পাটুরিয়া লঞ্চঘাট নদীতে বিলীন, লঞ্চে যাত্রীদের ঝুঁকিপূর্ণ ওঠানামা
Published: 9th, August 2025 GMT
পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতে মানিকগঞ্জের শিবালয়ে পাটুরিয়া লঞ্চঘাট নদীতে বিলীন হওয়ায় অন্য স্থানে ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে যাত্রী ওঠানামা করানো হচ্ছে। আগের লঞ্চঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে গিয়ে যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
যাত্রীদের অভিযোগ, প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এ সমস্যা দেখা দিলেও কর্তৃপক্ষ আগাম কোনো প্রস্তুতি নেয় না। এবারও যথাসময়ে ব্যবস্থা না নেওয়ায় বড় ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
লঞ্চঘাট–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথে ২৪টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার হয়। গত দুই সপ্তাহে নদীতে পানি বেড়ে প্রবল স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ক সপ্তাহ আগে থেকে পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে ভাঙন শুরু হয়। এরপর গত মঙ্গলবার দুপুরে লঞ্চঘাটের পশ্চিম পাশের জেটি সম্পূর্ণ নদীতে বিলীন হয়ে যায়। অপর জেটিও নদীতে ধসে যাওয়ার উপক্রম হয়। এতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে মঙ্গলবার বিকেলে লঞ্চগুলো ঘাটের পশ্চিমে ২ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনে নিয়ে রাখা হয়। সেখানে কোনোরকমে যাত্রীদের লঞ্চে ওঠানামা করানো হচ্ছিল। তবে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ২ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। এতে পন্টুনের নিচ থেকে মাটি ধসে যায় এবং পন্টুনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এরপর লঞ্চঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নিয়ে লঞ্চগুলো রাখা হয়। সেখানে কাঠের পাটাতনের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে ওঠানামা করছেন যাত্রীরা।
লঞ্চঘাট নদীতে বিলীন হওয়ায় যাত্রীরা ভোগান্তির পাশাপাশি বিপাকে পড়েছেন লঞ্চের মালিক ও শ্রমিকেরা। পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দী প্রথম আলোকে বলেন, অধিকাংশ যাত্রী ফেরিতে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ পারাপার হচ্ছেন। এতে লঞ্চের যাত্রী পারাপার কমে যাওয়ায় তাঁদের আয় কমে গেছে।
ঢাকার সাভারে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার আরিফ হোসেন। গতকাল শনিবার সকালে স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বাস থেকে নেমে লঞ্চঘাটে যাওয়ার পর দেখেন, ঘাট ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তিনি রিকশায় করে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে নদীর তীরসংলগ্ন লঞ্চের কাছে গিয়ে নামেন। সেখানে কাদা মাড়িয়ে কাঠের পাটাতনের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে ওঠেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচা নদীবন্দরের উপপরিচালক মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
হালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী হালুয়াঘাট উপজেলায় এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক অটোরিকশাচালকের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালায়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করতে পারেনি।
পুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মেয়েটি উপজেলার একটি উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ে। সোমবার দুপুরে সে তার বন্ধুর সঙ্গে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীকে একটি অটোরিকশায় তুলে দেয় বন্ধু। এ সময় অটোরিকশাচালক হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়েটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় মেয়েটিকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যায়। এরপর মেয়েটিকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ সোমবার রাতেই অভিযুক্ত আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে যায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় পুলিশ তাঁর অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় অভিযোগ দিতে যায় মেয়েটির পরিবার। এ বিষয়ে রাতে হালুয়াঘাট থানার ওসি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘নিজেদের কমিউনিটির লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করে মেয়েটির মা বাদী হয়ে অভিযোগ দিচ্ছেন। অভিযোগ হাতে পেলেই আমরা রাতেই মামলা হিসেবে গ্রহণ করব। অভিযুক্তকেও আমরা ধরে ফেলব।’