মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় কলেজ ক্যাম্পাসে এ মানববন্ধনে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী অংশ নেন। তারা কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ ১০ দাবি তুলে ধরেন। 

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৯৮৯ সালে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুরে সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এ কলেজ ক্যাম্পাসে সব ধরনের ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ রাখা হয়। এমনকি, শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফরমে অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করা হয়েছে, এই কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজনীতি করতে পারবেন না। বিগত দিনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসলেও কখনো এই কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি ছিল না। কিছুদিন হলো এই কলেজে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কলেজে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। 

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন—কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ, মো.

ইব্রাহিম, মো. নাসির উদ্দিন প্রমুখ। 

শিক্ষার্থীদের ১০ দাবি হলো—কলেজকে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতিমুক্ত রাখার প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। সদ্য ঘোষিত ছাত্রদলের কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে হবে। কমিটিতে থাকা শিক্ষার্থীদের তিন কার্যদিবসের মধ্যে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর লিখিত আবেদন জমা দিতে হবে। কলেজ চলাকালে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ রাখতে হবে। ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিরাপত্তা প্রহরী নিয়োগ দিতে হবে। মাদকমুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। কলেজের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা ও সার্বিক মানোন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। 

ঢাকা/বেলাল/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত র র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

এটিইও পরীক্ষায় অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের প্রতিবাদে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার পদে বিভাগীয় পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

মো. রিয়াজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করা হয়। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বিএসএস সূত্রে) জানা যায় যে “উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার পদে ১৯০% কমন সাজেশন” দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে মতিউর রহমান নামের একজনকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি গ্রেপ্তার করে।’ সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্যান্য সদস্যকেও শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবু ১২ সেপ্টেম্বর নির্ধারিত তারিখে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে Zahid Khan (All Exam Helper) নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে পরীক্ষার আগের রাত ২টা ৬ মিনিটে প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়, যা প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিলে যায়। বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ এক অভিযানে স্বাধীন মিয়া নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে।'

সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস ও অনিয়মের প্রতিবাদে পরীক্ষা বাতিল এবং পুনঃপরীক্ষার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা
  • প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের মধ্যে এটিইও’র ফলাফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ১৬১৪
  • রূপগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে অভিভাবকদের মানববন্ধন
  • পাবনা-১ আসন পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন
  • অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানবব
  • খুলনায় যানজট নিরসনের দাবিতে মানববন্ধন
  • এটিইও পরীক্ষায় অনিয়মের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন
  • মাজার ভাঙার ঘটনায় সরকার অপরাধীদের গ্রেপ্তার করেছে, এমন প্রমাণ নেই: ফরহাদ মজহার