বন্দরে মাদকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে গ্রামবাসী। শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে নাসিক ২৭নং ওয়ার্ডের ফুলহর এলাকার গ্রামবাসী এ বিক্ষোভ মিছিল করেন। 

এসময় গ্রামবাসী ‘মাদক ব্যবসায়ীদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও, গুঁড়িয়ে দাও, মাদকের আস্তানা এ এলাকায় রাখবো না’সহ বিভিন্ন মাদকবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এর আগে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনও করেন গ্রামবাসী। স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা মো: নূরুল হকের সভাপতি ও হাজী মো: শাহীনের ব্যবস্থাপনায় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, এস এম মোমেন, মো: ইকবাল হোসেন, মো: ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন ভান্ডারি, মো: সফিউল্লাহ্, আব্দুল রাজ্জাক প্রমূখ।

সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসী অভিযোগ করেন, গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরে আজ মাদক ছেয়ে গেছে। মাদকের কারণে আজ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে গ্রামবাসী। এর মূলে রয়েছে স্থানীয় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কবির। কবির মাদকের ডিলার। তিনি শুধু এ গ্রামেই নয়, বিভিন্ন স্থানে মাদক সরবরাহ করে থাকেন।

আর তার সহযোগী হলো শনির বাড়ীর আরেক মাদকের ডিলার হাফিজা। তিনি কয়েকবার গ্রেফতার হয়েছিলেন, কিন্তু মাদক ব্যবসা ছাড়েন নি।

এছাড়া শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী কবিরের আরও কয়েকজন সহযোগী আছে। এরা হলো মাদক ব্যবসায়ী আনিকা, হৃদয়, রিফাত, নাসিমা ও মহিউদ্দিন। কবির এ সহযোগীদের দ্বারা মাদক সর্বত্র মাদক বিক্রি ও সরবরাহ করে থাকে।

তারা বলেন, কবির এক সময় মাটির কাজ করতো। তার ঘরে নুন আনতে পানতা ফুরিয়ে যেতো। সেই কবির মাদক ব্যবসা করে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন।

তিন ৪টা বাড়ীর মালিক হয়েছেন। তিনি আজ গোটা সমাজটাকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তার বিরুদ্ধে একাধীক মামলা রয়েছে। তবুও কোন এক রহস্যজনক কারণে তিনি এলাকায় বহাল থেকে মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তোলেছেন।

তার কারণে আজ সমাজের যুব সমাজ থেকে শুরু করে কিশোররা পর্যন্ত ধ্বংসের চুড়ান্ত সীমানায় গিয়ে পৌছেছে। আমরা আমরা তার ও তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেফতার দাবি করছি।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ র মব স সহয গ

এছাড়াও পড়ুন:

থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%

এশিয়াসহ বিশ্বের চালের বাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এশিয়ায় চালের অন্যতম বৃহৎ সরবরাহকারী থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। মূলত বাজারে চালের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

থাইল্যান্ডসহ চালের অন্যান্য বড় উৎপাদনকারী দেশ ভারত ও মিয়ানমারে উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারেও চালের দাম কমছে। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার খাদ্যসূচক অনুযায়ী, চলতি বছর চালের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। এমনকি বিশ্ববাজার চালের দাম আগস্ট মাসে আট বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে। খবর দ্য নেশনের

থাইল্যান্ডে চালের দামের এই নিম্নমুখী প্রবণতা একদম নতুন কিছু নয়, বেশ কয়েক মাস ধরেই এ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষিবিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে চালের দাম কম থাকায় দেশটির কৃষকেরা ধানের আবাদ কমিয়ে দিতে পারেন।

থাইল্যান্ডে গত বৃহস্পতিবার ৫ শতাংশ খুদযুক্ত চালের দাম দাঁড়ায় টনপ্রতি ৩৩৫ ডলার। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৩৩৮ ডলার। থাইল্যান্ডের কৃষি খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত ১৪ বছরে থাই সরকারের জনতুষ্টিমূলক নীতির কারণে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকার কৃষকদের সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন ধরনের নিশ্চয়তা দিয়েছে। এসব কর্মসূচিতে প্রায় ৪০ বিালিয়ন বা ৪ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হলেও একধরনের নীতিগত ফাঁদ তৈরি হয়েছে। ফলে কৃষকেরা প্রযুক্তি উন্নয়ন, দক্ষতা বাড়ানো কিংবা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো থেকে নিরুৎসাহিত হয়েছেন।

সেই সঙ্গে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্ষা মৌসুমের শেষ দিকে বাজারে নতুন চালের সরবরাহ এসেছে। এটাও দাম কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ। অন্যদিকে ভারত ও মিয়ানমারের মতো প্রতিযোগী দেশগুলো চালের গুণগত মানের উন্নতি করেছে। আধুনিকতা এনেছে উৎপাদনব্যবস্থায়। ফলে তারা কম খরচে ভালো মানের চাল রপ্তানি করতে পারছে। কিন্তু থাইল্যান্ড এখনো ভর্তুকিনির্ভর ব্যবস্থায় আটকে আছে। এ পরিস্থিতিতে দেশটির কৃষকেরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

এফএওর সূচক কমেছে

প্রতি মাসেই খাদ্যমূল্যসূচক করে থাকে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। তাতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর বিশ্ববাজারে চালের দাম কেমেছে ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। গত অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৪–এ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তা ছিল ১১৩ দশমিক ৬। সেই সঙ্গে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে চালের মূল্যসূচক ছিল ১২৫ দশমিক ৭। সেই হিসাবে এক বছরে চালের দাম কমেছে ২১ দশমিক ৭ শতাংশ।

চালের দামের এই পতন শুরু হয় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত ধাপে ধাপে রপ্তানি–নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে শুরু করে তখন। এ ঘটনা চালের বাজারে বড় প্রভাব ফেলে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সব ধরনের চালের মূল্যসূচক ১৩ শতাংশ কমেছে। খবর ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের

অথচ ২০২৪ সালের শুরুতে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে। তখন ভারত একের পর এক রপ্তানি সীমাবদ্ধতা জারি করলে ২০০৮ সালের পর চালের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। মানুষের মধ্যে মজুতের প্রবণতা তৈরি হয়। অন্যান্য উৎপাদক দেশেও সুরক্ষাবাদী পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এর পর থেকে চালের দাম কমতে শুরু করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবিতে আশুগঞ্জ সার কারখানায় সমাবেশ 
  • সরবরাহ বাড়ছে শীতের আগাম ফুলকপি ও বাঁধাকপির, কমছে দাম
  • গ্রিস থেকে গ্যাস আমদানিতে সম্মত ইউক্রেন: জেলেনস্কি
  • থাইল্যান্ডে চালের দাম ১৫ বছরে সর্বনিম্ন, বিশ্ববাজারে এ বছর কমেছে ১৪%
  • ইউক্রেনের হামলা: নভোরো-সিয়েস্ক বন্দরের তেল রপ্তানি বন্ধ করল রাশিয়া
  • চাঁদাবাজি বন্ধে সরকারকে কঠোর হতে হবে
  • জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলার বরাদ্দ অর্থের বেশিরভাগ পাচ্ছে উষ্ণায়নে দায়ী দেশগুলো