অবশেষে জাতীয় ক্রিকেট লিগে ময়মনসিংহ
Published: 10th, August 2025 GMT
দেশের অষ্টম বিভাগ হিসেবে ১০ বছর আগে আত্মপ্রকাশ করেছে ময়মনসিংহ। ক্রিকেট বোর্ডের ‘স্বীকৃতি’ পেতে ময়মনসিংহের লাগল ১০ বছর! বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গতকাল বোর্ড সভায় ময়মনসিংহকে জাতীয় ক্রিকেট লিগে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
বিভাগীয় মর্যাদা পাওয়ার পর ক্রিকেটে নিজেদের দল চালানোর কথা ছিল ময়মনসিংহের। একাধিকবার আবেদন, সরকারি দপ্তরে চিঠি পাঠানো, মানববন্ধন, ক্রিকেটের বিভিন্ন আয়োজনে জোরাল দাবি সহ সবই করেছে ময়মনসিংহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা। কিন্তু কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। অবশেষে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড ময়মনসিংহকে আপন করে নিয়েছে।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের বড় ধৈর্যর প্রতিযোগিতা। প্রথমবারের মতো ময়মনসিংহ বিভাগ লিগে অংশ নেবে। এর আগে জাতীয় ক্রিকেট লিগের টি-টোয়েন্টি আসর রয়েছে। তবে আট দলের এই প্রতিযোগিতার সব আয়োজন প্রায় চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ায় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলা হবে না ময়মনসিংহের। সাদা পোশাকেই দলটিকে প্রথমবার দেখা যাবে।
আরো পড়ুন:
প্রত্যেকটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম হবে: আসিফ
অচলায়তন ভেঙে সক্রিয় হওয়ার অপেক্ষায় কোয়াব
ঢাকা থেকে দুটি দলের অংশগ্রহণ ছিল জাতীয় লিগে। ঢাকা বিভাগীয় দল থেকে যাবে আগের মতোই। তবে ময়মনসিংহকে জায়গা করে দিকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে ঢাকা মেট্রো। ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেছেন, ‘‘ময়মনসিংহ বিভাগ আগামী জাতীয় ক্রিকেট লিগের চারদিনের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ময়মনসিংহকে এগিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর।’’
ঢাকা মেট্রোকে বাদ দিয়ে ময়মনসিংহকে নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেছেন, “২০১১ সালে যখন রংপুর বিভাগীয় দল এলো এবং টুর্নামেন্টের দলসংখ্যা ৬টি থেকে ৭টি করা হলো, তখন ঢাকা মেট্রো দলকেও আনা হলো, যাতে আটটি দল হয়। এটা বিসিবি সভার কার্যবিবরণীতেই আছে। এবার ময়মনসিংহকে আনলে দল ৯টি হয়ে যাচ্ছে। আগের সেই একই কারণে সমানসংখ্যক দল রাখতে একটি দল কমানো হচ্ছে।”
টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানো এবং মান ধরে রাখার জন্য সব চেষ্টা বিসিবি করছে জানিয়ে নাজমুল আবেদীন যোগ করেন, ‘‘কোয়ালিটির ব্যাপারটিও এখানে উল্লেখযোগ্য। আমরা চাইলেই ১০-১২টি দলও করতে পারি। কিন্তু মান ধরে রাখতে চাই। আমরা অনেক সময়ই শুনেছি, অনেকে প্রস্তাব দিয়েছে, আট দল না নিয়ে ছয় দল নিয়ে টুর্নামেন্ট হোক, তাহলে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। কোনোদিন ছয় দলও হতে পারে, আপাতত আট দলই রাখছি আমরা।”
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে গারো স্কুলছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, একজন গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে গারো স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির এক সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রাত ১০টার দিকে জুগলি ইউনিয়নের নয়াপাগা গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মিলন মিয়া (২১)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় অটোরিকশাচালক। এর আগে গতকাল রাতেই মূল অভিযুক্ত আবুল বাশার (২৫) ও তাঁর সহযোগী মিলন মিয়াকে আসামি করে হালুয়াঘাট থানায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। তবে মামলার প্রধান আসামিকে আজ সকাল পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা যায়নি।
আরও পড়ুনহালুয়াঘাটে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ১৫ ঘণ্টা আগেপুলিশ, স্থানীয় বাসিন্দা ওই কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী (১৫) নবম শ্রেণিতে পড়ে। গত সোমবার দুপুরে মিলন মিয়ার (২১) সঙ্গে সে একটি পার্কে বেড়াতে যায়। বিকেলের দিকে সেখান থেকে বাড়ি পৌঁছে দিতে কিশোরীটিকে বাশারের অটোরিকশায় তুলে দেন মিলন। এ সময় বাশার হালুয়াঘাট উপজেলা শহরে পূজামণ্ডপ দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে ঘুরতে থাকেন। একপর্যায়ে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে স্কুলছাত্রীটিকে ধর্ষণ করেন। এরপর রাত ১১টার দিকে গামারীতলা এলাকায় তাকে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাচালক চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল রাতেই আবুল বাশারের (২৫) বাড়িতে অভিযান চালায়। তবে তাঁকে পাওয়া যায়নি। ওই সময় অটোরিকশাটি জব্দ করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
হালুয়াঘাট থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারে আমাদের চেষ্টা চলছে। তাঁর সহযোগী মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিলন জানিয়াছেন, মেয়েটি তাঁর বন্ধু।’
এদিকে হালুয়াঘাটে গারো ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী ছাত্র ও যুব সংগঠনগুলো। আজ বেলা তিনটায় ঢাকা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য সাবেক যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) অলিক মৃ।
আজ বুধবার সকালে নিজের ফেসবুকে পেজে পোস্ট দিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ওই ঘটনার নিন্দা ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মেয়েটি জীবনের সবচেয়ে বড় ক্ষতি ও বিপর্যয়ের সম্মুখীন। মেয়েটির মা বিএনপি পরিবারের সদস্য ও গত ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মিছিলেও অন্য গারো নারীদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন। অবশ্যই এই ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতে হবে।