ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে শান্তির পথ হবে না: ট্রাম্প-পুতিনকে ইউরোপীয় নেতাদের সতর্কবার্তা
Published: 10th, August 2025 GMT
ট্রাম্প-পুতিন আগামী সপ্তাহের শীর্ষ বৈঠক নিয়ে ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, সম্ভাব্য চুক্তিতে ইউক্রেনকে তার ভূখণ্ডের একটি বড় অংশ ছেড়ে দিতে বাধ্য করা হতে পারে।
এ উদ্বেগ থেকে গতকাল শনিবার রাতে ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পের প্রতি রাশিয়ার ওপর চাপ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানের পথ খুঁজে পেতে আগামী শুক্রবার আলাস্কায় বৈঠকে বসবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ওই বৈঠকে যোগ দিতে চাইছেন। ইউক্রেন ও ইউরোপের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সতর্ক করে বলা হয়েছে, কিয়েভকে অবশ্যই আলোচনার অংশ করতে হবে।
গত শুক্রবার পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের ঘোষণা দেওয়ার সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘উভয় পক্ষের মঙ্গলের জন্য কিছু ভূখণ্ড অদলবদল করতে হবে।’ এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত আর কিছু বলেননি।
পরদিন গতকাল শনিবার জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেন, শান্তি কেনার জন্য তাঁর দেশ রাশিয়াকে কোনো ভূখণ্ড ছেড়ে দেবে না।
ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠকের দিন ঘোষণার পর নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে গতকাল শনিবার যুক্তরাজ্যে বৈঠক করেন কিয়েভের মিত্রদেশগুলোর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের প্রতিনিধিরা।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেলেনস্কি লেখেন, ‘ইউক্রেনীয়রা দখলদারের কাছে নিজেদের ভূমি দেবে না। আমাদের স্বার্থবিরোধী যেকোনো সিদ্ধান্ত, আর ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে নেওয়া যেকোনো সিদ্ধান্ত হবে শান্তির বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে ফোনালাপে জেলেনস্কি ইউক্রেনের মিত্রদের প্রতি টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় ‘স্পষ্ট পদক্ষেপ’ নেওয়ার আহ্বান জানান।
গতকাল রাতে এক যৌথ বিবৃতিতে ইউরোপীয় নেতারা বলেন, সক্রিয় কূটনীতি, ইউক্রেনকে সহায়তা ও রুশ ফেডারেশনের ওপর চাপ সৃষ্টি—এ তিনটিকে মিলিয়ে একটি যৌথ পদ্ধতিই শুধু রাশিয়ার অবৈধ যুদ্ধের অবসান ঘটাতে সফল হতে পারে।
ইউরোপের নেতারা ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রেখে, পাশাপাশি রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিধিনিষেধ আরোপ ও তা বজায় রেখে তাঁরা ট্রাম্পকে যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিকভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত।
ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, পোল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড এবং ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন এ যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউক র ন ইউর প য় য ক তর গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
দেশে প্রথম এসএমই প্রিপেইড কার্ড চালু করল এমটিবি, সেবা পে ও মাস্টারকার্ড
ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য দেশে এই প্রথম প্রিপেইড কার্ড চালু করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি (এমটিবি), সেবা পে ও মাস্টারকার্ড। আজ রোববার গুলশানের একটি হোটেলে এই কার্ড উদ্বোধন করা হয়।
‘কম্প্যানিয়ন প্রিপেইড কার্ড’ নামে এই কার্ড বিশেষভাবে সেবা পে-এর ব্যবসা-টু-ব্যবসা (বি-টু-বি) প্ল্যাটফর্মে লেনদেনকারী এসএমই খুচরা বিক্রেতাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ব্যাংক হিসাব ছাড়াই ব্যবসায়িক লেনদেন, অর্থপ্রবাহ ব্যবস্থাপনা, সময়মতো বিল পরিশোধসহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাবে এই কার্ডে। সেই সঙ্গে থাকছে এনএফসি প্রযুক্তির মাধ্যমে প্লাস্টিক কার্ড স্পর্শ না করিয়ে লেনদেন পেমেন্ট, তাৎক্ষণিক স্থিতি দেখা, এটিএম থেকে টাকা তোলা, দেশ-বিদেশে অনলাইন ও অফলাইন লেনদেনের সুবিধা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (এসএমইএসপিডি) নওশাদ মোস্তফা, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, এমটিবির এমডি ও সিইও সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের প্রধান সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, সেবা পের চেয়ারম্যান আদনান ইমতিয়াজ হালিম প্রমুখ।
এমটিবির এমডি মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘হিসাব ছাড়াই আধুনিক আর্থিক সেবা মানুষের হাতে পৌঁছে দিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’
সেবা পের চেয়ারম্যান আদনান ইমতিয়াজ হালিম বলেন, ‘সেবা পে-তে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশে লেনদেন আরও সহজ করা। গ্রাহকেরা প্রচলিত ব্যাংকিং চ্যানেলের ওপর নির্ভর না করেই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ডিজিটাল অর্থনীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারবেন।’
এ ছাড়া সাধারণ গ্রাহকদের জন্যও ভোক্তা প্রিপেইড কার্ড চালু হয়েছে। এই কার্ড প্লাস্টিক ও ভার্চ্যুয়াল উভয়ভাবে পাওয়া যাবে। কার্ডধারীরা মাস্টারকার্ডের বিভিন্ন অফার ছাড়াও দেশের ৯ হাজারের বেশি মার্চেন্ট পয়েন্টে ছাড় উপভোগ করতে পারবেন।
মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, ‘দেশের প্রথম এই প্রিপেইড কার্ডের মধ্য দিয়ে আমাদের ডিজিটাল গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাবে। সেই সঙ্গে সহজ, নিরাপদ ও সময়োপযোগী লেনদেন সেবা দেওয়ার মাধ্যমে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আমাদের যে অঙ্গীকার, এই কার্ড চালু করা তারই অংশ।’