তামাবিল দিয়ে ২২ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারত
Published: 8th, August 2025 GMT
ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে মেঘালয় রাজ্যের ওয়েস্ট গারো হিলস জেলার তুরা কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে দেশে ফিরেছেন ২২ জন বাংলাদেশি।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তাদেরকে বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারত। এ সময় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) এবং ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ফেরত আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে আছেন—নেত্রকোনার পীযুষ তালুকদার (৬০), শুভেন্দু সরকার তালুকদার (২৬), রনি তালুকদার (২৭), মিতু তালুকদার (১৫), পান্না তালুকদার (১৯), সরস্বতী মহানায়ক, স্বপ্ন মহানায়ক (৮), সেজুতি মহানায়ক ঝিনুক (১১), নারায়ন মহানায়ক, প্রণয় সাহা (৪৬) ও উদয় দাস (২৫); রাজশাহীর গোদাগাড়ি থানার মো.
তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. শামীম মিয়া বলেছেন, বিভিন্ন সময় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ভারতের পুলিশ ও বিএসএফ এসব বাংলাদেশিকে আটক করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। দীর্ঘদিন কারাভোগ শেষে ২২ জন বাংলাদেশিকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। প্রাথমিক আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে স্বজনের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা/নূর/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভাইবোনের শেষ দেখা করাল বিজিবি
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে এক বিরল মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এক ভারতীয় বৃদ্ধার মরদেহ তার বাংলাদেশি স্বজনদের শেষবারের মতো দেখার সুযোগ করে দিয়েছে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আজমতপুর সীমান্তের শূন্য রেখায় এই হৃদয়স্পর্শী ঘটনা ঘটে। এ সময় বিজিবি ও ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
কলমাকান্দায় ৩৯ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার
উখিয়ায় ৪ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার
মহানন্দা ব্যাটালিয়নের (৫৯ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, মৃত নারীর নাম সেলিনা বেগম। বার্ধক্যজনিত কারণে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি ভারতের মালদা জেলার গোপালগঞ্জ থানার শ্মশানী-চকমাহিলপুরের নিজ বাড়িতে মারা যান। তিনি মৃত গাজলুর রহমানের স্ত্রী। মৃত সেলিনা বেগমের ভাই, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোল্লাটোলা-বাগিচাপাড়ার বাসিন্দা তোফাজ্জল হক।
তিনি জানান, তার বোনের মরদেহ শেষবারের মতো দেখার জন্য বিজিবির কাছে আবেদন জানান। আবেদনের গুরুত্ব বিবেচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেয় বিজিবি। তারা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর উপস্থিতিতে মরদেহ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। শনিবার সকালে আন্তর্জাতিক সীমারেখায় সীমান্ত পিলার ১৮২/২-এস এর নিকট শূন্য লাইনে তোফাজ্জল হককে তার প্রয়াত বোনের মরদেহ দেখানোর সুযোগ দেয়া হয়।
তিনি আরো জানান, সীমান্তে বিজিবি সবসময় অত্যন্ত মানবিক ভূমিকা পালন করতে চায়। মরদেহ স্বজনদের দেখানোসহ এ ধরনের কার্যক্রমকে বিজিবি মৌলিক কর্তব্য মনে করে।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর এমন উদ্যোগকে স্থানীয়রা উচ্চ প্রশংসা করেছে। তারা বলছেন, এটি প্রমাণ করে যে মানবিক সম্পর্ক সীমান্তের বেড়াজাল পেরিয়েও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকা/মেহেদী/মেহেদী