিমানের পাইলট নিহত হয়েছেন। আজ রোববার ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এ কথা জানিয়েছে।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এটি দেশটির তৃতীয় এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হারানোর ঘটনা।

বার্তা প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে এক পোস্টে  ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলেছে, পাইলট তাঁর যুদ্ধবিমানে থাকা সব অস্ত্র ব্যবহার করে সাতটি বিমান হামলা প্রতিহত করেছেন। শেষটি ঠেকাতে গিয়ে তাঁর বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং নিচে নেমে যেতে থাকে। বিমানটি যেন লোকালয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে পাইলট সেটিকে একটি জনবসতি এলাকা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু তিনি যুদ্ধবিমান থেকে বের হওয়ার সময় পাননি।

ইউক্রেনের সেনাবাহিনী বলেছে, রাশিয়া রাতে ৪৭৭টি ড্রোন ও ৬০টি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। ইউক্রেনের বাহিনী এর মধ্যে ২১১টি ড্রোন ও ৩৮টি ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম হয়।

এ ছাড়া ছয়টি এলাকায় বিমান হামলার খবর পাওয়া গেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন র প ইলট

এছাড়াও পড়ুন:

বরিশালে পলিথিনে পেঁচানো হাত-পা বাঁধা নারী উদ্ধার

বরিশাল সদরের তালুকদারের হাট এলাকায় হাত-পা বাঁধা ও পলিথিনে পেঁচানো অবস্থায় মারিয়া বেগমকে (২৩) উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে স্বামীর প্রাক্তন স্ত্রীর স্বজনরা নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।

রোববার ভোরে বরিশাল-ভোলা সড়কের পাশ থেকে স্থানীয়রা মারিয়াকে উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করে।

বন্দর থানার এসআই সিরাজুল ইসলাম জানান, মারিয়ার স্বামীর নাম মশিউর রহমান। শ্বশুর বাড়ি ভোলায়। বরিশাল নগরীর দপদপিয়া গ্যাসটারবাইন এলাকায় তার বাবার বাড়িতে থাকেন।

স্থানীয়রা জানান, তালুকদারহাট এলাকার ব্যবসায়ীরা সড়কের পাশে পলিথিনে পেঁচানো অবস্থায় মারিয়াকে দেখতে পান। পরে পুলিশে খবর দেন তারা।

হাসপাতালে মারিয়া সাংবাদিকদের জানান, ভোলার ব্যবসায়ী মশিউর রহমানের সঙ্গে এক বছর আগে তার বিয়ে হয়। স্বামীর কাছে ভোলা যেতে শনিবার বিকেলে বাসা থেকে বের হন। ঘাটে গিয়ে লঞ্চ ধরতে পারেননি। সড়ক পথে লাহারহাট স্টেশনে গিয়েও লঞ্চ ধরতে ব্যর্থ হন। এর পর বাসায় ফিরতে সন্ধ্যার পর ভ্যানে বরিশাল নগরীর উদ্দেশে রওনা হন।
চরকাউয়ার জিরো পয়েন্টে পৌঁছলে স্বামীর প্রাক্তন স্ত্রীর ভাইয়েরা মারিয়াকে অপহরণ করেন। একটি জঙ্গলে নিয়ে নির্যাতন করে হাতা-পা বেঁধে পলিথিনে পেঁচিয়ে ফেলে রেখে যান।

শেবাচিম হাসপাতালের দায়িত্বরত এক চিকিৎসক জানান, মারিয়ার পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে পুড়ে ফোসকা পড়েছে। এটি এসিড নাকি রাসায়নিক জাতীয় কোনো দ্রব্যে হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

বন্দর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ