রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ১-০ গোলে হেরে ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছে জুভেন্টাস। গোলসংখ্যা দিয়ে অবশ্য ম্যাচের প্রকৃত চিত্র বোঝার সুযোগ নেই। এই ম্যাচে বেশির ভাগ সময় রিয়ালের সামনে কোণঠাসা হয়ে ছিল জুভেন্টাস।

গোলরক্ষক মিকেলে দি গ্রেগোরিও ১০টি সেভ করে বাঁধা হয়ে না দাঁড়ালে হারের ব্যবধান আরও অনেক বড় হতে পারত। এই ম্যাচের পর দলের খেলোয়াড়দের দুর্দশার প্রকৃত কারণ সামনে এনেছেন কোচ ইগর তুদোর। বলেছেন, পরিস্থিতি খেলার জন্য বেশ কঠিন ছিল। এমনকি একাদশে থাকা ১১ জন খেলোয়াড়ের ১০ জনই বদলি হয়ে মাঠ থেকে উঠে আসতে চেয়েছেন।

মায়ামিতে কাল রাতে তাপমাত্রা ৮৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস) পর্যন্ত উঠেছিল। এই তাপমাত্রা সাম্প্রতিক কিছু ম্যাচের তুলনায় কম হলেও জুভেন্টাসের খেলোয়াড়দের মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোচ তুদোর। টুর্নামেন্টজুড়ে দলকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলালেও রিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলোয়াড়দের জন্য নানা দিক থেকে ‘অতিরিক্ত চাপের’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন জুভেন্টাস কোচ।

আরও পড়ুননতুন রাউলের গোল, শতভাগ সাফল্য নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল৯ ঘণ্টা আগে

তুদোরের ভাষায়, ‘কন্ডিশন আজ খুবই খারাপ ছিল। ১০ জন খেলোয়াড় আমাকে বদলি করার কথা বলেছে। তারা সত্যিই অনেক ক্লান্ত ছিল। এই পরিস্থিতির পেছনে অনেকগুলো কারণ আছে। দীর্ঘ মৌসুম এখন শেষ পর্যায়ে এসে ঠেকেছে। আর খেলোয়াড়দের ওপর প্রচণ্ড চাপও ছিল, যা তাদের শক্তি নিঃশেষ করে দিয়েছে।’

খেলোয়াড়দের উজ্জ্বীবিত করার চেষ্টা করছেন জুভেন্টাস কোচ তুদোর.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্ঘটনার কবলে ইবির শিক্ষকবাহী বাস

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক বহনকারী একটি বাস (মিনিবাস) সড়ক দূর্ঘটনার কবলে পড়েছে।

রবিবার সকাল সাড়ে ১০টায় কুষ্টিয়া থেকে শিক্ষকদের ক্যাম্পাসে আনার পথে সদর উপজেলার এগারোমাইল নামক স্থানে যাত্রীবাহী রূপসা বাসের সঙ্গে মুখোমুখী সংঘর্ষ ঘটে।

এতে কয়েকজন আহত হলে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের চালক ও আহত এক শিক্ষকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়।

আরো পড়ুন:

ছেলের খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে লাশ হলেন বাবা

আত্মীয়ের মরদেহ নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় মারা গেলেন ইসমাইল

জানা যায়, শিক্ষকবাহী বাসটি এগারো মাইলের কাছাকাছি পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা যাত্রীবাহী রূপসা বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। যাত্রীবাহী বাসটি একটি ভ্যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে ডানদিক থেকে আসা বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ সময় রূপসা বাসের চালক পালিয়ে যায়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আব্দুর রউফ বলেন, “দূর্ঘটনায় প্রাথমিকভাবে ৭-৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম ও চালক নজরুল ইসলামও রয়েছেন।”

তিনি বলেন, “তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে চালকের কোমরের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।”

কুষ্টিয়া চৌড়হাস হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আল মামুন বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সহকর্মীরা কাজ শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত একজনের অবস্থা গুরুতর।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ