জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত পথসভায় অংশগ্রহণ করায় কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবিরসহ তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে জেলা যুবলীগ। অন্য দুজন হলেন, কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান ও ইটনা উপজেলা যুবলীগের সদস্য বাসেত আহমেদ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৬ জুলাই কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পুরান থানা এলাকায় অনুষ্ঠিত এনসিপির পথসভার মঞ্চে উঠে বক্তব্য দেন ইটনা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কবির। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে দলের ভেতরে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, তা ছাড়া ওই পথসভায় জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুজ্জামান ও ইটনা উপজেলা যুবলীগের সদস্য বাসেত আহমেদও অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরে দলীয় গঠনতন্ত্রের ২২(ক) ধারা অনুযায়ী শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

গতকাল রোববার রাতে কিশোরগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মীর আমিনুল ইসলাম ও মো.

রুহুল আমিন খান স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। তবে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করা জেলা যুবলীগের ওই তিন নেতা বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

বহিষ্কৃত গোলাম কবির জানান, তিনি ২০১৮ সালেই যুবলীগ ছেড়ে দিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। পরে জুলাই আন্দোলনেও সক্রিয়ভাবে মাঠে কাজ করেছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: য বল গ র স ক শ রগঞ জ র সদস য উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

কাবিনে যেহেতু স্বাক্ষর করেছেন, সংসারও করতে হবে

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, একটি দল জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে, আবার সেই স্বাক্ষরের বিপক্ষেই অবস্থান নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লার লাকসাম সদরের বাইপাস এলাকায় এনসিপি আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির উদ্দেশে হাসনাত আবদুল্লাহ এ কথা বলেন।

জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে ‘না’–এর পক্ষে অবস্থানকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, একটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদে আমাদের মৌলিক বিষয়ের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা জুলাই সনদে স্বাক্ষর করে, আজ আবার সেই স্বাক্ষরের বিপক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। তাহলে আমরা বলব বিয়েই যেহেতু করবেন না, তাহলে কাবিননামায়  স্বাক্ষর কেন করলেন? সংসার যদি না–ই করবা, তাহলে কবুল কেন বললা। কবুল যেহেতু বলেছেন, কাবিনে যেহেতু স্বাক্ষরও করেছেন, আপনাদের সংসারও করতে হবে। সংসার যদি না করতে চান, রাস্তা খোলা আছে, জনগণের সামনে এসে বলতে হবে, আমরা ডিভোর্স দিতে চাই। জনগণের সামনে মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।’

জনগণকে বোকা বানিয়ে সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া যাবে না উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যারা জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থা নিয়েছে, তারাই আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, আমাদের কথা বলার অধিকার কেড়ে নেবে, ভোটের অধিকার কেড়ে নেবে। এদের বিষয়ে জাতিকে সজাগ থাকতে হবে।’

এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘এ সংস্কারের বিপক্ষে যারা “না”–এর অবস্থান নিয়েছে, তাদের আপনারা চিহ্নিত করে রাখুন। তারাই আবার তত্ত্বাবধায়কের বিপক্ষে ও আপনার ভোট এবং মৌলিক অধিকারের বিপক্ষেই অবস্থান নেবে।’

এর আগে ফিতা কেটে কুমিল্লার লাকসাম উপজেলা এনসিপির কার্যালয় উদ্বোধন করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।

পথসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক (কুমিল্লা অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক) নাভিদ নওরোজ শাহ। দলের লাকসাম উপজেলা প্রধান সমন্বয়ক আল মাহমুদের (ফজলে রাব্বী) সভাপতিত্বে পথসভায় বক্তব্য দেন জুলাই আন্দোলনের শহীদ লাকসামের জিসানের নানা জাবেদ মিয়া, এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক সালাউদ্দিন জাবের, লাকসাম উপজেলা সমন্বয়ক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। পথসভা সঞ্চালনা করেন মোস্তাফিজুর রহমান ও মো.আশিকুল ইসলাম। সভা শেষে লাকসাম সদরে এনসিপির পক্ষে জনমত গঠনে প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাবিনে যেহেতু স্বাক্ষর করেছেন, সংসারও করতে হবে