রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ভূপাতিত করতে গিয়ে শনিবার মধ্যরাতে ইউক্রেনের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে ওই বিমানের পাইলট নিহত হয়েছেন। রোববার ইউক্রেনের সেনাবাহিনী এ তথ্য জানিয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই নিয়ে তিনটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হারালো ইউক্রেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, এফ-১৬-এর পাইলট তাঁর যুদ্ধবিমানে থাকা সব অস্ত্র ব্যবহার করে সাতটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা প্রতিহত করেছেন। এর মধ্যে শেষ হামলাটি ঠেকাতে গিয়ে তাঁর বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং নিচে নেমে যেতে থাকে। লোকালয়ে বিধ্বস্ত হওয়া প্রতিরোধ করতে পাইলট বিমানটিকে জনবসতি এলাকা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু তিনি যুদ্ধবিমানটি থেকে বের হওয়ার পর্যাপ্ত সময় পাননি। পরে বিমানটি মাটিতে আছড়ে পড়ে এবং বিস্ফোরিত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।

গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে গতকাল রাতে ইউক্রেনে সবচেয়ে বড় বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ সময় ৪৭৭টি নানা ধরনের ড্রোন ও ৬০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে ক্রেমলিন। এতে এক শিশুসহ অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। 

ইউক্রেন জানায়, এই হামলাটি ছিল ‘সবচেয়ে ব্যাপক বিমান হামলা।’ রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনজুড়ে বিভিন্ন শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার ছোড়া মোট ৫৩৭টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের মধ্যে ২৪৯টি ভূপাতিত করা হয়েছে। আর ‘নিখোঁজ’ হয়েছে ২২৬টি। ধারণা করা হচ্ছে, ইলেকট্রিক জ্যামার দিয়ে বহু ড্রোন অকার্যকর করে দেওয়া হয়েছে।

ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক্সে এক পোস্টে জানিয়েছেন, যেখানেই জীবনের চিহ্ন আছে, সেখানেই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। তিন বছর ধরে চলা এ যুদ্ধ শেষ হওয়ার যে আশা তৈরি হয়েছিল, এ হামলার মাধ্যমে সেটি শেষ হয়ে গেছে। খবর আলজাজিরা ও এএফপির

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউক র ন প ইলট ন হত ইউক র ন র প ইলট

এছাড়াও পড়ুন:

রবি শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি প্রত্যাহার, যমুনা সেতুতে যান চলাচল স্বাভাবিক

যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে হওয়া ব্লকেড ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ১ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করেছেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে এ কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা।

এর আগে, স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে যমুনা সেতু পশ্চিমে মহাসড়ক ব্লকেড করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়েন। 

আরো পড়ুন:

দ্বিতীয় তিস্তা সেতু উদ্বোধনের নতুন তারিখ ঘোষণা

উদ্বোধনের আগেই ঝুঁকিতে পড়ছে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু

এর আগে, স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে যমুনা সেতু পশ্চিম গোলচত্বর এলাকায় ঢাকা ও উত্তরবঙ্গমুখী উভয় লেন বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচীর কারণে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

ব্লকেড প্রত্যাহারের পর ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী উভয় লেনে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। এতে উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের ২২ জেলার যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়েন। বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

যমুনা সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান মহাসড়কে স্বাভাবিকভাবে যান চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী জাকারিয়া জিহাদ বলেন, “১১টা ৫০ মিনিটে যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়কে শিক্ষার্থীরা বসে পড়েন। এতে উভয় লেনেই যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ১ ঘণ্টা মহাসড়কে বিক্ষোভ করার পরে সড়ক ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “আজকে রেল ও সড়ক পথ অবরোধের কথা ছিল। কিন্তু বুধবার (১৩ আগস্ট) উল্লাপাড়ায় রেলপথ অবরোধের কারণে সিডিউল বিপর্যয় ঘটে। জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে আমরা রেলপথ ছেড়ে দিয়েছি। তবে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে বিক্ষোভ করার পর মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছি। শিগগিরই আমরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করব।”

প্রতিষ্ঠার ৯ বছরেও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের (ডিপিপি) অনুমোদন না হওয়ায় আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছে।

গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত একটানা কর্মসূচিতে মহাসড়ক অচল করে দেয় শিক্ষার্থীরা। তখন সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করায় আন্দোলন স্থগিত করা হয়। এরপর ৬ মাসেও ডিপিপি অনুমোদন না হওয়ায় ২৬ জুলাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের কর্মসূচি বয়কটের মধ্য দিয়ে পূণরায় আন্দোলন শুরু হয়।

ঢাকা/রাসেল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ