অত্যাবশ্যক পরিষেবা ঘোষণা কী, আন্দোলন থামাতে এটা কীভাবে কাজ করে
Published: 29th, June 2025 GMT
দাবি আদায়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের ‘শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যে কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ রোববার এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে এ আন্দোলনকে পরিকল্পিত ও দুরভিসন্ধিমূলক উল্লেখ করে সরকার বলেছে, এটি জাতীয় স্বার্থ ও নাগরিক অধিকারের চরম পরিপন্থী। একই সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আওতাধীন সব কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনগুলোর সব শ্রেণির চাকরিকে অত্যাবশ্যক পরিষেবা (এসেনশিয়াল সার্ভিস) ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সরকারের বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, অন্যথায় দেশের জনগণ ও অর্থনীতির সুরক্ষায় সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে।
এখন অনেকের জিজ্ঞাসা, অত্যাবশ্যক পরিষেবা কী। এর ফলে কী হয়, কী করা যায় বা করা যায় না। এ বিষয়ে একটি আইন আছে। অত্যাবশ্যক পরিষেবা আইন ২০২৩ নামের এ আইন অনুযায়ী, বর্তমানে ১৮ ধরনের অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা রয়েছে। যেমন ডাক ও টেলিযোগাযোগ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, ই-কমার্স ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক বা ডিজিটাল সেবা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন, বিতরণ, সরবরাহ ও বিক্রয় এবং এ–সংক্রান্ত স্থাপনার রক্ষণাবেক্ষণ ও সম্প্রসারণ কাজ, স্থল, রেল, জল বা আকাশপথে যাত্রী বা পণ্য পরিবহন, স্থলবন্দর, নদীবন্দর, সমুদ্রবন্দর বা বিমানবন্দরে পণ্য বোঝাই-খালাস, স্থানান্তরসহ সংশ্লিষ্ট বন্দর বা বন্দরসম্পর্কিত পরিষেবা, হাসপাতাল, ক্লিনিক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা অনুরূপ প্রতিষ্ঠান এবং ডিসপেনসারি–সম্পর্কিত কোনো পরিষেবা, ওষুধ উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়সহ এ–সংক্রান্ত অন্যান্য কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা কারখানার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনো পরিষেবা, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসম্পর্কিত পরিষেবা ইত্যাদি।
এই ১৮ ধরনের অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার সঙ্গে এখন সব কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট এবং শুল্ক স্টেশনগুলোর সব শ্রেণির চাকরিকেও অত্যাবশ্যক পরিষেবা করার সিদ্ধান্ত জানাল সরকার।
জানতে চাইলে চাকরিসংক্রান্ত বিষয়ে বিশেষজ্ঞ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফিরোজ মিয়া আজ রোববার প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি কাজ যাতে ব্যাহত না হয়, সে জন্য সরকার প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন পরিষেবাকে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করতে পারে। তাতে ওই পরিষেবার ক্ষেত্রে কর্মবিরতি বা আন্দোলন করা যায় না। করলে জেল-জরিমানার বিধান আছে।
কী আছে আইনে
আইন অনুযায়ী সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপন জারি করে কোনো চাকরি বা কোনো শ্রেণির চাকরির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো পরিষেবাকে অত্যবশ্যক পরিষেবা হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে। কখন সেটি করতে পারবে, তা–ও বলা আছে এ আইনে। যেমন কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলে জনকল্যাণমূলক সেবা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এমন পরিষেবাকে অত্যাবশ্যক পরিষেবা ঘোষণা করা যাবে। এ ছাড়া জননিরাপত্তা বা জনগণের জীবনযাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ ও রক্ষণাবেক্ষণ সেবা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে; জনগণের জন্য অসহনীয় কষ্টের কারণ হচ্ছে বা হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে এবং দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমগ্র দেশ বা এর কোনো অংশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আবশ্যকীয় হলে অত্যবশ্যক পরিষেবা ঘোষণা করা যাবে।
আরও পড়ুনএনবিআরের চাকরি অত্যাবশ্যকীয় সেবা, কাজে যোগ না দিলে কঠোর ব্যবস্থা: সরকারের বিবৃতি২ ঘণ্টা আগেএ ধরনের ঘোষণা সর্বোচ্চ ছয় মাস পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। তবে প্রয়োজনে এ মেয়াদ ছয় মাস করে বাড়ানো যাবে। অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবার চাকরি অর্থ বাংলাদেশের ভেতরে বা বাইরে বেতনসহ বা অবৈতনিক, দৈনিক ভিত্তিতে, ধার্য করা ফি বা সম্মানীভুক্ত চাকরিকে বোঝাবে।
অত্যাবশ্যক পরিষেবা হিসেবে ঘোষিত চাকরির ক্ষেত্রে সরকার ওই চাকরিতে নিয়োজিত কোনো ব্যক্তিকে কোনো এলাকা বা এলাকাগুলো ত্যাগ করা থেকে বিরত থাকার জন্য আদেশ দিতে পারবে।
আইন অনুযায়ী, কোনো ধর্মঘট নিষিদ্ধ করা আবশ্যক বিবেচনা করলে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দিয়ে এক বা একাধিক অত্যাবশ্যক পরিষেবার ক্ষেত্রে ধর্মঘট নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে সরকার।
সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে আন্দোলন চালিয়ে গেলে কী ধরনের শাস্তি দেওয়া যায়, তা–ও বলা আছে আইনে। চাকরিরত কোনো ব্যক্তি ধর্মঘট শুরু করতে বা চলমান রাখতে পারবেন না। কোনো প্রতিষ্ঠানে লকআউট বা লে-অফ ঘোষণা করা যাবে না। এ আদেশ অমান্য করলে অথবা অমান্য করার জন্য কোনো ব্যক্তিকে প্ররোচিত করলে অথবা কাজ করতে বা কাজ চলমান রাখতে অস্বীকার করলে অথবা যৌক্তিক কারণ ছাড়া কাজে অনুপস্থিত থাকলে বা চাকরি থেকে পরিত্যাগ করলে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
অপরাধ অনুযায়ী, ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়ার বিধান আছে আইনে। অপরাধের ধরন অনুযায়ী অর্থদণ্ডেরও বিধান আছে। এ ছাড়া বিভাগীয় ব্যবস্থারও সুযোগ আছে আইনে।
আরও পড়ুনএনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতিসহ ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ষ ব র র চ কর অন য য় র জন য ধরন র সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ইসরায়েলের সঙ্গে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের গ্যাস চুক্তি মিশরের
গাজায় গণহত্যা ও দুর্ক্ষিভের মধ্যে ইসরায়েলের কাছ থেকে গ্যাস কিনতে ৩৫ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের ইতিহাসে বৃহত্তম চুক্তি এটি, যা সম্প্রসারণবাদী দেশটিকে অর্থনৈতিকভাবে আরো শক্তিশালী করবে এবং ফিলিস্তিন নিশ্চিহ্নের প্রশ্নে অর্থের যোগান নিশ্চিত করবে।
সংবাদমাধ্যম ‘মিডল ইস্ট আই’ লিখেছে, চুক্তির অধীনে ইসরায়েলের লেভিয়াথান গ্যাসক্ষেত্র থেকে মিশরের গ্যাস আমদানির পরিমাণ প্রায় তিন গুণ বৃদ্ধি পাবে এবং এটি ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রপ্তানি চুক্তি হিসেবে চিহ্নিত হবে।
আরো পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়াও সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিনকে ‘স্বীকৃতি দেবে’
গাজা দখলের পাঁচ দফা পরিকল্পনা নেতানিয়াহুর
ইসরায়েলি জ্বালানি কোম্পানি নিউমেডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই চুক্তির আওতায় ২০৪০ সাল পর্যন্ত সমুদ্রতীরবর্তী লেভিয়াথান গ্যাসক্ষেত্র থেকে ১৩০ বিলিয়ন ঘনমিটার (বিসিএম) গ্যাস পাইপলাইনের মাধ্যমে মিশরে সরবরাহ করা হবে।
লেভিয়াথান গ্যাসক্ষেত্রের তিন মালিকের একটি নিউমেড; অন্য দুই মালিক হলো ইসরায়েলের রেশিও কোম্পানি ও শেভরন। নিউমেডের মালিকানা ৪৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
নতুন চুক্তিটি ২০১৮ সালে মিশর ও ইসরায়েলের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির একটি বড় সম্প্রসারণ। বিদ্যমান চুক্তির আওতায় প্রতিবছর ৪.৫ বিসিএম গ্যাস মিশরে সরবরাহ করা হয়ে থাকে। যদিও ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা শুরু করার পর থেকে ইসরায়েল একাধিকবার গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটিয়েছে। এই চুক্তির মেয়াদ চলতি দশকের শেষে শেষ হওয়ার কথা।
নতুন চুক্তি ইসরায়েলের ওপর মিশরের জ্বালানিনির্ভরতা আরো গভীর করবে; কারণ গত তিন বছরে নিজস্ব গ্যাস উৎপাদন ধসে পড়ায় ক্রমবর্ধমান দেশীয় চাহিদা মেটাতে কায়রো আমদানি বাড়াচ্ছে।
গত দুই গ্রীষ্মে মিশরের তীব্র জ্বালানি ঘাটতির কারণে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পর্যায়ক্রমিক লোডশেডিং হয়েছে, যা জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
এই ঘাটতি মেটাতে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাড়ানোর চেষ্টা করেছে মিশর সরকার, যার বাজারমূল্য ২০২৫ সালে বেড়ে ১৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে এই বাজারমূল্য ছিল ১২ বিলিয়ন ডলার।
জয়েন্ট অর্গানাইজেশনস ডেটা ইনিশিয়েটিভ নামে প্রতিষ্ঠানের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েল বর্তমানে মিশরের মোট চাহিদার ১৫-২০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করে।
নিউমেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়োসি আবু এই চুক্তিকে ‘উইন-উইন ডিল’ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, চুক্তিটি এলএনজি আমদানির তুলনায় মিশরের ‘বিপুল পরিমাণ অর্থ’ সাশ্রয় করবে।
গ্যাস সরবরাহ করা পাইপলাইনের মাধ্যমে, যা এলএনজি আমদানির তুলনায় সস্তা। কারণ এলএনজি পরিবহনের জন্য তরল আকারে আনার আগে ‘অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায়’ ঠান্ডা করতে হয়।
মিশরের অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘মাদা মাসর’-এর তথ্য অনুযায়ী, নতুন চুক্তির আওতায় প্রতি বিসিএম গ্যাসের জন্য প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ডলার বেশি দেবে মিশর, যা আগের চুক্তির তুলনায় ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
মিশরের সাবেক পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এবং সরকারের এক সূত্র মাদা মাসরকে গত বছর জানিয়েছিলেন, দুই দেশ মাসের পর মাস ধরে ইসরায়েলি গ্যাসের প্রবাহ মিশরে বাড়ানোর আলোচনা করেছে।
তারা বলেছিলেন, ইসরায়েলি গ্যাস মিশরের জন্য সরবরাহ ঘাটতি পূরণের সবচেয়ে সস্তা বিকল্প হওয়ায় মিশর আমদানির জন্য বেশি মূল্য দিতে রাজি হতে পারে।
‘শর্ত পূরণের কোনো নিশ্চয়তা নেই’
তবে চুক্তি বাস্তবায়ন নির্ভর করছে পাইপলাইন ও অতিরিক্ত রপ্তানি অবকাঠামো নির্মাণকাজ শেষ করার ওপর।
চুক্তির প্রথম ধাপে ২০২৬ সালের শুরুর দিকে মিশরে ২০ বিসিএম গ্যাস সরবরাহ করা হবে, যা নির্ভর করছে লেভিয়াথান গ্যাসক্ষেত্রে একটি নতুন পাইপলাইন নির্মাণ এবং ইসরায়েলের বন্দর নগরী আশদোদ ও আশকেলনের মধ্যে চলমান পাইপলাইনের সম্প্রসারণ কাজ শেষ হওয়ার ওপর; যে প্রকল্পটি গাজায় ইসরায়েলের হামলার কারণে স্থগিত রয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপে অবশিষ্ট ১১০ বিসিএম গ্যাস মিশরে সরবরাহের বিষয়টি নির্ভর করছে রপ্তানি অবকাঠামো সম্প্রসারণের ওপর, যার মধ্যে রয়েছে ইসরায়েল থেকে মিশরের সীমান্তবর্তী নিটজানা পর্যন্ত একটি নতুন স্থলভিত্তিক পাইপলাইন নির্মাণ, যার কাজ এখনো শুরু হয়নি।
নিউমেড এক বিজ্ঞপ্তিতে সতর্ক করে বলেছে, এসব শর্ত পূরণের কোনো নিশ্চয়তা নেই।
পদক্ষেপটি এমন এক সময়ে এসেছে, যখন গাজায় ইসরায়েলের অবরোধে কায়রোর কথিত সহযোগিতার অভিযোগ নিয়ে মিশরে জনঅসন্তোষ ক্রমেই বাড়ছে। গাজায় ইসরায়েল আরোপিত অনাহারে এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।
গত জুলাইয়ে গাজায় জীবনরক্ষাকারী ত্রাণ প্রবেশের জন্য রাফাহ সীমান্ত খুলে দিতে ব্যর্থ হওয়ার প্রতিবাদে কায়রোর মা’আসারা থানায় হামলা চালানো দুই ব্যক্তিকে জোরপূর্বক গুম করা হয়।
এর ঠিক আগে রাফাহ সীমান্ত বন্ধের প্রতিবাদে নেদারল্যান্ডসে অ্যাক্টিভিস্ট আনাস হাবিবের নেতৃত্বে প্রতীকীভাবে দূতাবাসের ফটক বন্ধ করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউরোপীয় রাজধানীগুলোর মিশরীয় দূতাবাসের বাইরে বিক্ষোভ হয়।
মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই সপ্তাহে কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক শীর্ষ সম্মেলনে ‘সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মূল্যবোধের ঘাটতির’ নিন্দা জানান তিনি। গাজায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় (যেখানে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন) মিশরের সহযোগিতার অভিযোগকে ‘আজব কথা’ বলে উড়িয়ে দেন।
ঢাকা/রাসেল