ক্লাব বিশ্বকাপে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব ইন্টার মায়ামির মুখোমুখি হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন পিএসজি। লিওনেল মেসির জন্য ম্যাচটি পুর্নমিলনীর দারুণ এক সুযোগ।

বার্সায় মেসি ট্রেবল জিতেছেন। যেটা এসেছিল স্প্যানিশ কোচ লুইস এনরিকের অধীনে। মেসির সঙ্গে এনরিকের সম্পর্ক বরাবরই খুবই ভালো ছিল। গুরু-শিষ্য সম্পর্ক তাদের। বার্সায় মেসি একই সঙ্গে খেলেছেন উসমান ডেম্বেলের সঙ্গে। ডেম্বেলে এখন পিএসজিতে খেলেন। তার সঙ্গেও দেখা হবে মেসির।  

ওদিকে এনরিকে এখন পিএসজির কোচ। বার্সেলোনা ছেড়ে মেসিও যোগ দিয়েছিলেন পিএসজিতে। দলটিতে তার পুরনো সতীর্থ আছেন অনেকে। আশরাফ হাকিমির সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক মেসির। মার্কুইনোস, দোনারুম্মা, ভিতিনহা আছেন পিএসজিতে। তাদের সঙ্গেও ভালো বন্ধুত্ব মেসির। 

তবে শক্তির বিচারে ম্যাচটি একতরফা হতে পারে। এরই মধ্যে ইন্টার মায়ামিকে কতগুলো গোল দেবে পিএসজি সোস্যাল মাধ্যমে ভক্তরা তা গুনতে শুরু করেছেন। তবে পিএসজির স্প্যানিশ কোচ এনরিকে সতর্ক করে দিয়েছেন। তার মতে, মেসি ইতিহাসের সেরা। যে কাউকে ড্রিবল করার সামর্থ্য রাখে সে। তাকে একা আটকানোর চিন্তা করা ভুল। 

পিএসজি কোচ এনরিকে বলেন, ‘আমার মতে, নিঃসন্দেহে মেসি ফুটবল ইতিহাসের সেরা। তার সেরা সময় ১০-১৫ বছর দীর্ঘ ছিল, সেরাদের জন্য সে একটা উদাহরণ। আমি তাকে অনুশীলনে এমন কিছু করতে দেখেছি, যা অন্য পর্যায়ের। অসাধারণ সেসব মুহূর্ত।’

মেসির বিপক্ষে পরিকল্পনা নিয়ে এনরিকে বলেন, ‘সত্যি বলতে, আমরা যদি একজন দিয়ে মেসিকে আটকানোর চেষ্টা করি এটা সম্ভব হবে না। এমন কিছু চেষ্টা করলে মারা পড়তে হবে। আমাদের দলগতভাবে রক্ষণ সামলানোর চেষ্টা করতে হবে। সকলকেই রক্ষণ সামলাতে হবে, বল ধরে রাখতে হবে, পাস দিতে হবে। দলীয়ভাবে খেলতে হবে, কারণ মেসি যে কাউকেই বল কাটিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ল ব ব শ বক প ন প এসজ এনর ক

এছাড়াও পড়ুন:

কেবিসির মঞ্চে সোফিয়া-ব্যোমিকারা, শুরু বিতর্ক

গত ২২ এপ্রিল তারিখে ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর পরই সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে পাল্টা পদক্ষেপ নেয় ভারত। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারতীয় সেনাবাহিনী। পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসীদের নয়টি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। 

সেই অভিযানের খুঁটিনাটি গোটা ভারতবাসীকে তুলে ধরার সময় নারীশক্তিকেই এগিয়ে রাখে ভারতীয় সেনা। সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিগুলোকে কিভাবে শনাক্ত করা হয়, কিভাবে আঘাত হানা হয়, কত সময় ধরে ওই অভিযান চলে- সে সময় অভিযানের খুঁটিনাটি দেশবাসীকে বোঝানোর দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং বিমান বাহিনীর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহকে। নারীশক্তিকে এগিয়ে রাখার পাশাপাশি, এই দুই কর্মকর্তাকে সামনে রেখে নাগরিকদের ঐক্য এবং সম্প্রীতির বার্তাও দেয় ভারতীয় সেনা। 

এবার সেই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি এবং উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিংহকে দেখা যাবে ভারতের জনপ্রিয় রিয়ালিটি শো ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি (কেবিসি)-তে। এই দুই সেনা কর্মকর্তার পাশাপাশি ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডার প্রেরণা দেওস্থালিকেও ওই শোতে অংশ নিতে দেখা যাবে। 

আরো পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে ৫ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত হয়েছে: ট্রাম্প

পাকিস্তানের হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কথা স্বীকার করলো ভারত

আগামী ১৫ আগস্ট, ভারতীয় সময় রাত নয়টায় দেশটির স্বাধীনতা দিবসের বিশেষ পর্বে এটি সম্প্রচার করা হবে সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশনে। কেবিসির ১৭তম এডিশনে ওই অনুষ্ঠানের উপস্থাপক অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। 

ইতোমধ্যেই সনি এন্টারটেইনমেন্ট টেলিভিশন তাদের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে ‘অপারেশন সিঁদুর’ সম্পর্কে মেগাস্টারের সঙ্গে তাদের আলাপচারিতার একটি প্রোমো শেয়ার করেছে। ওই তিন সেনা কর্মকর্তাকে স্বাগত জানানোর সময় অমিতাভ বচ্চনকে দেশপ্রেমের অনুভূতি হিসাবে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে। 

ওই প্রোমোর শুরুতেই কর্নেল সোফিয়া, উইং কমান্ডার ব্যোমিকা এবং কমান্ডার প্রেরণা নিজেদের পরিচয় দেন। পরে কেবিসির হট সিটে বসে বচ্চনের সঙ্গে কথা বলার সময়, সোফিয়া জানান, “পাকিস্তান ইয়ে (সন্ত্রাসবাদি কার্যকলাপে মদদ দেওয়া) করতা চালা অরহা হ্যায়। তো জওয়াব দেনা বানতা থা স্যার। ইসিলিয়ে অপারেশন সিঁদুর কো প্ল্যান কিয়া গয়া’ (পাকিস্তান এটি করেই চলেছে। তার একটা জবাব দেওয়া দরকার ছিল। তাই অপারেশন সিঁদুরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল)। 

কমান্ডার ব্যোমিকা বলেন, ‘রাত কো এক বাজ কার পাঁচ মিনিট সে লেকার দেড় বাজে তক, পঁচিশ মিনিট মে খেল খতম কর দিয়া (রাত ১টা ৫টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত, আমরা ২৫ মিনিটের মধ্যে পুরো অপারেশন শেষ করেছি)। আমাদের লক্ষ্যগুলো ধ্বংস করা হয়েছিল এবং কোনো বেসামরিক লোকের কোনো ক্ষতি হয়নি। 

তবে, একটি টেলিভিশন রিয়েলিটি শোতে উপস্থিত হয়ে সেনাবাহিনীর নারী কর্মকর্তাদের মুখে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান সম্পর্কে কথা বলার বিষয়টি মোটেই ভালোভাবে নেয়নি নেটিজেনরা। অনেকে আবার সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত নারী কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানানোর বাধ্যবাধকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ মোহিত চৌহান নামে একজন লিখেছেন, “একটি দায়িত্বশীল রাষ্ট্রে কোনো সামরিক অভিযানের পরে আপনি কি কখনও এমন কিছু দেখেছেন? সামরিক চাকরিরত ব্যক্তিকে টিভি শোতে বসার জন্য কিভাবে অনুমোদন দেওয়া হলো? আসলে কেন্দ্রের বর্তমান সরকার নির্লজ্জভাবে আমাদের বাহিনীকে তাদের তুচ্ছ রাজনীতি এবং অতি-জাতীয়তাবাদের জন্য ব্যবহার করছে।” 

ব্রুশ ওয়েনি নামে একটি এক্স হ্যান্ডেল অ্যাকাউন্ট থেকে সশস্ত্র বাহিনীর প্রোটোকল কেবিসির মতো রিয়েলিটি শোতে সেনা কর্মকর্তাদের পাঠানোর অনুমতি দেয় কি না, এই প্রশ্ন তুলে বলা হয়েছে “ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর কিছু প্রোটোকল, কিছু মর্যাদা এবং বিশাল সম্মান আছে। রাজনীতিবিদরা তাদের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য এটি নষ্ট করছেন। এটা খুবই লজ্জাজনক।” 

তৃতীয় একজন মন্তব্য করেছেন, “আমাদের সেনাবাহিনী পবিত্র, রাজনীতির ঊর্ধ্বে, জনসংযোগের ঊর্ধ্বে। জাতিকে রক্ষা করার জন্য আমাদের সেনাবাহিনী, কোনো রাজনীতিকের ব্র্যান্ড রক্ষা করার জন্য নয়।”

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সার্কভুক্ত ‘দেশি’ ফুটবলার আশীর্বাদ নাকি শঙ্কা
  • বনানীতে সিসা বারে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা, জড়িত ৫ জন শনাক্ত
  • পিঠ চাপড়ে দিব‍্যকে আদর করে দিলেন আমির খান
  • ২০ মিনিটেই মিলল টিসিবির পণ্য, খুশি ক্রেতা
  • ডাকসু নির্বাচন: তৃতীয় দিনে মনোনয়ন নিলেন ২২ প্রার্থী
  • টের স্টেগেনের ‘দীর্ঘমেয়াদি চোট’, গার্সিয়াকে নিবন্ধন করাতে পারবে বার্সা
  • ধূমকেতুর জন্য রাজের প্রতীক্ষা শেষ
  • কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে ৪ অভিযোগ
  • গণ–অভ্যুত্থানের সময় চানখাঁরপুলে পুলিশের পোশাকে লোকেরা হিন্দি ভাষায় কথা বলছিল
  • কেবিসির মঞ্চে সোফিয়া-ব্যোমিকারা, শুরু বিতর্ক