টপ চার্টে এআই ব্যান্ড! শিল্পীদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
Published: 11th, August 2025 GMT
মাস দুই আগে যাত্রা শুরু করে দ্য ভেলভেট সানডাউন। দ্রুতই ইউটিউব, স্পটিফাইসহ একাধিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের টপ চার্টে উঠে আসে রক ব্যান্ডটির গান। শ্রোতারা প্রথমে ভেবেছিলেন, এটি হয়তো নতুন কোনো ব্যান্ড। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ছবি নিয়ে শুরু হয় সন্দেহ। পরে জানা যায়, পুরো ব্যান্ডটিই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি!
ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘ফ্লোটিং অন ইকোজ’ প্রকাশ পায় গত ৫ জুন। অ্যালবামের গান ‘ডাস্ট অন দ্য উইন্ড’ গত ২৯ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, নরওয়ে ও সুইডেনে স্পটিফাইয়ের দৈনিক ‘ভাইরাল ৫০’ চার্টে শীর্ষে ছিল। দ্য ভেলভেট সানডাউন স্পটিফাইয়ে নিজেদের পরিচিতিতে লিখেছে, ‘ব্যান্ডের সব চরিত্র, গল্প, গান, কণ্ঠ ও কথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি। আমরা প্রযুক্তিকে একটি সৃজনশীল যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছি।’
বিশ্বসংগীতে শিল্পীদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
সংগীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার যে গতিতে বাড়ছে, ভবিষ্যতের জন্য তা অশনিসংকেত, বলছে ইন্টারন্যাশনাল কনফেডারেশন অব সোসাইটিজ অব অথরস অ্যান্ড কম্পোজার্স (সিআইএসএসি)। লেখক ও সুরকারদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করা আন্তর্জাতিক এ সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যদি এই গতিতে সংগীত তৈরিতে ব্যবহৃত হতে থাকে, তবে চার বছরের মধ্যে বিশ্বজুড়ে গান রচয়িতা ও সুরকারদের আয় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ লাখ সংগীত কারিগরের প্রতিনিধিত্বকারী এ সংস্থা মনে করছে, এআই যদি শিল্পীর জায়গা দখল করে নেয়, তাহলে মূল শিল্পীর স্বত্ব, রয়্যালটি ও কর্মসংস্থানের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে।
রেকর্ড লেবেলগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী প্রধান সংগঠন আন্তর্জাতিক ফোনোগ্রাফিক ইন্ডাস্ট্রি ফেডারেশন (আইএফপিআই)। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল আইএফপিআইয়ের প্রধান আইন কর্মকর্তা লরি রিচার্ড একটি নিবন্ধে বলেন, কোনো ধরনের অনুমতি বা লাইসেন্স ছাড়া এআই মডেলকে সাউন্ড রেকর্ডিং দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া অন্যায় ও অনৈতিক।
লরি রিচার্ড মনে করেন, মানব শিল্পীরাই নতুন সংগীত তৈরির চাহিদা পূরণে যথেষ্ট দক্ষ। তবে প্রযুক্তিকে উপেক্ষা করাও বাস্তবসম্মত হবে না। তাই সংগীতে এআই ব্যবহারের আগে সঠিক লাইসেন্সিং ব্যবস্থা ও স্বচ্ছ নীতিমালা নিশ্চিত করাই জরুরি।
এআই ব্যান্ড দ্য ভেলভেট সানডাউনের সদস্যরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক ত র ম ব দ ধ মত ত ব যবহ
এছাড়াও পড়ুন:
টপ চার্টে এআই ব্যান্ড! শিল্পীদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
মাস দুই আগে যাত্রা শুরু করে দ্য ভেলভেট সানডাউন। দ্রুতই ইউটিউব, স্পটিফাইসহ একাধিক স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের টপ চার্টে উঠে আসে রক ব্যান্ডটির গান। শ্রোতারা প্রথমে ভেবেছিলেন, এটি হয়তো নতুন কোনো ব্যান্ড। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ছবি নিয়ে শুরু হয় সন্দেহ। পরে জানা যায়, পুরো ব্যান্ডটিই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) দিয়ে তৈরি!
ব্যান্ডটির প্রথম অ্যালবাম ‘ফ্লোটিং অন ইকোজ’ প্রকাশ পায় গত ৫ জুন। অ্যালবামের গান ‘ডাস্ট অন দ্য উইন্ড’ গত ২৯ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, নরওয়ে ও সুইডেনে স্পটিফাইয়ের দৈনিক ‘ভাইরাল ৫০’ চার্টে শীর্ষে ছিল। দ্য ভেলভেট সানডাউন স্পটিফাইয়ে নিজেদের পরিচিতিতে লিখেছে, ‘ব্যান্ডের সব চরিত্র, গল্প, গান, কণ্ঠ ও কথা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি। আমরা প্রযুক্তিকে একটি সৃজনশীল যন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছি।’
বিশ্বসংগীতে শিল্পীদের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ
সংগীতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার যে গতিতে বাড়ছে, ভবিষ্যতের জন্য তা অশনিসংকেত, বলছে ইন্টারন্যাশনাল কনফেডারেশন অব সোসাইটিজ অব অথরস অ্যান্ড কম্পোজার্স (সিআইএসএসি)। লেখক ও সুরকারদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করা আন্তর্জাতিক এ সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যদি এই গতিতে সংগীত তৈরিতে ব্যবহৃত হতে থাকে, তবে চার বছরের মধ্যে বিশ্বজুড়ে গান রচয়িতা ও সুরকারদের আয় ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ৫০ লাখ সংগীত কারিগরের প্রতিনিধিত্বকারী এ সংস্থা মনে করছে, এআই যদি শিল্পীর জায়গা দখল করে নেয়, তাহলে মূল শিল্পীর স্বত্ব, রয়্যালটি ও কর্মসংস্থানের ওপর সরাসরি প্রভাব পড়বে।
রেকর্ড লেবেলগুলোর প্রতিনিধিত্বকারী প্রধান সংগঠন আন্তর্জাতিক ফোনোগ্রাফিক ইন্ডাস্ট্রি ফেডারেশন (আইএফপিআই)। চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল আইএফপিআইয়ের প্রধান আইন কর্মকর্তা লরি রিচার্ড একটি নিবন্ধে বলেন, কোনো ধরনের অনুমতি বা লাইসেন্স ছাড়া এআই মডেলকে সাউন্ড রেকর্ডিং দিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া অন্যায় ও অনৈতিক।
লরি রিচার্ড মনে করেন, মানব শিল্পীরাই নতুন সংগীত তৈরির চাহিদা পূরণে যথেষ্ট দক্ষ। তবে প্রযুক্তিকে উপেক্ষা করাও বাস্তবসম্মত হবে না। তাই সংগীতে এআই ব্যবহারের আগে সঠিক লাইসেন্সিং ব্যবস্থা ও স্বচ্ছ নীতিমালা নিশ্চিত করাই জরুরি।
এআই ব্যান্ড দ্য ভেলভেট সানডাউনের সদস্যরা