ঐক্যবদ্ধ জনগণই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের পথ দেখাবে: জোনায়েদ সাকি
Published: 1st, July 2025 GMT
ঐক্যবদ্ধ জনগণই নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার পথ দেখাবে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, মানুষ বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে দেশ থেকে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। দেশকে গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে নিতে মানুষ ঐক্যবদ্ধ আছে। জনগণের এই ঐক্যবদ্ধতাই আগামীর নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার পথ দেখাবে।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। শ্রদ্ধা জানানো শেষে জোনায়েদ সাকি এসব কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, অভ্যুত্থানের পরাজিত শক্তি জনগণের অর্জনকে নস্যাৎ করার জন্য এখনো ষড়যন্ত্র করে চলছে। মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে তারা বিভিন্ন জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে, গতকাল রাতে গণসংহতি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনার মাধ্যমে মানুষকে ভয় দেখানো হচ্ছে। কিন্তু মানুষ তাদের এ ধরনের ষড়যন্ত্রকে রুখে দিয়ে অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করবে।
বিচারের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসরদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, যারা দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র লিপ্ত, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের সময় উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য তাসলিমা আখতার প্রমুখ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জুলাই অভ্যুত্থানে হতাহতদের পরিবারের সদস্যরা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই আন্দোলন ছিল জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা : বাঁধন
শুধু পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনেও সাহসী উচ্চারণে বারবার সামনে এসেছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনতার কণ্ঠে নিজের কণ্ঠ মিলিয়েছিলেন তিনি। ২০২৪ সালের সেই ঐতিহাসিক জুলাই আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে আবারও সরব হলেন এই অভিনেত্রী। জুলাই আন্দোলনকে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে অভিনেত্রী লিখেছেন, “জুলাই আন্দোলন ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এই আন্দোলন আমাকে আশা দিয়েছিল। দেশের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সাহস জুগিয়েছিল। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তটা কোনো সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। তবুও আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম।”
বাঁধন আরও লেখেন, “আমরা এক হয়েছিলাম এমন একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে রাষ্ট্র নিজের জনগণের টাকায় কেনা অস্ত্র তাক করেছিল তার জনগণের দিকে। কোনো কারণ ছাড়া মানুষকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছিল। নির্দোষ মানুষ প্রাণ হারাচ্ছিল। রিয়া মণির মতো ছোট ছোট শিশুরা জীবন দিয়েছিল। কিন্তু তারা বুঝেই উঠতে পারেনি কেন জীবন দিচ্ছে!”
সবশেষে অভিনেত্রী লিখেছেন, “আন্দোলনের সময় আমরা এক হয়েছিলাম আমাদের অধিকার আর দেশকে ভালোবেসে। সেটা ছিল স্মরণীয় মুহূর্ত। আমরা স্বপ্ন দেখেছিলাম ভালো কিছুর। আমি সেই আশা সবসময় বুকে ধারণ করেই চলব।”
ঢাকা/রাহাত//