পৃথিবীর অন্যতম জমকালো আয়োজন প্যারিস ফ্যাশন উইক। ফ্রান্সের রাজধানী ও ফ্যাশনের শহর প্যারিসে ২৪ জুন থেকে শুরু হওয়া এবারের আসরের পর্দা নেমেছে ২৯ জুন।

এবারের আয়োজনে লুই ভুঁতোর শোতে নতুন চমক নিয়ে হাজির হয়েছিলেন অস্কারজয়ী সংগীতশিল্পী এ আর রাহমান। সেখানে তিনি তার পাঞ্জাবি গান ‘ইয়ারা’-এর প্রিমিয়ার করেন। মার্কিন সংগীত প্রযোজক ফারেল উইলিয়ামস ও রাহমান যৌথভাবে গানটি তৈরি করেছেন।

গানটিতে রয়েছে ভারতীয় ধ্রুপদি সুর, বাজনার সঙ্গে ফারেলের সিগনেচার ওয়েস্টার্ন গ্রুপ, সব মিলিয়ে তৈরি করেছে এক ইউনিক ফিউশন।

এরআর রাহমান এই গানটি নিয়ে বলেছেন, এটি তার ‘সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধের নতুন প্রয়াস’। তবে এই গানটি নিয়ে বেশি আলোচনা এখন অন্য কারণে।

বিটিএস তারকা জে হোপ সামনের সারিতে বসে গানটি উপভোগ করেন। সেই ভিডিও মুহূর্তেই ছড়িয়ে পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এমনকি রাহমান নিজেই তার ইনস্টাগ্রাম পেজে শেয়ার করেছে সেটি। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়তেই ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা শুরু হয়েছে। তারা আশা করছেন, দুজনকে একসঙ্গে দেখতে পারবেন তারা।

জে-জেড, বিয়ন্সে, ফিউচার, স্পাইক লির মতো অনেক তারকাই উপস্থিত ছিলেন প্যারিস ফ্যাশন উইকের এই আয়াজনে। তবে জে-হোপের দিকের ভক্তদের চোখ ছিল সবার। তাই রাহমান যখন ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি শেয়ার করেন, তখন থেকেই বিটিএস ফ্যানরা মন্তব্য করতে থাকেন, ‘হোবি (জে হোপ) এবং রাহমান কবে আসবেন?’

তবে দুজনকে একসঙ্গে বিশ্বসংগীতের মঞ্চে একসঙ্গে দেখা যাবে কিনা তা সময় ব্লে দেবে। কারণ তাদের কাছ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বলা প্রয়োজন, জে হোপ সংগীত দুনিয়ার এক আলোচিত নাম। বিশেষকরে বিটিএস ভক্তরা তার গানে রীতিমতো মুগ্ধ। সম্প্রতি তিনি মার্কিন গায়ক মিগুয়েলের সঙ্গে ‘সুইট ড্রিমস’ গানটি প্রকাশ করেছেন। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: একসঙ গ

এছাড়াও পড়ুন:

এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ: ‘সীমান্তে লড়াই চলে আর আমরা ক্রিকেট খেলতে নেমে পড়ি, এটা হতে পারে না’

‘ঘাম ও রক্ত একসঙ্গে বইতে পারে না। আমরা ওদের এত গুরুত্ব দিই কেন?’

এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ভারতের বর্জন করা উচিত কি—ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার করা প্রশ্নের উত্তরে এ মন্তব্য করেন হরভজন সিং।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এশিয়া কাপ। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এ টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপে আরব আমিরাত ও ওমানের সঙ্গে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। সূচি অনুযায়ী, ১৪ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপে নিজেদের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হবে ভারত ও পাকিস্তান।

আরও পড়ুন৩৪ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের১ ঘণ্টা আগে

এবারের এশিয়া কাপ নিয়ে জটিলতা বাড়ে গত মে মাসে ভারত ও পাকিস্তান সামরিক সংঘাতে জড়ালে। এসিসির এই দুই প্রভাবশালী দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে ক্রিকেট খেলবে না—এমন আলোচনাও ওঠে তখন। ২৪ জুলাই ঢাকায় এসিসি এজিএম হওয়া নিয়েও মুখোমুখি দাঁড়ায় দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ড। শেষ পর্যন্ত অনলাইনে এজিএমে যোগ দেয় বিসিসিআই। এজিএমের পর এক্সে করা পোস্টে এশিয়া কাপের দিন-তারিখ ও সূচি প্রকাশ করেন এসিসি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি।

তবে এর মধ্যে অন্য ঘটনাও ঘটেছে। সম্প্রতি শেষ হওয়া ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস (ডব্লিউসিএল) টুর্নামেন্টে ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নস দলে খেলেছেন হরভজন। গ্রুপ পর্ব ও সেমিফাইনালে ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নস পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নসের সঙ্গে খেলতে অস্বীকৃতি জানায়। গত এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে ভারতশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার প্রতিবাদে এ টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বর্জন করেন ভারতের সাবেকেরা।

হরভজনের মতে, ‘জাতি সবার আগে’ এবং তিনি মনে করেন প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে এশিয়া কাপে খেলতে অস্বীকৃতি জানানো উচিত হবে ভারতের, ‘তাদের বুঝতে হবে, কোনটা গুরুত্বপূর্ণ ও কোনটা অগুরুত্বপূর্ণ। আমার কাছে ব্যাপারটা এমনই। যেসব সৈন্য সীমান্তে আছেন, পরিবারের সঙ্গে দেখা হয় না সেভাবে, কখনো কখনো নিজেদের জীবন উৎসর্গ করছেন এবং আর কখনোই বাড়ি ফেরেন না, তাঁদের ত্যাগ আমাদের সবার জন্যই অনেক বড় ব্যাপার। সে তুলনায় একটি ক্রিকেট ম্যাচ ছাড়াটা খুবই সামান্য বিষয়।’

আরও পড়ুনআন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে চমকের নাম ফয়সাল২ ঘণ্টা আগে

ভারতের হয়ে ১০৩ টেস্টে ৪১৭ উইকেট নেওয়া ৪৫ বছর বয়সী সাবেক এই ক্রিকেটার আরও বলেন, ‘আমাদের সরকারেরও একই অবস্থান। রক্ত ও ঘাম একসঙ্গে বইতে পারে না। সীমান্তে লড়াই চলছে আর আমরা ক্রিকেট খেলতে নেমে পড়ছি, এটা হতে পারে না। এ বড় ইস্যুগুলো সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ক্রিকেট খুবই ছোট বিষয়। জাতি সবার আগে।’

হরভজন ব্যাখ্যা করেন, ‘আমাদের যা কিছু পরিচয়, সবই এই দেশের জন্য। সেটা আপনি খেলোয়াড়, অভিনেতা কিংবা যাই হোন—কেউ জাতির চেয়ে বড় নয়। সবার আগে দেশ এবং যে দায়িত্ব আসে, সেটা পালন করতেই হবে। দেশের বিষয়ে ক্রিকেট ম্যাচ না খেলাটা খুবই সামান্য ব্যাপার।’

২০০৭ সালে বেঙ্গালুরু টেস্টে ভারতের হরভজন সিং (বাঁয়ে) ও পাকিস্তানের শোয়েব আখতার। ওই ম্যাচের পর দুই দল আর কখনো টেস্টে মুখোমুখি হয়নি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাকিস্তানকে মোদি: রক্ত আর জল একসঙ্গে বইতে পারে না
  • একসঙ্গে চার রায়ান, এমন খেলোয়াড় বদল আগে দেখেছে কি ফুটবল
  • পাইনঅ্যাপল পাই বানাবেন যেভাবে, দেখুন রেসিপি
  • জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা
  • এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ: ‘সীমান্তে লড়াই চলে আর আমরা ক্রিকেট খেলতে নেমে পড়ি, এটা হতে পারে না’