ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পরদিন সাভারে মারা গেছেন রুহুল আমিন (২৬) নামে এক রিকশাচালক। শনিবার রাতে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন রুহুলের বন্ধু শামীম হোসেনকে (২৫) গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছে পুলিশ। শুক্রবার রুহুলকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করেছিলেন শামীম। রোববার পর্যন্ত হামলার কারণ জানা যায়নি। 

নিহত রুহুল সাভার পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের বিনোদবাইদ মহল্লার ডেনমার্কেট এলাকার টুকু মিয়ার ছেলে। রিকশা চালিয়ে তিনি জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাঁর ওপর হামলাকারী শামীম একই এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্র জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজের পর রুহুল আমিনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় তাঁর বন্ধু শামীম। একই এলাকার কামাল গার্মেন্টস রোডের কাঠপট্টিতে যাওয়ার পর ধারালো ছুরি দিয়ে শামীমকে আঘাত করে পালিয়ে যায় শামীম। স্থানীয় লোকজন রুহুল আমিনকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই শনিবার রাতে তিনি মারা যান। 
রুহুলের নিকটাত্মীয় আক্তার হোসেনের ভাষ্য, কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রুহুলকে সুইচগিয়ার ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে শামীম। তাঁকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। শনিবার রাত ৮টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।  

ওই হাসপাতালের আইসিইউয়ে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক আহম্মেদ আলী বলেন, রুহুল আমিনকে একাধিক আঘাতের ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে আনা হয়। গুরুতর হওয়ায় তাঁকে ইউসিইউতে রাখা হয়েছিল। অস্ত্রোপচার করা হলেও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হয়। 

সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোতাসিম বিল্লাহ্ বলেন, রোববার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যায়নি। থানায় এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। শামীমকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য র হ ল আম ন

এছাড়াও পড়ুন:

বৈঠকে পুতিন ‘স্পষ্টভাবে জয়ী’, ট্রাম্প ‘হারেননি’: সাবেক মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, আলাস্কা শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘স্পষ্টভাবে জয়ী’ হয়েছেন। যদিও ইউক্রেন শান্তিচুক্তি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘হেরে যাননি’।

কেবল আবার বৈঠকের প্রতিশ্রুতি ছাড়া প্রায় তিন ঘণ্টার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প আসলে খুব বেশি কিছু পাননি। বোল্টন সিএনএনকে বলেন, ট্রাম্প কিছুই পাননি। কেবল আরও বৈঠকের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন। অন্যদিকে পুতিন ‘সম্পর্ক পুনর্গঠনে অনেকটা এগিয়ে গেছেন। আমি সব সময়ই মনে করতাম, এটিই তাঁর মূল লক্ষ্য।’

বোল্টন আরও বলেন, ‘তিনি (পুতিন) নিষেধাজ্ঞা থেকে রক্ষা পেয়েছেন এবং কোনো যুদ্ধবিরতির মুখোমুখি তাঁকে হতে হয়নি। পরবর্তী বৈঠকের তারিখও ঠিক হয়নি। জেলেনস্কিকে এসব কিছু এই সংবাদ সম্মেলনের আগে জানানো হয়নি।

যদিও কোনো স্পষ্ট ফলাফল বা দিকনির্দেশনা ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়েছে, তবু দুই নেতা একে ‘ফলপ্রসূ’ আখ্যা দিয়েছেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এখনো সেখানে পৌঁছাইনি, তবে সেখানে পৌঁছানোর ভালো সুযোগ আছে।’

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (বাঁয়ে) ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের অ্যাঙ্কোরেজ শহরের এলমেনডর্ফ– রিচার্ডসন সামরিক ঘাঁটিতে, ১৫ আগস্ট ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ