জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, “প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের স্বজনপ্রীতির সবচেয়ে বড় উদাহরণ হচ্ছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। বেতন-ভাতা ফেরত দিয়ে এই উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত।”

বুধবার (২৩ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ডে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে সংস্কার, দৃশ্যমান বিচার ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত এই সরকার যেন অন্য কিছু চিন্তা না করে সে মন্তব্য করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

আরো পড়ুন:

‘বউত দিন হাইয়ো আর না হাইয়ো’ স্লোগানে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস

আগের নিয়মে আর নির্বাচন হতে পারে না: হাসনাত 

চাঁদপুর সার্কিট হাউজে শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সারজিস আলম বলেন, “শহীদদের মায়েদের চোখের পানি শুকিয়ে গেছে। নতুন আরেক জুলাই এসেছে। এখনো দৃশ্যমান বিচার লক্ষ্য করা যায়নি। জুলাই ঘটনার জন্য দায়ী খুনি হাসিনাসহ জড়িত সবার বিচার করতে হবে। বিচার না করে অন্য কোনো কিছু চিন্তা না করার জোর দাবি জানাচ্ছি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে।”

শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের সময় সারজিস আলম ও এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। শহীদ পরিবারের সদস্যরা স্বজন হারিয়ে তাদের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেন নেতাদের কাছে।

এদিন, ঢাকার বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতদের স্মরণে সার্কিট হাউজ প্রাঙ্গণ থেকে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত শোক র‍্যালি করেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। সেখানে পথসভা শেষে হাজীগঞ্জে শহীদ আজাদ চত্বর উদ্বোধন এবং সবশেষ শাহরাস্তির দোয়াভাঙ্গায় পদযাত্রা শেষে এনসিপির নেতারা কুমিল্লার উদ্দ্যেশে রওনা হন।

ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ত য় ন গর ক প র ট উপদ ষ ট এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

কাবিনে যেহেতু স্বাক্ষর করেছেন, সংসারও করতে হবে

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, একটি দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে, আবার সেই স্বাক্ষরের বিপক্ষেই অবস্থান নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার লাকসাম সদরের বাইপাস এলাকায় এনসিপি আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ এ কথা বলেন।

জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে ‘না’–এর পক্ষে অবস্থানকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, একটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে আমাদের মৌলিক বিষয়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে, আজ আবার সেই স্বাক্ষরের বিপক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। তাহলে আমরা বলব বিয়েই যেহেতু করবেন না, তাহলে কাবিননামায়  স্বাক্ষর কেন করলেন? সংসার যদি না–ই করবা, তাহলে কবুল কেন বললা। কবুল যেহেতু বলেছেন, কাবিনে যেহেতু স্বাক্ষরও করেছেন, আপনাদের সংসারও করতে হবে। সংসার যদি না করতে চান, রাস্তা খোলা আছে, জনগণের সামনে এসে বলতে হবে, আমরা ডিভোর্স দিতে চাই। জনগণের সামনে মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।’

জনগণকে বোকা বানিয়ে সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া যাবে না উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যারা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থা নিয়েছে, তারাই আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, আমাদের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেবে, ভোটের অধিকার কেড়ে নেবে। এদের বিষয়ে জাতিকে সজাগ থাকতে হবে।’

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘এ সংস্কারের বিপক্ষে যারা “না”–এর অবস্থান নিয়েছে, তাদের আপনারা চিহ্নিত করে রাখুন। তারাই আবার তত্ত্বাবধায়কের বিপক্ষে ও আপনার ভোট এবং মৌলিক অধিকারের বিপক্ষেই অবস্থান নেবে।’

এর আগে ফিতা কেটে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

পথসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক (কুমিল্লা অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক) নাভিদ নওরোজ শাহ। দলের লাকসাম উপজেলা প্রধান সমন্বয়ক আল মাহমুদের (ফজলে রাব্বী) সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য দেন জুলাই আন্দোলনের শহীদ লাকসামের জিসানের নানা জাবেদ মিয়া, এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক সালাউদ্দিন জাবের, লাকসাম উপজেলা সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। পথসভা সঞ্চালনা করেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মো.আশিকুল ইসলাম। সভা শেষে লাকসাম সদরে এনসিপির পক্ষে জনমত গঠনে প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাবিনে যেহেতু স্বাক্ষর করেছেন, সংসারও করতে হবে