সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার ৫
Published: 9th, August 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) উপ-কমিশনার রবিউল হাসান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “সাংবাদিক তুহিন হত্যার ঘটনায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গাজীপুরের সদর উপজেলার ভবানীপুর থেকে ফয়সাল ওরফে কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপী ও সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর উত্তরার তুরাগ এলাকা থেকে আল আমিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করা হয়। গাজীপুরের সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকা থেকে স্বাধীন নামে অপর একজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।”
আরো পড়ুন:
বাড়ির পাশের কবরস্থানে সাংবাদিক তুহিনের দাফন সম্পন্ন
নাটোরে প্রাইভেটকার চালককে হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার ১
তিনি আরো বলেন, “তারা প্রত্যেকেই সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঠিক কী কারণে হত্যা করা হয়েছে, তার সঠিক তথ্য বের করা হচ্ছে। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হবে।”
নিহত মো.
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান হত্যাকাণ্ডে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা, আটক ৫
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে নিহত ব্যক্তির বড় ভাই মো. সেলিম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে নগরের বাসন থানায় মামলাটি করেন।
এদিকে ওই হত্যাকাণ্ডে সন্দেহভাজন হিসেবে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে সিসিটিভি ফুটেজে অস্ত্র হাতে যাদের দেখা গেছে, তাদের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ সম্পর্কে বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম–পরিচয় দিতে পারছি না।’
গাজীপুর নগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের গাজীপুরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে। তাঁকে হত্যার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
পুলিশ সূত্র জানা যায়, আসাদুজ্জামান তুহিন থাকতেন গাজীপুর মহাগরীর চৌরাস্তা এলাকায়। পূর্বশত্রুতার জেরে পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় তাঁকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। এ সময় তিনি দৌড়ে ঈদগাঁ মার্কেটের একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নেন। পরে দুর্বৃত্তরা তাঁকে দোকানের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি মারা গেলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই স্থানীয় একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে একটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যায়, যাতে হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দেখা যায়। ওই ঘটনায় পুলিশ রাতেই মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) রবিউল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে। তাদের গ্রেপ্তার করলেই ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
নিহত সাংবাদিকের বড় ভাই সেলিম হোসেন বলেন, আজ দুপুরে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। পরে তাঁর লাশ হস্তান্তর করা হয়। পাশেই চান্দনা ঈদগাহ মাঠে জুমার নামাজের পর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সভা হয়েছে। আজ সকালে গাজীপুর প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচির আয়োজন করে সাংবাদিক ইউনিয়ন। কর্মরত সাংবাদিকেরা হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান। তাঁরা বলেন, গাজীপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও ছিনতাইকারীদের মদদদাতাদেরও চিহ্নিত করতে হবে। আসামিরা চিহ্নিত হয়েছে, তাদের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। এরপরও গ্রেপ্তার করতে না পারা প্রশাসনের ব্যর্থতা।
গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাংবাদিক ফজলুল হক মোড়ল, ফারদিন ফেরদৌস, মাসুদ রানা, মাজহারুল ইসলাম, মাহমুদা শিকদার, আমিনুল ইসলাম, শরীফ আহমেদ, শাহ শামসুল হক, আজিজুল হক, রেজাউল করিম প্রমুখ।