আইসিটি বিভাগের অধীন আইডিইএ প্রকল্প থেকে ১০ লাখ টাকার প্রি-সিড ফান্ডিং পেয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উদ্যমী তরুণদের গড়া উদ্ভাবনী স্টার্টআপ ‘বিকো অল ইন ওয়ান’।

রবিবার (২৯ জুন) ঢাকা আইসিটি টাওয়ারে ১০ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঢাকার বাইরে থেকে এমন একটি অর্জন শুধু বিস্ময়করই নয়, বরং প্রমাণ করে, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের আলো এখন সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়ছে।

‘বিকো অল ইন ওয়ান’ একটি অনলাইন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, যেখানে একত্র হয়েছে দক্ষতা-ভিত্তিক অনলাইন শিক্ষা ও ক্যারিয়ার গাইড, লোকজ পণ্য ও ই-কমার্স সেবা। এছাড়া বাংলাদেশের ঐতিহ্যভিত্তিক কনটেন্ট, ইন্টার্নশিপ ও চাকরির সুযোগসহ সব এক ছাতার নিচে। এর মূল স্লোগান ‘স্বপ্নকে উদ্ভাবন কর’।

আরো পড়ুন:

‘ফুট অ্যান্ড মাউথ রোগ প্রতিরোধ হলে প্রাণিজ আমিষে স্বয়ংসম্পূর্ণতা সম্ভব’

প্রথমবারের মতো ডিনস ও মেরিট অ্যাওয়ার্ড দিল বেরোবি

‘বিকো অল ইন ওয়ান’ এর প্রতিষ্ঠাতা রাবির ফোকলোর বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মো.

আবু রাকেশ জয় বলেন, “এই ফান্ড আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। আমরা প্রমাণ করতে চাই—ঢাকার বাইরেও আন্তর্জাতিক মানের কিছু গড়ে তোলা সম্ভব। আমাদের লক্ষ্য, বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও প্রতিভাকে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরা।”

এ বিষয়ে ‘বিকো অল ইন ওয়ান’ এর টেকনোলজি শাখার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, “বিকো অল ইন ওয়ান শুধুমাত্র একটি স্টার্টআপ নয়, এটি আমাদের স্বপ্ন, পরিশ্রম আর প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কিছু করার সাহস। আমরা চাই এমন একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে, যেখানে প্রযুক্তি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি একসাথে এগিয়ে যায়।”

তিনি বলেন, “এই অর্থায়ন আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে আরো শক্ত ভিত্তি দিয়েছে। আশা করি, রাজশাহীর মতো শহর থেকেও উদ্ভাবনের নতুন গল্প লেখা যাবে—যা গোটা দেশকে অনুপ্রাণিত করবে।”

তিনি আরো জানান, এই অর্জন শুধু একটি স্টার্টআপের সাফল্য নয়, বরং বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুণদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার আলোকবর্তিকা। সাহস, চিন্তা আর দলগত প্রচেষ্টা থাকলে, রাজশাহীর মতো শহর থেকেও শুরু হতে পারে বিশ্বজয়ের যাত্রা।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ট র টআপ আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

আঙুল হঠাৎ ‘লক’ হয় কেন, হলে কী করবেন

আঙুল সোজা করতে গিয়ে হঠাৎ বেঁকে বা লক হয়ে যেতে পারে। এটাকে বলা হয় ট্রিগার ফিঙ্গার। চিকিৎসাবিজ্ঞানে যার নাম স্টেনোসিং টেনোসিনোভাইটিস।

আমাদের আঙুল বাঁকা বা সোজা করার কাজটি হয় টেনডন বা রশির মতো একটি বস্তুর মাধ্যমে। হাড়ের সঙ্গে ঘর্ষণ কমাতে কিছু ‘পুলি’–এর মধ্য দিয়ে চলে। এর একটি ‘এ ওয়ান’ পুলি। এটি ফুলে বা আঁটসাঁট হয়ে গেলে টেনডন সহজে নড়ানো যায় না।

এর ফলে আঙুল বাঁকানোর সময় আটকে যায় বা হঠাৎ ক্লিক দিয়ে সোজা হয়। এটাকেই বলা হয় ট্রিগার ফিঙ্গার।

কেন হয়, লক্ষণ

দীর্ঘদিন কারও ডায়াবেটিস থাকলে, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা (হাইপোথাইরয়ডিজম), হাতের অতিরিক্ত ব্যবহার—যেমন গ্রিপ করে কাজ করা, হাতুড়ি, কাঁচি ইত্যাদির কারণে এটা হয়ে থাকে। এটি বেশি হয় নারীদের। সাধারণত ৪০ থেকে ৬০ বছর বয়সে এটা বেশি হতে দেখা যায়।

সকালের দিকে আঙুল শক্ত হয়ে থাকা বা সোজা হতে না চাইলে বুঝবেন ট্রিগার ফিঙ্গার হয়েছে। এ ছাড়া আঙুল বাঁকিয়ে ছেড়ে দিলে আটকে যায় বা ক্লিক শব্দ দিয়ে সোজা হওয়া, আঙুলের নিচের তালুর গোড়ার দিকে ব্যথা, আবার কখনো কখনো আঙুল একদম ‘লক’ হয়ে যেতে পারে।

আরও পড়ুন৮ বছর আগে যেমন ছিল সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র, দেখুন ২০টি ছবি৭ ঘণ্টা আগেকরণীয় ও চিকিৎসা

বারবার শক্তভাবে কিছু ধরা বা চেপে ধরার মতো কাজ কমাতে হবে।

ভারী জিনিস তোলা, ঝাড়ু দেওয়া, হাতুড়ি ব্যবহার সীমিত করতে হবে।

একটানা কোনো কাজ না করে মাঝেমধ্যে হাত বিশ্রামে রাখা।

ঘুমের সময় হাত মোড়ানো অবস্থায় না রেখে খোলা রাখতে চেষ্টা করা।

কলম বা হাতলের ওপর হালকা গ্রিপ ব্যবহার করা।

আরও পড়ুনআইপিএস ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো রাখার ৫টি কার্যকর উপায়৫ ঘণ্টা আগে

আঙুল সোজা করে রাখার জন্য ফিঙ্গার স্প্লিন্ট বা ওভাল ৮ স্প্লিন্ট ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে টেনডনে চাপ কমে এবং বেশ আরামও পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফিজিক্যাল থেরাপি বা মেশিন থেরাপি দেওয়া যায়। যেমন প্রদাহ কমাতে আলট্রাসাউন্ড থেরাপি, ব্যথা কমাতে টেনস থেরাপি এবং প্রদাহ–ব্যথা কমাতে  ক্রায়োথেরাপি অর্থাৎ বরফ সেঁক বেশ কার্যকর।

ব্যথানাশক ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে। যদি ওপরের সব ব্যবস্থা তিন থেকে ছয় মাসে কাজে না আসে, তখন পারকিউটেনিয়াস রিলিজ বা ওপেন সার্জারির মাধ্যমে ‘এ ওয়ান’ পুলি কেটে দেওয়া হয়।

আঙুলের ব্যায়াম

আঙুলের ব্যায়াম বেশ কার্যকর। থেরাপিস্টের মাধ্যমে বা নিজে নিজে ব্যায়াম করতে পারেন। যেমন ধীরে ধীরে আঙুল নাড়ানো, টেনডন গ্লাইডিং, থেরাপিউটিক পুটি বা বল ব্যবহার করে গ্রিপ শক্তিশালী করা, ব্যথা না বাড়লে ধীরে ধীরে ফ্লেক্সন-এক্সটেনশন ব্যায়াম শুরু করা যায়।

ডা. সাকিব আল নাহিয়ান, ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, ঢাকা

আরও পড়ুনসারা টেন্ডুলকারই কি ভাই অর্জুনের বিয়ের ঘটক? বিস্তারিত জানুন ছবিতে ছবিতে১ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ