এনসিপির মাসব্যাপী ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ শুরু আজ
Published: 1st, July 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে মাসব্যাপী পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ মঙ্গলবার (১ জুলাই) থেকে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ নামে এ কর্মসূচি শুরু হবে রংপুরে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে। এতে অংশ নিতে ইতোমধ্যে ৩০ জুন দিবাগত রাত ১২টায় ঢাকা থেকে রংপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
সকালে কবর জিয়ারতে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণ অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তর অঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আবু সাঈদ লিওনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। সেখান থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত পদযাত্রা শেষ করে পর দিন ৩০ জুলাই তারা ঢাকা ফিরবেন।
এনসিপির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রায় বিভাগীয় পর্যায়ে একজন করে আহ্বায়ক থাকবেন। এর মধ্যে রংপুরে ড.
এই সময়ে নেতারা নেতারা বিভিন্ন জেলায় শহীদ পরিবার ও আহতদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেবেন। এই সময়ে ঢাকায় তেমন কর্মসূচি থাকবে না।
প্রথম দিনের কর্মসূচি
প্রথম দিন (১ জুলাই) সকাল ৯টায় রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন। বেলা ১১টায় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে পদযাত্রা শুরু। পদযাত্রা পরবর্তী পথসভা গাইবান্ধা শহীদ মিনার।
রংপুরে পথসভা ও পদযাত্রা শুরু বিকাল ৩টা। পার্কের মোড়-লালবাগ-শাপলা-জাহাজ কোম্পানির মোড়-টাউন হল (পথসভা)-ডিসির মোড়-ধাপ- মেডিক্যাল মোড়-চেকপোস্ট (সমাপনী বক্তব্য)। সন্ধ্যা ৭টায় পীরগাছায় পথসভা।
এনসিপির পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, শহীদ আবু সাঈদের শাহাদাৎ দিবস ১৬ জুলাইকে বৈষম্যবিরোধী শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হবে। এতে আবু সাঈদসহ অন্যান্য শহীদদের স্মরণে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হবে।
৩ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র ও ইশতেহার দিবস পালন। যেহেতু সরকার প্রতিশ্রুতি পালন করতে পারেনি। তাই ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই ঘোষণাপত্র ও ইশতেহার পাঠ করা হবে।
স্বৈরাচারের মুক্তির দিনে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার মুক্তি দিবস উদযাপন। সেদিন সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হবে।
মাসব্যাপী এ কর্মসূচির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও সদস্য সচিব হিসেবে রয়েছেন যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ত য় ন গর ক প র ট এনস প ম খ য স গঠক পদয ত র এনস প র
এছাড়াও পড়ুন:
২০১৪, ’১৮ ও ’২৪ সালের মতো নির্বাচন হলে চরম দুর্ভোগ নেমে আসবে: গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন সর্বশেষ তিনটি (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) বছরের মতো হলে জাতির ভাগ্যে চরম দুর্ভোগ নেমে আসবে। আজ শনিবার সকাল সোয়া নয়টার দিকে খুলনার জিরো পয়েন্ট এলাকায় এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রশাসনের প্রতি নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘আপনারা আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ করুন। প্রত্যেক প্রার্থী যেন সমান সুযোগ পেয়ে নির্বাচনী কাজ করতে পারেন। অতীতে যারা কোনো বিশেষ দলের পক্ষে কাজ করেছেন, সেসব ওসি ও এসপি পালিয়ে গেছেন। তাঁরা এখন ট্রাইব্যুনালে হাজির। প্রধান বিচারপতি, বায়তুল মোকাররমের খতিব, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনারও পালিয়ে গেছেন। ওসিরা চাকরি ছেড়ে বর্ডার দিয়ে ইন্ডিয়া চলে গেছেন। আপনাদের বিরুদ্ধেও যদি সেই অভিযোগ আসে, আপনারা কিন্তু পালানোর পথ পাবেন না।’
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘৫৪ বছরে অনেক দল ও মার্কা দেখেছি। নৌকা, লাঙ্গল, ধানের শীষ দেখেছি। প্রতিটি শাসনে দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে; ক্ষুধা, দারিদ্র্য, অন্য, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা হয়নি। সুতরাং মানবরচিত বিধান দিয়ে দেশ পরিচালিত হলে দেশে শান্তি আসতে পারে না, এটি প্রমাণিত। তাই আসুন ভবিষ্যতে পবিত্র কোরআনের রাষ্ট্র গড়ি।’
জামায়াতে সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, ইতিমধ্যে নতুন প্রজন্ম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবর্তন এনেছে। এর ধারাবাহিকতায় জাতি আগামী নির্বাচনেও দেশে একটি পরিবর্তন আনবে ইনশা আল্লাহ।
খুলনা-৫ আসনের (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে ওই পথসভার পর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রাটি খুলনার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু হয়ে গুটুদিয়া, ডুমুরিয়া, খর্ণিয়া, চুকনগর, আঠারোমাইল, রুদাঘরা, রঘুনাথপুর, শাহপুর, ধামালিয়া, জামিরা, ফুলতলা, দামোদর হয়ে শিরোমণি শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
খুলনার জিরো পয়েন্টের পথসভায় সভাপতিত্ব করেন হরিণটানা থানার আমির জি এম আবদুল গফুর। সেখানে বক্তৃতা দেন খুলনা-১ আসনের জামায়াতের প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, খুলনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, খুলনা জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইউসুফ ফকির ও সেক্রেটারি ইলিয়াস হোসাইন, ডুমুরিয়া উপজেলার আমির মোক্তার হোসেন, ফুলতলা উপজেলার আমির আবদুল আলিম, খানজাহান আলী থানার আমির সৈয়দ হাসান মাহমুদ, হরিণটানা থানার সেক্রেটারি ব ম মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।