সিলেটে বিস্ফোরণে দগ্ধ একই পরিবারের ৫ জনকে নেওয়া হয়েছে রাজধানী ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে।

রবিবার (১০ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে তাদেরকে দগ্ধ অবস্থায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

এর আগে শনিবার (৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেটের শাহপরান এলাকায় একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। দুই শিশুসহ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়।

আরো পড়ুন:

সাভারে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন, দগ্ধ দম্পতি হাসপাতালে

রূপগঞ্জে লোহা গলানোর ভাট্টি বিস্ফোরণে ৩  শ্রমিক দগ্ধ 

দগ্ধরা হলেন- পারভেজ, তার স্ত্রী ফারহানা, তাদের বড় ছেলে মোহাম্মদ (৬) ও ছোট ছেলে মারওয়ান (২) এবং আত্মীয় হেনা।

দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া সাইদুল ইসলাম বলেন, “শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহপরান এলাকার একটি দোতলা বাসায় রান্নার সময় সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পারভেজ ও তার স্ত্রী ফারহানা, তোদের দুই ছেলে এবং এক আত্মীয় দগ্ধ হন। প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়ার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকায় আনা হয়।”

জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা.

শাওন বিন রহমান বলেন, “দগ্ধদের মধ্যে পারভেজের শরীরের ১৫ শতাংশ, ফারহানার ১০ শতাংশ, মারওয়ানের ১৭ শতাংশ, মোহাম্মদের ৪ শতাংশ এবং হেনার শরীরের ৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনকে ভর্তি ও ২ জনকে গভীর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

ঢাকা/এমআর/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুরগির ডাক শুনে ঘরের দরজা খুলতেই খুন হন জসীম

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউনিয়নে গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে জসীম উদ্দিন (৫০) নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সেগুনবাগিচা মাতবর মুরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জসীম উদ্দিন ওই এলাকার নুর আহমেদের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে দুর্বৃত্তরা মুরগির শব্দ নকল করে পরিবারের লোকজনকে দরজা খুলতে বাধ্য করে। দরজা খোলা মাত্র তারা ঘরে ঢুকে প্রথমে জসীম উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

আরো পড়ুন:

রাজশাহীতে হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

যাচ্ছিলেন বিয়ের দিন ঠিক করতে, পথে ২ জনকে পিটিয়ে হত্যা

স্থানীয় ইউপি সদস্য আহমদ শফি বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে এবং জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করে। তারা হলেন- সেগুনবাগিচা এলাকার মনছুর আলম, জহির আহমদ ও তার ছেলে আতিক।’’

পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘‘এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হত্যার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।’’

ঢাকা/তারেকুর/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ