ছুরিকাহত রিকশাচালকের মৃত্যু, বন্ধুর খোঁজে পুলিশ
Published: 29th, June 2025 GMT
ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পরদিন সাভারে মারা গেছেন রুহুল আমিন (২৬) নামে এক রিকশাচালক। শনিবার রাতে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন রুহুলের বন্ধু শামীম হোসেনকে (২৫) গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছে পুলিশ। শুক্রবার রুহুলকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করেছিলেন শামীম। রোববার পর্যন্ত হামলার কারণ জানা যায়নি।
নিহত রুহুল সাভার পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদবাইদ মহল্লার ডেনমার্কেট এলাকার টুকু মিয়ার ছেলে। রিকশা চালিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাঁর ওপর হামলাকারী শামীম একই এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্র জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর রুহুল আমিনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় তাঁর বন্ধু শামীম। একই এলাকার কামাল গার্মেন্টস রোডের কাঠপট্টিতে যাওয়ার পর ধারালো ছুরি দিয়ে শামীমকে আঘাত করে পালিয়ে যায় শামীম। স্থানীয় লোকজন রুহুল আমিনকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই শনিবার রাতে তিনি মারা যান।
রুহুলের নিকটাত্মীয় আক্তার হোসেনের ভাষ্য, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রুহুলকে সুইচগিয়ার ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে শামীম। তাঁকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। শনিবার রাত ৮টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
ওই হাসপাতালের আইসিইউয়ে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক আহম্মেদ আলী বলেন, রুহুল আমিনকে একাধিক আঘাতের ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে আনা হয়। গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ইউসিইউতে রাখা হয়েছিল। অস্ত্রোপচার করা হলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়।
সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাসিম বিল্লাহ্ বলেন, রোববার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। থানায় এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। শামীমকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হত য র হ ল আম ন
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রামে সাবেক ভ্যাট কর্মকর্তার ৫ তলা বাড়ি ক্রোকের আদেশ
চট্টগ্রাম নগরীর কাতালগঞ্জে সাবেক আবগারী ও ভ্যাটের সহকারি কমিশনার নাসির উদ্দিন ও তার স্ত্রী তাসমিন জাহান চৌধুরীর মালিকানাধীন পাঁচতলা বাড়ি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম আদালতের নাজিরকে ওই বাড়ির রিসিভার নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার চট্টগ্রাম সিনিয়র স্পেশাল জজ হাসানুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপ-পরিচালক সুবেল আহমেদ বলেন, আসামি নাসির উদ্দিন দম্পতির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের একটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তে তাদের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করা পাঁচতলা বাড়ি ক্রোক করতে আদালতে আবেদন করা হয়। দুদকের আবেদন গ্রহণ করে আদালত বাড়িটি ক্রোক করে রিসিভার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। এখন তারা আর এসব সম্পদ অন্যত্র বিক্রি করতে পারবেন না।
আসামি মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। তিনি সর্বশেষ মৌলভীবাজারের সাবেক সহকারী কমিশনার ও বিভাগীয় কর্মকর্তা আবগারী ও ভ্যাট বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ২৮ লাখ ৩৪ হাজার ৪৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ১ কোটি ৩৬ লাখ ১৭ হাজার ৭১৭ টাকার সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রাখার অপরাধে দুর্নীতি মামলাটি করা হয়। তিনি বর্তমানে নগরীর কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকার ৩ রোড এলাকায় বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়ায়।