যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে গত সেপ্টেম্বরে স্পেনের সান সেবাস্তিয়ান চলচ্চিত্র উৎসবে কথা বলেছিলেন জেনিফার লরেন্স। ফিলিস্তিনিদের পক্ষেও সরব হয়েছিলেন। নতুন ছবি ‘ডাই মাই লাভ’-এর প্রচারেও দ্য নিউইয়র্ক টাইমস-এর পডকাস্ট ‘দ্য ইন্টারভিউ’-এ কথা বলেছেন লরেন্স। এবার অবশ্য তিনি সংযত। জানিয়েছেন, রাজনীতি নিয়ে আর কথা বলতে চান না।
অস্কারজয়ী অভিনেত্রী ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনের সময় ছিলেন তাঁর কড়া সমালোচক। নির্বাচনের পর একটি নিবন্ধে তিনি লিখেছিলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে এখন একমাত্র শ্বেতাঙ্গ পুরুষেরাই নিরাপদ বোধ করেন। কারণ, তাঁদের অধিকারই কেবল স্বীকৃত।’

এবারের সাক্ষাৎকারে লরেন্সের কাছে জানতে চাওয়া হয়, ট্রাম্প ও রাজনীতি নিয়ে তিনি এখন কী ভাবছেন? লরেন্স জবাব দেন, ‘সত্যি বলতে আমি জানি না, এখন এসব বিষয়ে আমার কথা বলা উচিত কি না। ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ ছিল বিশৃঙ্খল, তখন মনে হয়েছিল কিছু একটা করতে হবে। কিন্তু আমরা এখন বুঝেছি, তারকাদের মতামত নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলে না। তাহলে আমি আসলে কী করছি?’

‘ডাই মাই লাভ’ সিনেমার প্রিমিয়ারে জেনিফার লরেন্স। এএফপি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘ইটস নেভার টু লেট’

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল মনে করেন, ক্রিকেট ফর অল নিশ্চিতের আগে সিফটি ফর অল বেশি জরুরি। যেভাবে নারী ক্রিকেটাররা একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করে যাচ্ছেন তাতে ভবিষ‌্যতে নারীদের ক্রিকেট এগিয়ে যাওয়ার পথ বাঁধা সৃষ্টি হতে পারে। 

যারা এগিয়ে এসে নিজেদের নিপীড়নের খবর জানিয়েছে, তাদের সাহসিকতার জন‌্য সম্মান জানিয়েছেন তামিম। যারা এখনও ভয় পাচ্ছেন তাদের উৎসাহ দিয়ে বলেছেন, ‘ইটস নেভার টু লেট।’ 

গণমাধ‌্যমে জাহানারা আলম যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলার পর ক্রিকেটাঙ্গনে শোরগোল পড়ে যায়।  পরে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেন আরেক জাতীয় ক্রিকেটার রোমানা আহমেদ, সাবেক ক্রিকেটার ও কোচ রেশমা আক্তার আদুরি। রেশমা অভিযোগ করেছেন, বিসিবির বর্তমান পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের বিরুদ্ধে যিনি এক সময় নারী বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। 

তামিম এর আগেও এক পোস্টে, স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। গতকাল পোস্টেও প্রায় একই দাবি তুললেন। সঙ্গে সরকারের দৃষ্টিও চাইলেন, ‘‘জাহানারা আলম অভিযোগ করার পর আরও অনেকেই মুখ খুলতে শুরু করেছেন, যা খুবই আশাব্যঞ্জক ব্যাপার। কিন্তু শঙ্কার জায়গা রয়েই গেছে। এখনও জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বা সরকারী পর্যায় থেকে কোনো কমিটি গঠন করা হয়নি কিংবা তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।’’

‘‘গত কয়েক দিনে যাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আসছে, তাদের প্রায় সবাই বিসিবির উঁচু জায়গা থেকে শুরু করে নানা পদে আছে। বিসিবির তদন্ত কমিটি নিয়ে তাই নানামুখী সংশয়ের জায়গা থাকছেই।’’

‘‘দেশের ক্রিকেটে তোলপাড় পড়ে যাওয়ার পরও সরকার বা মন্ত্রণালয়ের নিষ্ক্রিয়তা ভীষণ দুঃখজনক। আগের লেখায় যেমন বলেছিলাম, তেমনি আবারও দাবি জানাচ্ছি, অতি দ্রুত যেন একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়, যেখানে বিসিবি সংশ্লিষ্ট কেউ থাকবেন না। নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেন, যৌ*ন হয়রানিমূলক অপরাধ নিয়ে কাজ করেন এবং এই ব্যাপারগুলো মনস্তাত্ত্বিক ও পারিপার্শ্বিক দিক সম্পর্কে ভালো জ্ঞান আছে, এমন বিশেষজ্ঞদের প্রতিনিধি সেখানে থাকতে হবে। এই ব্যাপারগুলোর সুরাহা আমরা যদি ঠিকভাবে করতে না পারি, তাহলে শুধু ক্রীড়াঙ্গন নয়, গোটা দেশের নারীদের কাছে আমরা অপরাধী থাকব।’’

বাধার দেয়াল ভেঙে যারা এগিয়ে এসেছেন, যারা প্রতিবাদ করেছেন তাদেরকে সম্মান জানিয়ে তামিম যোগ করেন, ‘‘যারা মানসিক ব্যারিকেড ভেঙে মুখ খুলতে পেরেছেন, সবার প্রতি সবটুকু সম্মান জানাচ্ছি সাহসিকতার জন্য। এখনও যারা নানা সঙ্কোচে মুখ খুলতে পারছেন না, তাদেরকে বলছি, ‘ইটস নেভার ঠু লেট।’ আওয়াজ তুলুন, আমরা থাকব পাশে।’’

‘‘বিসিবিতে এখন একটা স্লোগান শুনি- ‘ক্রিকেট ফর অল।’ আমার মনে হয়, এর আগে জরুরি ‘সেফটি ফর অল’ নিশ্চিত করা। আরেকটি ব্যাপার, দেশের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া ফেডারেশনের দায়িত্বও সবচেয়ে বেশি। আমাদের সবারই উচিত দেশের সব খেলাকে সম্মান করা। প্রতিটি খেলাই আমাদের। প্রতিটি খেলাই বাংলাদেশের।’’

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ