প্রতারণার মাধ্যমে ১১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা আইনজীবী সমিতির (বার) সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে। গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মেহেদী হাসান বাদীর বক্তব্য শুনে মামলা তিনটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এ বিষয়ে আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম বলেন, ‘ঢাকা আইনজীবী সমিতির পক্ষে বর্তমান কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মইনুল হোসেন অপু, ট্রেজারার আব্দুর রশীদ মোল্লা ও জহিরুল হাসান মুকুল মামলা তিনটি করেন। তিন মামলায় মোট আসামি ১১ জন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। আগামী ২৫ আগস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন– ২০২৪-২৫ মেয়াদের সভাপতি আব্দুর রহমান হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শাহাদাত শাওন, সিনিয়র সহসভাপতি আবুল কালাম মো.

আক্তার হোসেন ও ট্রেজারার ওমর ফারুক, ২০২৩-২৪ মেয়াদের সভাপতি মিজানুর রহমান মামুন, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের, সহসাধারণ সম্পাদক শ্রী প্রাণনাথ ও ট্রেজারার বিবি ফাতেমা মুন্নি এবং ২০২২-২৩ মেয়াদের সভাপতি মো. মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজুর রহমান মন্টু ও ট্রেজারার নুর হোসেন।

এক মামলায় আব্দুর রহমান হাওলাদার, আনোয়ার শাহাদাত শাওন, আবুল কালাম মো. আক্তার হোসেন ও ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে আইনজীবী সমিতির ১১ লাখ ২০ হাজার ৫১১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। আরেক মামলায় মিজানুর রহমান মামুন, গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের, শ্রী প্রাণনাথ ও ট্রেজারার বিবি ফাতেমা মুন্নির বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৩০ লাখ ৪১ হাজার ২৯০ টাকা অভিযোগ করা হয়েছে। তৃতীয় মামলায় মো. মাহবুবুর রহমান, ফিরোজুর রহমান মন্টু ও নুর হোসেনের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৪৬ লাখ ৩৫ হাজার ৪০১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র রহম ন ম আইনজ ব

এছাড়াও পড়ুন:

ভাইকে বাঁচাতে বান্ধবীকে ফাঁসানোর অভিযোগ

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় বান্ধবীর ছবি তুলেছিলেন ভাই। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালে ভাইকে বাঁচাতে উল্টো বান্ধবীর নামে মিথ্যা চুরির মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে তানিয়া হক নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। 

এছাড়াও চুরির ঘটনার কোনো তদন্ত ছাড়াই মামলা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা জজকোর্টের সামনে গণমাধ্যমকে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল। 

পাবনা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আখতারুজ্জামানের আদালত ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা সানিমুনকে জামিন দিয়েছেন।

অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল বলেন, “আমার মক্কেল ইফফাত মোকাররমা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতায় পেশায় নিয়োজিত। তিনি একজন সম্মানিত লোক। মামলার বাদীর সঙ্গে তার দীর্ঘদিন বন্ধুত্বের সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের কারণে তার বান্ধবীর বাসায় গিয়েছিলেন এবং একসঙ্গে ঘোরাঘুরির পর যখন রাত্রীযাপন করছিলেন সেই সময়ে বাদীর ভাই ইফফাত মোকাররমার ছবি তুলেছিলেন। বিষয়টি টের পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানান এবং ছবিগুলো দেখানোর জন্য অনুরোধ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরেরদিন সকালে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলে ইফফাত মোকাররমা ঢাকায় চলে যান এবং সেখানে জিডি করেন। কিন্তু এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো ইফফাত মোকাররমার বিরুদ্ধে মিথ্যা চুরির মামলা দায়ের করেন তার বান্ধবী।”

তিনি আরো বলেন, “বাদী তানিয়া হক উল্লেখ করেছেন ২৬ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে যা তিনি তার শরীরে পড়ে তার বান্ধবীর সঙ্গে ঘুড়ে বেড়িয়েছিলেন। কিন্তু ওইদিনের ঘোরাঘুরির ছবিতে তার শরীরে কোনো স্বর্ণালঙ্কার ছিল না। এছাড়াও ঘটনার দুইদিনের মাথায় যেভাবে মামলা গ্রহণ করা হয়েছে তাতে বোঝা যায় কোনো তদন্ত ছাড়াই থানা কোনো পক্ষ থেকে প্রভাবিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেছেন।”

ভুক্তভোগী নারী ইফফাত মোকাররমা বলেন, “এই মামলার নূন্যতম প্রমাণ নেই। আমি যে একজন শিক্ষক হিসেবে আমার ছাত্রদের সামনে দাঁড়াবো সেই অবস্থাও তারা আমাকে রাখেনি। আমার সন্তানসহ পুরো পরিবার সামাজিকভাবে হেয় পতিপন্ন হচ্ছে। আমি চাই ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

এ বিষয়ে মামলার বাদীর তানিয়া হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে ফোন রিসিভ না করায় মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “উনি (আইনজীবী) উনার মক্কেলের জন্য এসব কথা বলতেই পারেন। উনার মক্কেলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এসব অভিযোগ করেছেন। কিন্তু ঘটনার তদন্ত করে এবং আইনানুগভাবেই মামলা দায়ের হয়েছে, যা এখনও তদন্ত চলছে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঋণ আদায়ে লাগবে ৩৩৩ বছর
  • ভাইকে বাঁচাতে বান্ধবীকে ফাঁসানোর অভিযোগ