নবজাতককে আইসিইউতে রাখার দরকার পড়ে কখন
Published: 10th, August 2025 GMT
যেসব নবজাতককে রাখতে হয়
জন্মের সময় ওজন খুবই কম (আড়াই কেজির কম)।
সময়ের আগেই জন্ম (৩৭ সপ্তাহের আগে)।
জন্মের পর নবজাতকের শ্বাসকষ্ট।
জন্মের পরপর কান্না না করা বা ঠিকমতো শ্বাস না নেওয়া।
গুরুতর জন্ডিসে আক্রান্ত অথবা অন্য জীবাণু সংক্রমণ।
বিভিন্ন রকমের জন্মগত ত্রুটি বা জটিলতা।
কোনো কারণে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন পড়লে।
আইসিইউতে চিকিৎসা পদ্ধতিনবজাতককে আইসিইউতে রাখা হলে মা-বাবা স্বাভাবিকভাবেই ভড়কে যান। ভাবেন, ভেতরে কি-না-কি হচ্ছে আবার। যেসব নবজাতক সময়ের আগে জন্মগ্রহণ করে (প্রিম্যাচিউর), ওজন কম হয় ও শ্বাসকষ্ট বা অন্য জটিলতা থাকে, তাদের আইসিইউর ওয়ার্মার বা ইনকিউবেটরে রাখা হয়। এতে নবজাতকের শরীরে স্বাভাবিক তাপমাত্রা বজায় থাকে। শ্বাসপ্রশ্বাসে অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক আছে কি না, তা সব সময় পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রয়োজনমতো দেওয়া হয় অক্সিজেন।
রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আইসিইউতে নেওয়া নবজাতকদের বিভিন্ন ওষুধ দেওয়া হয়। যেসব নবজাতকের জন্ডিস গুরুতর, তাদের জন্য ফটোথেরাপির ব্যবস্থা করা হয়। শিশুর জন্মগত ত্রুটি থাকলে অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন পড়ে। রক্তে জীবাণু সংক্রমণ বা শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে দেওয়া হয় অ্যান্টিবায়োটিক।
আরও পড়ুনফ্রিজের বরফ দূর করার ৭টি সহজ উপায়০৭ আগস্ট ২০২৫কত দিন রাখতে হয়যদি নবজাতকের অসুস্থতা জটিল না হয়, তাহলে আইসিইউতে নেওয়ার তিন থেকে চার দিনের মধ্যেই ছুটি দেওয়া হয়ে থাকে। তবে কোনো কোনো নবজাতকের ক্ষেত্রে আরও বেশি সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। এটা নির্ভর করে জন্মের সময় ওজন ও শারীরিক জটিলতার ওপর।
আইসিইউতে নেওয়ার পর সাধারণত প্রথম দু-এক দিন নবজাতকের হজমশক্তি পর্যবেক্ষণ করতে হয়। এরপর ধীরে ধীরে অল্প অল্প করে মায়ের দুধ শুরু করা হয়। পাশাপাশি স্যালাইন চলতে থাকে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে অবস্থা বুঝে সরাসরি বুকের দুধ টেনে খেতে দেওয়া হয়।
জন্মের সময় শিশুর কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিলে ভবিষ্যতে শিশুর পূর্ণ সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আর যদি সময়মতো ও সঠিক চিকিৎসা না দেওয়া হয়, তাহলে জটিলতা হতে পারে।
ডা.
শাহীন আক্তার, অধ্যাপক, নবজাতক ও শিশু-কিশোর রোগবিশেষজ্ঞ, এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, সাভার, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা
কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’
সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।
সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে