ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যালয়ে আগুন, ২৫ শিক্ষার্থী আহত
Published: 6th, August 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চবিদ্যালয়ে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ভয় ও আতঙ্কে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ২৫শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের কেউই আগুনে দগ্ধ হয়নি বলে জানা গেছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে, আহতদের মধ্যে সপ্তম শ্রেণির রোহান নামে এক শিক্ষার্থী শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি শিক্ষার্থীদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ৯ শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন।
আরো পড়ুন:
ঘরে ৭টি লাশ, পাশে শুয়ে বৃদ্ধ বাবা
এক পরিবারে একই দিনে সাত কবরের শোক
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, শিক্ষার্থী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে পাঠদান শুরুর পর সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসন্ন বিজ্ঞান মেলা উপলক্ষে একটি প্রজেক্ট প্রস্তুত করতে বিদ্যালয়ের পশ্চিম পাশের ভবনের তৃতীয় তলায় বিজ্ঞানাগারে যান। মাল্টিপ্লাগের সাহায্যে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়ে সপ্তম শ্রেণির ১৫-২০শিক্ষার্থী বিজ্ঞানাগারের ভেতরে প্রজেক্ট তৈরির কাজ করছিল। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই মাল্টিপ্লাগে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
এতে শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের চিৎকার শুনে অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বের হয়ে দুই ভবনের দুইটি সিঁড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীরা নিচে নামতে শুরু করেন। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এগিয়ে গিয়ে পানি ঢেলে বিজ্ঞানাগারের আগুন নেভান। মুহূর্তেই বিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অভিভাবক ও স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন।
এদিকে, আতঙ্কিত হয়ে নামতে গিয়ে অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার সায়েমুল হুদা অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন। তবে আঘাত বেশি হওয়ায় নয় শিক্ষার্থীকে হাসপাতালের কার্ডিওলজি ও সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
পরে দুপুরে সিভিল সার্জন মো.
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সহিদুল ইসলাম বলেন, “সামনে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত হবে। বিজ্ঞান মেলার একটি প্রজেক্টে কাজ করছিল সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। সেখানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে যায়। আতঙ্কিত হয়ে শিক্ষার্থীরা হুড়োহুড়ি করে সিঁড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে পড়ে অনেকে আহত হয়েছে।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রতন কুমার ঢালী বলেন, “আমাদের এখানে ২৫ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে সাতজন ভর্তি আছে। কেউ অগ্নিদগ্ধ হয়নি। আমাদের চিকিৎসকরা সবসময় প্রস্তুত।”
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, “আমরা হাসপাতালে গিয়ে শিক্ষার্থীদের খোঁজ নিয়েছি। তারা এখন অনেকটাই ভালো আছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।”
ঢাকা/মনিরুজ্জামান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ঘটন আগ ন ব র হ মণব ড় য় আতঙ ক
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলে ২ গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ২০
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে উপজেলার লাহুড়িয়া ইউনিয়নের সরশুনা এবং কামারগ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
আরো পড়ুন:
রাবিতে পোষ্য কোটা পুনর্বহাল: জোহায় অনশন, জুবেরীতে অবস্থান শিক্ষার্থীদের
সুনামগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষে সংঘর্ষ, নিহত ১
পুলিশ সূত্র জানায়, সরশুনা ও কামারগ্রামের লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শক্রতা ছিল। শনিবার সন্ধ্যার দিকে দুই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।
পরে স্থানীয় ও স্বজনরা আহতদের নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উভয় পক্ষের আটজনকে আটক করা হয়েছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ঢাকা/শরিফুল/মাসুদ