৪৯তম বিশেষ বিসিএসে আরবি বিভাগ না থাকার প্রতিবাদ
Published: 5th, August 2025 GMT
৪৯তম বিসিএসের (সাধারণ শিক্ষা) বিজ্ঞপ্তিতে ‘আরবি ও ইসলামি শিক্ষা’ না থাকায় এর প্রতিবাদে এবং বিভাগটি অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী।
সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী ইবরাহীম নাফিস।
লিখিত বক্তব্যে ইবরাহীম নাফিস বলেন, শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক নিয়োগের জন্যই কেবল ৪৯তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সাধারণত সরকারি কলেজের প্রভাষক পদ বেশি শূন্য থাকলে বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রকাশিত ৪০তম বিসিএসের পর থেকে আরবি ও ইসলামি শিক্ষা বিষয়ে কোনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
ইবরাহীম নাফিস বলেন, ‘দেশের ৬৬টি কলেজে আরবি ও ইসলামি শিক্ষা বিভাগ রয়েছে। ৪৯তম বিসিএসে কেবল সরকারি কলেজের প্রভাষক নিয়োগের জন্য দেওয়া হয়েছে বিধায় আমরা আশাবাদী ছিলাম যে বিজ্ঞপ্তিতে আরবি ও ইসলামি শিক্ষার প্রভাষক পদ শূন্য দেখানো হবে। কিন্তু আরবি ও ইসলামি শিক্ষার কোনো পদ শূন্য নেই দেখে আমরা চরম হতাশ হয়েছি।’
আরবি বিভাগের এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘যেসব কলেজে আরবি ও ইসলামি শিক্ষা বিভাগ রয়েছে, সেগুলোর শিক্ষকদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে জানতে পারি, ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে আরবি ও ইসলামি শিক্ষা বিষয়ে ৩৩টি প্রভাষক পদ শূন্য রয়েছে।’
ইবরাহীম নাফিস বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমাদের দাবি জানিয়েছি। এ ছাড়া পিএসসির (সরকারি কর্ম কমিশন) চেয়ারম্যানকেও মৌখিকভাবে আমাদের দাবিগুলো জানিয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে ৪৯তম বিসিএসে (বিশেষ) পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে আরবি ও ইসলামি শিক্ষা বিভাগের শূন্য পদগুলো অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি জানানো। দাবি না মানা হলে আইনি সহায়তা গ্রহণসহ কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেন আরবি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইবর হ ম ন ফ স ও ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
নিষিদ্ধ দুষ্কৃতকারীদের কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “দুষ্কৃতকারীরা অনেক কিছু বলবে। কার্যক্রম নিষিদ্ধ দুষ্কৃতকারীরা যেন কার্যক্রম চালাতে না পারে, এজন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপনাদের সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার।”
তিনি বলেন, “কার্যক্রম নিষিদ্ধ দল অনেক সময় অনেক গুজব রটাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে, এটি সম্পর্কে আপনাদের (সাংবাদিকদের) সচেতন থাকতে হবে। যারা জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন, তারা যদি অন্যায় করেন; তাদের সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।”
আরো পড়ুন:
দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোকে একযোগে কাজ করার আহ্বান উপদেষ্টার
‘নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বহাল থাকবে’
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সংবাদিকদের এসব বলেন তিনি।
নির্বাচন নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা ছিল। পাশাপাশি গাজীপুরের সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “নির্বাচন নিয়ে কতগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে, জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হয়ে যাবে তখন সব অপপ্রচার ও চেষ্টা বিফলে যাবে। আরেকটি হলো- যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন তাদের একটা ভূমিকা ও নির্বাচন কমিশনের একটা ভূমিকা রয়েছে। সবার সম্মিলিত চেষ্টা থাকলে নির্বাচনে কোনো সমস্যা হবে না।”
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “পাশ্ববর্তী দেশ অনেক সময় অনেক গুজব রটায়, তবে আপনাদের (সাংবাদিকেরা) সত্য ঘটনা প্রকাশ করায় তাদের গুজব অনেকটা কমেছে। তারা মিথ্যা তথ্য রটালে সেটি প্রতিহত করার আপনারা সঠিক মাধ্যম।”
মতবিনিময় উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ কমিশনার, পুলিশ সুপার, কারা কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ