ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন আসিম মুনির
Published: 7th, August 2025 GMT
ভারতের সঙ্গে শুল্কযুদ্ধের মধ্যে ফের যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ডন ডটকম লিখেছে, চলতি সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফর করবেন আসিম মুনির। যেখানে তিনি মার্কিন সেনাপ্রধান ও পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তার ঘনিষ্ট বন্ধু হিসেবে বারবার ট্রাম্পের নাম নিলেও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ট্রাম্প যে একেবারে আলাদা, সেটি তার শুল্ক চাপানোর ঘোষণায় স্পষ্ট।
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালিত
সেনাঘাঁটিতে সহকর্মীদের গুলি করলেন মার্কিন সার্জেন্ট, আহত ৫
ভারতের ওপর বর্ধিতসহ মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপালেন ট্রাম্প। অথচ পাকিস্তানের ওপর ট্রাম্পের চাপানো পাল্টা শুল্কের পরিমাণ মাত্র ১৯ শতাংশ। সম্প্রতি পাকিস্তানের ওপর ট্রাম্প প্রশাসনের সুনজর সব দিক থেকেই প্রকাশ পাচ্ছে। প্রথম সফরের দুই মাস না যেতেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের আবার যুক্তরাষ্ট্র সফরের আমন্ত্রণ তার আরেকটি প্রমাণ বলা যায়।
আসিম মুনিরের এবারের সফর একটি পাল্টা সফর হবে জানিয়ে ডন ডটকম বলেছে, এর আগে জুলাইয়ের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) প্রধান জেনারেল মাইকেল এরিক কুরিলা পাকিস্তান সফর করেছিলেন।
৪ আগস্ট প্রকাশিত এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেন্ট্রাল কমান্ড তাদের প্রধান জেনারেল কুরিলার সাম্প্রতিক পাকিস্তান ও অঞ্চলটির অন্যান্য দেশ সফরের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
সফরকালে পাকিস্তান সরকার জেনারেল কুরিলাকে ‘নিশান-ই-ইমতিয়াজ (সামরিক)’ খেতাব প্রদান করে।
আসিম মুনির এর আগে জুনে ওয়াশিংটন সফর করন, তখন তিনি হোয়াইট হাউসে এক মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে স্বাগত জানান। এটি একটি নজিরবিহীন সম্মান, যা সাধারণত কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকারপ্রধানদের জন্য সংরক্ষিত থাকে।
ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) অথবা ওয়াশিংটনে পাকিস্তান দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ সফর নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু বলা হয়নি। তবে তার আগের সফরে সেনাপ্রধান ইঙ্গিত দিয়েছিলেন,, তিনি বছরের শেষ দিকে আবার যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রত্যাশা করছেন।
এই ঘটনাপ্রবাহ এমন এক সময় ঘটছে যখন এর এক মাস আগেই এক কংগ্রেশনাল শুনানিতে মার্কিন জেনারেল পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টায় ‘চমৎকার অংশীদার’ হিসেবে অভিহিত করেন। একই সঙ্গে তিনি অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় পাকিস্তানের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
‘প্রেসিডেন্ট হওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই’
ডন ডটকম জানিয়েছে, সেনাপতি আসিম মুনিরের প্রেসিডেন্ট হওয়ার গুজবকে সম্পূর্ণভাবে উড়িয়ে দিয়েছেন আইএসপিআর প্রধান।
এর আগে জুলাইয়ের শুরুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভিও স্পষ্ট করেছিলেন, প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগে বাধ্য করার বা সেনাপ্রধানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার কোনো পরিকল্পনার কথা সরকারের মধ্যে নেই।
দ্য ইকোনমিস্টকে দেওয়া সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, তার বসের (আসিম মুনিরের) প্রেসিডেন্ট হওয়ার আলোচনাকে তিনি ‘নিরর্থক’ মনে করেন।
ঢাকা/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র প র স ড ন ট হওয় র য ক তর ষ ট র আস ম ম ন র র সফর র ওপর সফর র
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী তিনমাস দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ: অর্থ উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়নি, বরং পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। আগামী তিন মাস দেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আগস্ট মাসে অর্থনৈতিক অবস্থা কঠিন ছিল, কিন্তু আমরা ভেতরের অবস্থা জানি। ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভ বেড়েছে, এক্সপোর্টও বাড়ছে।
তিনি বলেন, ‘‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হলো, অর্থনৈতিক কাঠামোটি সুসংহত করা, যাতে আগামী সরকার দায়িত্ব নিয়ে এটিকে আরও উন্নত করতে পারে।’’
রবিবার (১৬ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটোরিয়ামে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত নগদ-ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে নগদ পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান কায়সার আহমেদ চৌধুরী, গেস্ট অব অনার হিসেবে নগদ লিমিটেডের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহসহ নগদ পরিচালনা বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, সাংবাদিক এবং দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের গুণীজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘যদি অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব না নিত, তবে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারত। বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতি ১৪ শতাংশ থেকে ৮ শতাংশে নেমে এসেছে এবং এটি আরও কমবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘সাংবাদিকরা ‘জনগণের কণ্ঠ’। দেশের চলমান ক্রান্তিকালে সঠিক তথ্য সরবরাহ করে জনগণের পাশে থাকা সাংবাদিকদের জন্য জরুরি। যারা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, তাদের কাজগুলো দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত মূল্যবান। সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিক সমস্যাগুলো তুলে ধরলে দ্রুত সমাধান করা সম্ভব হয়।’’
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ, আপনারা সমালোচনার পাশাপাশি সরকারের ভালো কাজের দিকগুলোও তুলে ধরবেন এবং গঠনমূলক পরামর্শ দিয়ে সরকারকে আরও সুশৃঙ্খল ও জবাবদিহিমূলক কাজ করতে সহায়তা করবেন, যাতে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই দ্রুত এগিয়ে যায়।’’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল। বক্তব্য রাখেন বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড জুরি বোর্ড চেয়ারম্যান ও সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ।
আবু সালেহ আকন বলেন, ডিআরইউ বেস্ট রিপোর্টিং এ্যাওয়ার্ডে স্পন্সর করায় নগদকে ধন্যবাদ। আজকে যারা ডিআরইউ বেস্ট রিপোটিং এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে তাদের অভিনন্দন আর যারা পাননি তারা ভবিষ্যতে পাবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, ‘‘আজকের এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠান ডিআরইউর বার্ষিক কর্মকাণ্ডের এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। পেশাদার সাংবাদিকতায় নিষ্ঠা, দক্ষতা ও দায়িত্ববোধকে সম্মান জানাতে ডিআরইউ প্রতি বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা রিপোর্টিং পুরস্কার প্রদান করে আসছে। এটি শুধু স্বীকৃতি নয়, দেশের সাংবাদিকতার গতিপথকে ইতিবাচক ও শক্তিশালী করার একটি ধারাবাহিক প্রচেষ্টা।’’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) এ বছর ২৪টি ক্যাটাগরিতে ২৭ জনকে বেস্ট রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের হাতে ক্রেস্ট, সনদ ও ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
পুরস্কার পেলেন যারা
মৌসুমী ইসলাম (দ্য ডেইলি সান), মো. শওকত আলী (দৈনিক দেশ রূপান্তর), সালাহ উদ্দিন জসিম (জাগোনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম), সাজ্জাদুর রহমান (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড), রফিকুল ইসলাম (দ্য ডেইলি সান), এমএ নোমান (দৈনিক আমার দেশ), জিয়াদুল ইসলাম (দৈনিক আমাদের সময়), মো. শাখাওয়াত প্রিন্স (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড), মো. শরিফুল ইসলাম (দ্য ডেইলি স্টার), দীপন নন্দী (দ্য ডেইলি স্টার), হারুন আর রশিদ (দৈনিক কালবেলা), মো. আবু সালেহ রনি (দৈনিক সমকাল), মো. রাহেনুর ইসলাম (সকালসন্ধ্যা ডটকম), মো. জসীম উদ্দীন (ঢাকা পোস্ট ডটকম), এহসানুল হক জসীম (দ্য ডেইলি সান), মো. হেলিমুল আলম (দ্য ডেইলি স্টার), শামসুল হক মোহাম্মদ মিরাজ (দৈনিক কালের কণ্ঠ), শাহ মো. রাশেদুর রহমান (ডিবিসি নিউজ), আবু জাহেদ মুহম্মদ সেলিম (মাছরাঙা টেলিভিশন), আলমগীর হোসেন (যমুনা টেলিভিশন), রাজিব ঘোষ (ডিবিসি নিউজ), মো. ইমদাদুল হক (চ্যানেল টোয়েন্টিফোর), মো: ইউসুফ আলী (ডিবিসি নিউজ), সুশান্ত সিনহা (একাত্তর টেলিভিশন), শাহনাজ শারমীন (একাত্তর টেলিভিশন), মেহ্দী আজাদ মাসুম (বৈশাখী টেলিভিশন) এবং হাসান আরিফ (দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ)।
ঢাকা/এনটি//