‘আমি আ.লীগ, যুব মহিলা লীগ না’, আদালতে সাবেক এমপি তুহিন
Published: 30th, June 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের হত্যা মামলায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুব মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি ও সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদন মঞ্জুর করে তুহিনের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ করেন। শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এ মামলা হয়।
এদিন আদালতে শুনানিতে সাবেক এমপি তুহিন বিচারককে বলেন, আমার ঔষধ শেষ হয়ে গেছে, ঔষধ প্রয়োজন।
শুনানির সময় তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোরশেদ আলম শাহীন সাবেক এমপি তুহিনের ঔষধ দেখিয়ে আদালতকে বলেন, উনার ঔষধ প্রয়োজন, এগুলো দিতে হবে। এসময় বিচারক বলেন, এখান থেকে ঔষধ দেওয়ার নিয়ম নেই। যথাযথ নিয়মে ঔষধ নেবেন। বাইরে থেকে দেওয়া যাবে না।
এর আগে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তুহিনকে যুব মহিলা লীগ উল্লেখ করলে আদালতে তুহিন বলেন, আমি আওয়ামী লীগ। যুব মহিলা লীগ না।
এদিন আদালতে শুনানির সময় হাসিমুখে গল্প করতে দেখা যায় সাবেক এই এমপিকে। শুনানিতে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করলে তিনি হাসি দিয়ে মাথা নাড়তে থাকেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী যখন শুনানিতে কথা বলেন, তখন তিনি মুচকি হাসি দিয়ে তার কথা শুনতে থাকেন।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তুহিনের উদ্দেশ্যে বলেন, তিনি ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন। বিভিন্ন মিটিং-মিছিলসহ হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে কিছু প্রমাণও পাওয়া গেছে। আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের জন্য তার পরবর্তী রিমান্ড প্রয়োজন।
এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ আলম শাহীন আদালতকে বলেন, একটা অনুমানের ওপর নির্ভর করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া রিমান্ড চাইতে পারে না রাষ্ট্রপক্ষ। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ নেই। এটা আইনের লঙ্ঘন। তিনি বলেন, একজন পার্লামেন্ট সদস্যের কাছে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি সুসমন্বিত থাকে। ভাবমূর্তি বিপন্ন হয় না। আমরা রিমান্ড বাতিলসহ জামিন চাই। কারণ তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। কোনও প্রমাণ নেই।
এর উত্তরে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, বিনা ভোটের পার্লামেন্ট মেম্বার তিনি। তার পক্ষে এতো বলার কিছু নেই। সাবেক সিইসি হাবিবুল আওয়ালই যখন বলেছেন যে, এটা ডামি নির্বাচন- সেখানে বিনাভোটের পার্লামেন্ট মেম্বার ও ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহচরকে এতো ভালো প্রমাণের যৌক্তিকতা নেই। তিনি আওয়ামী লীগের সব খারাপ কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন।
এর আগে গত ২২ জুন গভীর রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের আওনা গ্রামে বাবার বাড়ি থেকে তুহিনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ল ই গণঅভ য ত থ ন র ষ ট রপক ষ র আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির করা মামলায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান আজ শনিবার এই আদেশ দেন।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হাতিরঝিল থানা থেকে হিরো আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে সিএমএম আদালতের ৯তলার এজলাসে নেওয়া হয়।
হিরো আলমের পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক ২০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে হিরো আলমের মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলার বাদী রিয়া মনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিরো আলমের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। আমাকে যেমন বিনা কারণে জেল খাটিয়েছে, তারও জেলে থাকা উচিত।’
এর আগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন এলাকা থেকে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলম ও তাঁর সহযোগী আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুসারেই হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় রিয়া মনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হিরো আলম ও বাদী রিয়া মনির মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর হিরো আলম বাদীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন বাদীর পরিবারের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডাকা হয়। ওই সময়ে হিরো আলমসহ ১০ থেকে ১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাঁরা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। এতে বাদীর শরীরে জখম হয়। এ সময় তাঁর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনরিয়া মনির মামলায় হিরো আলম গ্রেপ্তার২ ঘণ্টা আগে