সিদ্ধিরগঞ্জে হিরোইন ও ইয়াবাসহ ৩ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
Published: 29th, June 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জ পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ৯৫ পুরিয়া হিরোইন ও ৪৫ পিস ইয়াবাসহ ৩ মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে।
রবিববার (২৯ জুন) দুপুরে গ্রেপ্ততারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনূর আলম বলেন অভিযান চালিয়ে ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এরাাগে শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় ও রবিবার সকালে থানা পুলিশের বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্ততার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের একাধিক টিম পৃথকভাবে অভিযান পরিচালনা করে সিদ্ধিরগঞ্জ সুমিলপাড়া বিহারী ক্যাম্প এলাকা থেকে খোরশেদ(৪২) ৫০ পুরিয়া হিরোইন, মোস্তফা(৪০) ৪৫ পুরিয়া হিরোইন ও ফয়সাল (২২) ৪০ পিস ইয়াবাসহ আদমজী নতুন বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মাদক বিক্রি করতো।
গ্রেপ্তারকৃত খোরশেদ সিদ্ধিরগঞ্জের চিত্তরঞ্জন কটন মিলস এলাকার হোসেন খাঁনের ছেলে, মোস্তাফা সুমিলপাড়া এলাকার গফুর ভান্ডারীর ছেলে ও মো: ফয়সাল কুমিল্লা জেলার মেঘনা থানার বৈদ্যের বাজার এলাকার নুর ইসলামের ছেলে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ হ র ইন ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
ভাঙা সড়ক মেরামতে ৫০০ কোটি টাকা চান চসিক মেয়র
এক বর্ষায় চট্টগ্রাম নগরে ভেঙেছে ৩৮৮ সড়ক। আবার অরক্ষিত নালা-নর্দমা ও খালে পড়ে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এখন এসব ভাঙা সড়ক সংস্কার ও নিরাপত্তাবেষ্টনী দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ আর্থিক বরাদ্দ চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন।
সিটি করপোরেশনের আর্থিক সংকটের কারণে এ অর্থ বরাদ্দ দিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিবকে গত মঙ্গলবার চিঠি দেন মেয়র শাহাদাত হোসেন। তবে আর্থিক বরাদ্দ চাইলেও তা পাওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেননা এর আগে সিটি করপোরেশনের জলাবদ্ধতা নিরসন, বর্জ্য অপসারণে যন্ত্রপাতি কেনার প্রকল্প অনুমোদনসহ বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ চাইলেও তা মেলেনি বলে খোদ মেয়রই অভিযোগ করেছিলেন।
চট্টগ্রাম নগরে পাঁচ বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি রাস্তাঘাট ভেঙে বেহাল হয়েছে। ৩৮৮টি সড়কের ১৪২ কিলোমিটার অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত বছর ভেঙেছিল ১০০ কিলোমিটার। ২০২৩ সালে ৫০ কিলোমিটার, ২০২২ সালে ১০০ কিলোমিটার ও ২০২১ সালে ৩৬ কিলোমিটার সড়ক নষ্ট হয়েছিল।
গত ছয় বছরে অরক্ষিত খাল ও নালায় পড়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৫ সালে দুজন, ২০২৪ সালে তিনজন, ২০২৩ সালে তিনজন, ২০২১ সালে পাঁচজন ও ২০২০ সালে দুজনের প্রাণহানি হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ৯ জুলাই হালিশহরের আনন্দপুর এলাকায় তিন বছর বয়সী হুমায়রার মৃত্যু হয় মায়ের কর্মস্থলের পাশের নালায় পড়ে। এর আগে গত ১৮ এপ্রিল নগরের কাপাসগোলায় হিজড়া খালে রিকশা উল্টে পড়ে গেলে মায়ের কোল থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ছয় মাসের শিশু আনাবিয়া মেহেরিন সেহরীশের।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নগরের ভাঙা সড়ক, নালার ঝুঁকিপূর্ণ স্ল্যাব এবং অরক্ষিত নালা ও খালের তালিকা করেছে। তালিকা অনুযায়ী ১৪২ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে প্রয়োজন হবে ৪২৬ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। ১৮ হাজার ৬৬৩ বর্গমিটার স্ল্যাব ঠিক করতে লাগবে ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। অরক্ষিত নালা ও খালে নিরাপত্তাবেষ্টনী দিতে হবে ২১ কিলোমিটার। এতে খরচ হবে ২১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
সড়কে সৃষ্ট বড় গর্তে জমে আছে পানি। গাড়ি চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন চালকেরা। গত বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট এলাকায়