স্টোরিতে জয়ের ছবি দিয়ে আলোচনায় শাকিব খান
Published: 9th, August 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন শাকিব খান। সেখানে ছেলে শেহজাদ খান বীর ও শবনম বুবলীর একসঙ্গে ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও নতুন করে চর্চায় এলো শাকিবের নাম।
আজ (৯ আগস্ট) দুপুরে শাকিব খান ফেসবুক পেজের স্টোরিতে বড় ছেলে আব্রাম খান জয়ের একটি ছবি শেয়ার করেন। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “মিস ইউ পাপা”।
স্টোরি দেখেই নেটিজেনদের মধ্যে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। কেউ মন্তব্য করছেন, “তাহলে এবার কি অপুকে কাছে টেনে নেবেন শাকিব?” আবার কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, “নিজের সন্তানদের নিয়ে এমন লুকোচুরি করার দরকারি কী?” সমালোচনার পাশাপাশি অনেকে এ উদ্যোগের প্রশংসাও করছেন।
এর আগে গত মাসে শাকিব খান যুক্তরাষ্ট্রে যান। পরে জানা যায়, ছেলে শেহজাদকে নিয়ে সেখানে যোগ দেন শবনম বুবলী। যাত্রার তারিখ গোপন রাখলেও ৩ আগস্ট নিউইয়র্কে তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, ঢালিউডের এই দুই তারকাকে রোমান্টিক মুডেও পাওয়া গেছে।
নিউইয়র্ক থেকে বুবলী নিজেই ১১টি ছবি শেয়ার করেছিলেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ছবিতে দেখা যায়, ছেলেকে নিয়ে সুন্দর সময় কাটাচ্ছেন শাকিব-বুবলী। কয়েকটি ছবিতে রোমান্টিক ভঙ্গিমায় ধরা দিয়েছেন তারা দুজন।
এই ছবিগুলো ঘিরে চলছে নানা প্রশ্ন— যদি সত্যিই তাদের ডিভোর্স হয়ে থাকে, তবে এত ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি কেন শেয়ার করছেন তারা? উত্তর মেলেনি, কিন্তু বিতর্ক থামেনি।
ঢাকা/রাহাত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আধুনিক টিভির যত আধুনিক সুবিধা
টেলিভিশনকে বাংলায় বলা হয় ‘দূরদর্শন’। মাত্র কয়েক বছর আগেও এটি সত্যিই ছিল দূরদর্শনের মাধ্যম—দূরের কোনো ঘটনা চোখের সামনে এনে দেওয়ার একটি যন্ত্র। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে টিভির সংজ্ঞা, উদ্দেশ্য ও ব্যবহার। প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতিতে আজকাল টিভি হয়ে উঠেছে একটি ‘স্মার্ট হাব’, যেখানে সিনেমা দেখা, গেম খেলা, ভিডিও কল করা, এমনকি বাড়ির অন্যান্য স্মার্ট ডিভাইসও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আধুনিক টিভিগুলোর সুবিধা কেবল ছবি বা সাউন্ডে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এগুলো এখন ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স।
স্মার্ট অপারেটিং সিস্টেমবর্তমান প্রজন্মের টিভিগুলো শুধু নাটক কিংবা সিনেমা দেখার একটি স্ক্রিন নয়, বরং একটি সম্পূর্ণ স্মার্ট ডিভাইস। স্মার্ট টিভিতে অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) হিসেবে টাইজেন, অ্যান্ড্রয়েড টিভি, রোকু টিভি এবং ওয়েবওএস ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। এই সিস্টেমগুলোর মাধ্যমেই বর্তমান যুগের টিভিগুলো হয়ে উঠছে আধুনিক থেকে আধুনিকতর। ব্যবহারকারীরা এখন চাইলেই স্মার্ট টিভিগুলোতে নেটফ্লিক্স, ইউটিউব, স্পটিফাই, অ্যামাজন প্রাইম কিংবা যেকোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্মও সরাসরি উপভোগ করতে পারেন।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ‘অ্যাপ স্টোর ইন্টিগ্রেশন’। টিভিতেই এখন মোবাইলের মতো অ্যাপ ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়। ওয়েদার অ্যাপ, গেমস, নিউজ—এমনকি ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপও ব্যবহার করা যায় টিভির বড় স্ক্রিনে।
ভয়েস কন্ট্রোল: কথা বলেই নিয়ন্ত্রণরিমোট খোঁজার ঝামেলা এখন যেন অতীত। আগে টিভির সবকিছু রিমোট দ্বারা পরিচালিত হলেও এখনকার আধুনিক টিভিগুলোতে আছে ভয়েস কন্ট্রোল—যেখানে ব্যবহারকারীর ভয়েস দ্বারাই টিভি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই প্রযুক্তি বিক্সবি, গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যালেক্সার মতো ভয়েস অ্যাসিস্ট্যান্টের মাধ্যমে কাজ করে। এর পাশাপাশি কিছু হাই-এন্ড মডেলে রয়েছে জেসচার কন্ট্রোল—যেখানে হাত নাড়লেই টিভি রেসপন্স করে। টিভি চালু-বন্ধ করা, চ্যানেল পরিবর্তন—এমনকি ভলিউম বাড়ানো-কমানোর মতো কাজও করা যায় হাতের ইশারায়। এ ক্ষেত্রে গ্যালাক্সি ওয়াচের কথা বলা যায়। এটি হাতের নড়াচড়াকে শনাক্ত করে এসব কমান্ড কার্যকর করে।
মাল্টি-ডিভাইস কানেকটিভিটি: এক স্ক্রিনে সব সংযোগবর্তমানে টিভি শুধু সম্প্রচার মাধ্যম নয়; এটি হয়ে উঠেছে একটি সেন্ট্রাল কন্ট্রোল ইউনিট। মোবাইল ফোন, স্পিকার, ল্যাপটপ, গেমিং কনসোল—সব ডিভাইস এখন টিভির সঙ্গে সহজেই সংযুক্ত করা যায়।
বেশির ভাগ স্মার্ট টিভিতে রয়েছে ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, এইচডিএমআই এআরসি, এয়ার প্লে, মিরাকাস্টসহ বিভিন্ন সুবিধা। ফলে ব্যবহারকারী চাইলে নিজের ফোনের ছবি, ভিডিও বা প্রেজেন্টেশন মুহূর্তেই বড় স্ক্রিনে শেয়ার করতে পারেন। সেই সঙ্গে আধুনিক টিভিগুলোতে রয়েছে গেমারদের জন্য এইচডিএমআই ২.১ পোর্ট এবং কম ইনপুট ল্যাগযুক্ত ডিসপ্লে, যা গেমিং এক্সপেরিয়েন্সকে করে তোলে আরও স্মুথ।
আধুনিক টিভিগুলো ব্যবহারকারীদের এনে দিয়েছে একসঙ্গে বিনোদন, সংযোগ, যোগাযোগ ও নিয়ন্ত্রণের নতুন এক এক্সপেরিয়েন্স