তবে কি এ আর রাহমান-জে হোপকে একসঙ্গে দেখা যাবে
Published: 30th, June 2025 GMT
পৃথিবীর অন্যতম জমকালো আয়োজন প্যারিস ফ্যাশন উইক। ফ্রান্সের রাজধানী ও ফ্যাশনের শহর প্যারিসে ২৪ জুন থেকে শুরু হওয়া এবারের আসরের পর্দা নেমেছে ২৯ জুন।
এবারের আয়োজনে লুই ভুঁতোর শোতে নতুন চমক নিয়ে হাজির হয়েছিলেন অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী এ আর রাহমান। সেখানে তিনি তার পাঞ্জাবি গান ‘ইয়ারা’-এর প্রিমিয়ার করেন। মার্কিন সংগীত প্রযোজক ফারেল উইলিয়ামস ও রাহমান যৌথভাবে গানটি তৈরি করেছেন।
গানটিতে রয়েছে ভারতীয় ধ্রুপদি সুর, বাজনার সঙ্গে ফারেলের সিগনেচার ওয়েস্টার্ন গ্রুপ, সব মিলিয়ে তৈরি করেছে এক ইউনিক ফিউশন।
এরআর রাহমান এই গানটি নিয়ে বলেছেন, এটি তার ‘সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধের নতুন প্রয়াস’। তবে এই গানটি নিয়ে বেশি আলোচনা এখন অন্য কারণে।
বিটিএস তারকা জে হোপ সামনের সারিতে বসে গানটি উপভোগ করেন। সেই ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এমনকি রাহমান নিজেই তার ইনস্টাগ্রাম পেজে শেয়ার করেছে সেটি। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা শুরু হয়েছে। তারা আশা করছেন, দুজনকে একসঙ্গে দেখতে পারবেন তারা।
জে-জেড, বিয়ন্সে, ফিউচার, স্পাইক লির মতো অনেক তারকাই উপস্থিত ছিলেন প্যারিস ফ্যাশন উইকের এই আয়াজনে। তবে জে-হোপের দিকের ভক্তদের চোখ ছিল সবার। তাই রাহমান যখন ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি শেয়ার করেন, তখন থেকেই বিটিএস ফ্যানরা মন্তব্য করতে থাকেন, ‘হোবি (জে হোপ) এবং রাহমান কবে আসবেন?’
তবে দুজনকে একসঙ্গে বিশ্বসংগীতের মঞ্চে একসঙ্গে দেখা যাবে কিনা তা সময় ব্লে দেবে। কারণ তাদের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বলা প্রয়োজন, জে হোপ সংগীত দুনিয়ার এক আলোচিত নাম। বিশেষকরে বিটিএস ভক্তরা তার গানে রীতিমতো মুগ্ধ। সম্প্রতি তিনি মার্কিন গায়ক মিগুয়েলের সঙ্গে ‘সুইট ড্রিমস’ গানটি প্রকাশ করেছেন। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: একসঙ গ
এছাড়াও পড়ুন:
আধুনিক টিভির যত আধুনিক সুবিধা
টেলিভিশনকে বাংলায় বলা হয় ‘দূরদর্শন’। মাত্র কয়েক বছর আগেও এটি সত্যিই ছিল দূরদর্শনের মাধ্যম—দূরের কোনো ঘটনা চোখের সামনে এনে দেওয়ার একটি যন্ত্র। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে টিভির সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও ব্যবহার। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতিতে আজকাল টিভি হয়ে উঠেছে একটি ‘স্মার্ট হাব’, যেখানে সিনেমা দেখা, গেম খেলা, ভিডিও কল করা, এমনকি বাড়ির অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আধুনিক টিভিগুলোর সুবিধা কেবল ছবি বা সাউন্ডে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এগুলো এখন ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স।
স্মার্ট অপারেটিং সিস্টেমবর্তমান প্রজন্মের টিভিগুলো শুধু নাটক কিংবা সিনেমা দেখার একটি স্ক্রিন নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ স্মার্ট ডিভাইস। স্মার্ট টিভিতে অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) হিসেবে টাইজেন, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, রোকু টিভি এবং ওয়েবওএস ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এই সিস্টেমগুলোর মাধ্যমেই বর্তমান যুগের টিভিগুলো হয়ে উঠছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর। ব্যবহারকারীরা এখন চাইলেই স্মার্ট টিভিগুলোতে নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, স্পটিফাই, অ্যামাজন প্রাইম কিংবা যেকোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মও সরাসরি উপভোগ করতে পারেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘অ্যাপ স্টোর ইন্টিগ্রেশন’। টিভিতেই এখন মোবাইলের মতো অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ওয়েদার অ্যাপ, গেমস, নিউজ—এমনকি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপও ব্যবহার করা যায় টিভির বড় স্ক্রিনে।
ভয়েস কন্ট্রোল: কথা বলেই নিয়ন্ত্রণরিমোট খোঁজার ঝামেলা এখন যেন অতীত। আগে টিভির সবকিছু রিমোট দ্বারা পরিচালিত হলেও এখনকার আধুনিক টিভিগুলোতে আছে ভয়েস কন্ট্রোল—যেখানে ব্যবহারকারীর ভয়েস দ্বারাই টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই প্রযুক্তি বিক্সবি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যালেক্সার মতো ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে কাজ করে। এর পাশাপাশি কিছু হাই-এন্ড মডেলে রয়েছে জেসচার কন্ট্রোল—যেখানে হাত নাড়লেই টিভি রেসপন্স করে। টিভি চালু-বন্ধ করা, চ্যানেল পরিবর্তন—এমনকি ভলিউম বাড়ানো-কমানোর মতো কাজও করা যায় হাতের ইশারায়। এ ক্ষেত্রে গ্যালাক্সি ওয়াচের কথা বলা যায়। এটি হাতের নড়াচড়াকে শনাক্ত করে এসব কমান্ড কার্যকর করে।
মাল্টি-ডিভাইস কানেকটিভিটি: এক স্ক্রিনে সব সংযোগবর্তমানে টিভি শুধু সম্প্রচার মাধ্যম নয়; এটি হয়ে উঠেছে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল ইউনিট। মোবাইল ফোন, স্পিকার, ল্যাপটপ, গেমিং কনসোল—সব ডিভাইস এখন টিভির সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত করা যায়।
বেশির ভাগ স্মার্ট টিভিতে রয়েছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এইচডিএমআই এআরসি, এয়ার প্লে, মিরাকাস্টসহ বিভিন্ন সুবিধা। ফলে ব্যবহারকারী চাইলে নিজের ফোনের ছবি, ভিডিও বা প্রেজেন্টেশন মুহূর্তেই বড় স্ক্রিনে শেয়ার করতে পারেন। সেই সঙ্গে আধুনিক টিভিগুলোতে রয়েছে গেমারদের জন্য এইচডিএমআই ২.১ পোর্ট এবং কম ইনপুট ল্যাগযুক্ত ডিসপ্লে, যা গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে করে তোলে আরও স্মুথ।
আধুনিক টিভিগুলো ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স