এক সেঞ্চুরিতে দুই বিশ্ব রেকর্ড ‘বুড়ো’ ডু প্লেসির
Published: 30th, June 2025 GMT
বুড়িয়ে গেলে অনেকেই ফুরিয়ে যান। কিন্তু ফাফ ডু প্লেসিকে দেখে কেউ বলতে পারবেন না তিনি ফুরিয়ে যাওয়ার পথে। বরং দিন যতই গড়াচ্ছে, ততই তাঁর পারফরম্যান্সের ঔজ্জ্বল্য বাড়ছে।
সপ্তাহ দুয়েক পরেই ৪১তম জন্মদিনের কেক কাটবেন ডু প্লেসি। এর আগে আজ এক সেঞ্চুরিতেই গড়েছেন তিন রেকর্ড; এর মধ্যে দুটি আবার বিশ্ব রেকর্ড!
যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ ক্রিকেটে (এমএলসি) আজ এমআই নিউইয়র্কের বিপক্ষে ৫ চার ও ৯ ছক্কায় ৫৩ বলে ১০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন টেক্সাস সুপার কিংস অধিনায়ক ডু প্লেসি। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে তাঁর এই ইনিংসের সুবাদে নিউইয়র্ককে ৩৯ রানে হারিয়ে আসরের প্লে-অফ পর্বে জায়গা করে নিয়েছে টেক্সাস।
ইনিংসটির মধ্য দিয়ে ডু প্লেসি হয়ে গেছেন টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের প্রথম ব্যাটসম্যান, ৪০ বছর পেরিয়ে যাঁর একাধিক সেঞ্চুরি আছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই অধিনায়কের বর্তমান বয়স ৪০ বছর ৩৫২ দিন। আগের সেঞ্চুরিটা তিনি করেছিলেন এমএলসিতেই, গত ২০ জুন একই ভেন্যুতে সান ফ্রান্সিসকো ইউনিকর্নসের বিপক্ষে। তখন তাঁর বয়স ছিল ৪০ বছর ৩৪৩ দিন।
ডু প্লেসি এর আগের সেঞ্চুরিও করেছেন এমএলসিতে। তবে সেটি গত বছর ৮ জুলাই মরিসভিলে ওয়াশিংটন ফ্রিডমের বিপক্ষে, ৪০তম জন্মদিনের মাত্র ৪ দিন আগে। সেঞ্চুরিটা আরও কয়েক দিন পর পেলেও ৪০ পেরিয়ে তিনটি সেঞ্চুরি হয়ে যেত তাঁর।
বয়স ৪০ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি আছে মাত্র পাঁচজন ব্যাটসম্যানের। ডু প্লেসি ছাড়া অন্য চারজন ইংল্যান্ডের প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক পল কলিংউড, তাঁর স্বদেশি গ্রায়েম হিক, আফগানিস্তানের ইমরান জানাত ও পাকিস্তানের জুবাইর আহমেদ। ৪০ পেরিয়ে এই চারজন একটি করে সেঞ্চুরি করেছেন।
ডু প্লেসি অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরিরও বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে আজ ২০০তম বারের মতো ব্যাটিংয়ে নেমে তিনি অষ্টমবারের মতো তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে ভেঙেছেন অস্ট্রেলিয়ার মাইকেল ক্লিঙ্গার ও পাকিস্তানের বাবর আজমের রেকর্ড।
ক্লিঙ্গার-বাবর দুজনেরই টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হিসেবে সাতটি করে সেঞ্চুরি আছে। মজার ব্যাপার হলো, ডু প্লেসি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরিই করেছেন আটটি, যার মানে সব কটি সেঞ্চুরিই করেছেন দলকে নেতৃত্ব দিতে নেমে।
এখানেই শেষ নয়। ডু প্লেসি এখন এককভাবে এমএলসি ইতিহাসের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান। যুক্তরাষ্ট্রের এই লিগে আজকের সেঞ্চুরিটা তাঁর তৃতীয়। দুটি সেঞ্চুরি আছে এমআই নিউইয়র্ক অধিনায়ক নিকোলাস পুরান ও সান ফ্রান্সিসকো ইউনিকর্নস ওপেনার ফিন অ্যালেনের। তবে প্রথম সেঞ্চুরিটা করেছিলেন ২০২৩ সালে প্রথম আসরে। সেই সময় এমএলসির টি-টোয়েন্টি স্বীকৃতি ছিল না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড কর ছ ন প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়র হওয়ার দৌড়ে আরও এগোলেন মামদানি
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে নির্বাচনে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন কুইন্স কাউন্টির জনপ্রিয় ডেমোক্রেটিক নেতা জোহরান মামদানি। তিনি প্রার্থিতার দৌড়ে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রাথমিক নির্বাচনেও জিতেছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে ৭০ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দিয়েছেন। আগামী ৪ নভেম্বর মেয়র পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
নিউইয়র্কের দুটি শক্তিশালী শ্রমিক ইউনিয়ন ও নার্সদের বৃহৎ সংগঠন মামদানিকে সমর্থন দিয়েছে। সংগঠনগুলো হলো– হোটেল অ্যান্ড গেমিং ট্রেডস কাউন্সিল (এইচটিসি), সার্ভিস এমপ্লয়িজ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন (এসইআইইউ, ৩২বিজে) এবং নিউইয়র্ক স্টেট নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন (এনওয়াইএসএনএ)। নিউইয়র্ক শহরে ৩২ বিজে এসইআইইউর ৮০ হাজার, এইচটিসির ৪০ হাজার ও এনওয়াইএসএনএর ৩০ হাজার সদস্য রয়েছে।
এসব সংগঠনের নেতারা বলছেন, ভোটে তারা গণতান্ত্রিক সমাজতান্ত্রিক নেতা মামদানির পক্ষে কাজ করবেন, যিনি প্রচারণায় শ্রমিকদের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। নভেম্বরের নির্বাচনে বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামসের বিপরীতে তারা মামদানিকে বেছে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হোটেল অ্যান্ড গেমিং ট্রেডস কাউন্সিলের সভাপতি রিচ মারোকো বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের কার্যক্রম এগিয়ে নিতে, সদস্যদের যে কোনো সমস্যায় মামদানি আমাদের পাশে থাকবেন। এ জন্যই আমরা তাঁকে নিউইউয়র্কের মেয়র হিসেবে দেখতে চাই।’ অ্যান্ড্রু কুওমোকে সমর্থনকারী কিছু শ্রমিক নেতাও বলেছেন, শ্রমিকদের স্বার্থের পক্ষে মামদানির যেসব প্রচেষ্টা রয়েছে, তাতে আমরা কুওমোর শিবির ত্যাগ করতে রাজি আছি।
সংগঠনগুলোর সমর্থন পাওয়ার পর মামদানি বলেন, ‘শ্রমজীবী মানুষ প্রতিদিন লড়াই করে। আমি তাদের সমর্থন পেয়ে সম্মানিত। শ্রমজীবীরা সামর্থ্য অনুযায়ী চাকরি পাওয়ার যোগ্য। তাদের মর্যাদা ধরে রাখাই লড়াইয়ে আমার সমর্থন ঘোষণা করছি।’
ডেমোক্রেটিক নেতা ক্যাথি হোচুল, সিনেটর চাক শুমার, প্রতিনিধি হাতিক জেফ্রিসসহ রাজ্যের বেশির ভাগ নেতা মামদানিকে প্রকাশ্যে সমর্থন না দিলেও তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অবশ্য প্রাইমারিতে বিজয়ের পর মেয়র অ্যাডামসের তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছেন মামদানি। ফক্স অ্যান্ড ফ্রেন্ডস শোতে তিনি মামদানিকে ‘সাপের তেল বিক্রেতা’ বলে নিন্দা করেন। সিএনএন উপস্থাপক ডন লেমন মেয়রকে জিজ্ঞাসা করেন, মামদানিকে তিনি ইসরায়েলবিরোধী বলে মনে করেন কিনা। মেয়র জবাবে বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি তা মনে করি।’ গত বছরের অক্টোবরে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন মামদানি।