নিজেকে ড. ইউনূস ও হাসিনার দ্বন্দ্বের বলির পাঠা বলে দাবি করলেন টিউলিপ
Published: 10th, August 2025 GMT
যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেটের এমপি এবং সাবেক সিটি মিনিস্টার টিউলিপ সিদ্দিক দাবি করেছেন, বাংলাদেশের দুর্নীতি মামলায় তিনি ‘রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বলির পাঠা’।
ব্রিটিশ পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ দাবি করেছেন। রবিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে।
টিউলিপ বলেছেন, “সত্যি কথা হলো, মুহাম্মদ ইউনূস এবং আমার খালার মধ্যে এই বিরোধের কারণে আমি ক্ষতিগ্রস্থ। এই বৃহত্তর শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে আমি লড়াই করছি.
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি হন টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের নাগরিক। দুর্নীতির অভিযোগের মুখে গত জানুয়ারিতে তিনি মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। ৪২ বছর বয়সী টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের বেশ ঘনিষ্ঠ হিসেবেও পরিচিত। টিউলিপের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তিনি তার খালা শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগসাজশে প্রভাব খাঁটিয়ে ঢাকার পূর্বাচলে তার মা, ভাই ও বোনের জন্য প্লট নিয়েছেন। টিউলিপ জানিয়েছেন, তিনি এই অভিযোগ সম্পর্কে জানতেন না। সপ্তাহখানেক আগে তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে অভিযোগ গঠনের বিষয়টি জেনেছেন।
টিউলিপ সিদ্দিক জানান, তিনি ব্রিটিশ আইনজীবী হুগো কিথ কেসির পরামর্শ নিচ্ছেন। এখনো তিনি কোনো আনুষ্ঠানিক সমন পাননি।
তিনি বলেন, “আমি হুগো কিথ কেসির কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছি, যিনি আমার পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আমাকে পরামর্শ দিচ্ছেন। আমি এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সমন দেখিনি... মানে, আমি মনে করি বিদেশে একটি প্রদর্শনী বিচারের জন্য কয়েক দিন দূরে আছি, এবং আমি এখনও জানি না যে আমার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রয়েছে। আমার মনে হচ্ছে আমি এই কাফকেস্ক (ফ্রান্সিস কাফকার উপন্যাসের চরিত্রের মতো দুঃস্বপ্ন) দুঃস্বপ্নের মধ্যে আটকা পড়েছি যেখানে আমাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে এবং আমি সত্যিই জানতে পারিনি যে অভিযোগগুলো কী এবং বিচার কী সম্পর্কে।”
ঢাকা/শাহেদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট উল প স দ দ ক
এছাড়াও পড়ুন:
রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির করা মামলায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান আজ শনিবার এই আদেশ দেন।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হাতিরঝিল থানা থেকে হিরো আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে সিএমএম আদালতের ৯তলার এজলাসে নেওয়া হয়।
হিরো আলমের পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক ২০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে হিরো আলমের মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলার বাদী রিয়া মনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিরো আলমের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। আমাকে যেমন বিনা কারণে জেল খাটিয়েছে, তারও জেলে থাকা উচিত।’
এর আগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন এলাকা থেকে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলম ও তাঁর সহযোগী আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুসারেই হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় রিয়া মনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হিরো আলম ও বাদী রিয়া মনির মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর হিরো আলম বাদীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন বাদীর পরিবারের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডাকা হয়। ওই সময়ে হিরো আলমসহ ১০ থেকে ১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাঁরা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। এতে বাদীর শরীরে জখম হয়। এ সময় তাঁর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনরিয়া মনির মামলায় হিরো আলম গ্রেপ্তার২ ঘণ্টা আগে